Скачать или смотреть ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ব্রাউন রাইস কতোটা ক্ষতিকর ? Is Brown Rice Harmful to Diabetes patient

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ব্রাউন রাইস কতোটা ক্ষতিকর ? Is Brown Rice Harmful to Diabetes patient

ব্রাউন রাইস বা ঢেঁকিছাটা চালকে blood sugar control এর জন্য একনম্বর চাল হিসাবে বিবেচিত করা হয় | তারপরও ৯০% ব্রাউন রাইসই ডায়াবেটিস রোগীকে অন্যদিক থেকে মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে | তাই ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্যতালিকায় ব্রাউন রাইস রাখার আগে বিপজ্জনক ৯০% ব্রাউন রাইসকে চিহ্নিত করে ১০% নিরাপদ ব্রাউন রাইস খেতে হবে |

ব্রাউন রাইসের দুটি সমস্যা আছে - দুটিরই সমাধান আছে -

১) অ্যান্টিনিউট্রিয়েন্ট -

ব্রাউন রাইসে বেশি অ্যান্টিনিউট্রিয়েন্টস থাকে | আপনি ভাবছেন নিউট্রিয়েন্টেস তো জানি , অ্যান্টিনিউট্রিয়েন্টস আবার কী ! উদ্ভিজ্জ খাবারে বিভিন্ন রকম নিউট্রিয়েন্টেসের সাথে অল্প কিছু অ্যান্টিনিউট্রিয়েন্টসও থাকে | এখন আপনি যদি অ্যান্টিনিউট্রিয়েন্টসমৃদ্ধ খাবারগুলি খান তাহলে আপনার শরীরে বেশ কিছু নিউট্রিয়েন্টেসের শোষণ কমে যাবে | ফলে শরীরে নিউট্রিয়েন্টেসগুলির অভাবজনিত রোগ বা বিভিন্ন সমস্যা দেখা যেতে পারে | ব্রাউন রাইসে তার সবচেয়ে উপরের ব্রানস্তর অটুট থাকে | এই ব্রানস্তরেই ফাইটিক অ্যাসিডের মতো অ্যান্টিনিউট্রিয়েন্ট থাকে | ফাইটিক অ্যাসিড আপনার শরীরে আয়রণ ও জিঙ্কের শোষণ কম করে দিতে পারে | ফলে ব্রাউন রাইস খেলে জিঙ্ক ও আয়রণের অভাবজনিত রোগ দেখা যেতে পারে |

ব্রাউন রাইসের ফাইটিক অ্যাসিড একেবারে দূর করা সম্ভব না | তবে অনেকটাই কমানো সম্ভব | ব্রাউন রাইস রান্নার আগে বেশ কিছুক্ষণ জলে ভিজিয়ে রাখুন | সেই জল ফেলে দিয়ে নতুন জলে ব্রাউন রাইস রান্না করুন | তাহলে ফাইটিক অ্যাসিড বেশ কিছুটা কমে যাবে | ব্রাউন রাইসের আতপ চাল খাবেন না - সিদ্ধ চাল খান - চাল একাধিকবার সিদ্ধ হলে তার ফাইটিক অ্যাসিড কমে যায় | এছাড়া বারবার সিদ্ধ করলে চালের রেজিস্টান্স স্টার্চও বেড়ে যায় , যা আপনার bood sugar control করতে আরো বেশি সাহায্য করবে |

এছাড়া ডায়াবেটিস ডায়েটে ব্রাউন রাইসের সাথে বেশি আয়রণ ও জিঙ্কযুক্ত খাবার রাখুন , দেখবেন ফাইটিক অ্যাসিডের সমস্যা এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হবে |



২) আর্সেনিক -
ধান চাষে প্রচুর জল লাগে | দুই বাংলার বেশিরভাগ ধানই চাষ হয় মাটির নিচের ভৌমজলের সাহায্য | দুই বাংলার বিস্তৃত অঞ্চলের মাটির নিচের জলে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিক রয়েছে | ফলে এই সব অঞ্চল থেকে পাওয়া চালেও প্রচুর আর্সেনিক থাকে | একটু ভুল বললাম | সব চালে নয় , চালের ব্রান অংশেই আসলে আর্সেনিক জমা হয় | আর ব্রান অংশ একমাত্র ব্রাউন রাইসে থাকে । ফলে সুগার নিয়ন্ত্রণের জন্য আপনি ব্রাউন রাইস খেলে ব্রাউন রাইস থেকে আপনার শরীরে নিয়মিত আর্সেনিক প্রবেশ করতে থাকবে | গবেষণা থেকে দেখা যাচ্ছে শরীরে দীর্ঘদিন ধরে আর্সেনিক ঢুকতে থাকলে টাইপ ২ ডায়াবেটিস , হৃদরোগ ও ক্যান্সারের সমস্যা ও সম্ভাবনা দুটিই বাড়ে |

তাহলে ব্রাউন রাইস কী খাওয়া যাবে না ? তা কেন যাবে না | ব্রাউন রাইস খাওয়ার সময় কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলেই ডায়াবটিস ডায়েটে ব্রাউন রাইস রাখতে পারবেন -

i) ভাত কম খান | তার বদলে ওটসের মতো খাবার খান | এতে শরীরে যেমন আর্সেনিক কম প্রবেশ করবে সাথে blood sugar ও কম বাড়বে |


ii) দুই বাংলায় আর্সেনিক দূষণ বেশি , ফলে বাংলার ব্রাউন রাইস না কিনে অন্য রাজ্যের ব্রাউন রাইস কিনুন | বিশেষ করে মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যে আর্সেনিক দূষণ নেই বললেই চলে |

iii) ব্রাউন রাইস বারবার ধুয়ে তবে রান্না করুন , এতে আর্সেনিকের পরিমান কমবে |


অর্থাৎ ব্রাউন রাইস অবশ্যই Blood sugar control এর One of the best rice | তারপরও অ্যান্টিনিউট্রিয়েন্টস ও আর্সেনিকের জন্য একটু সাবধানেই খেতে হবে |


এটি একটি শিক্ষামূলক আলোচনা যা বিভিন্ন গবেষণাপত্রের তথ্য নির্ভর ।


Disclaimer: Contents including advice provides generic information only . All data and statistics are based on publicly available data at the time of publication . The content and the information in this video are for informational and educational purposes only, not as a medical manual . Dr Biswas youtube channel does not provide medical advice, diagnosis or treatment . Always consult a specialist or your own doctor for more information . Dr Biswas youtube channel does not claim responsibility for this information.

Bengali Health Tips
Dr Biswas