Скачать или смотреть সকল ধর্মের মর্ম কথা সবার ওপর মানবতা 2

সকল ধর্মের মর্ম কথা সবার ওপর মানবতা
"★মাওলাইয়াত বনাম খেলাফত★ °°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°° #মােহাম্মদী ইসলাম এত উচ্চাঙ্গের একটি জীবন দর্শন যে, ইহা সাধারণের ধর্ম নহে। অথচ আমরা ইহাকে সাধারণের আওতাভুক্ত করিয়া সংখ্যাধিক্যের (মেজোরিটি) আওয়াজ তুলিয়াছি। ফলতঃ সংখ্যাগুরুর হাতে পড়িয়া ইহা নাজেহাল হইয়া গিয়াছে। যাহারা ইহার প্রকৃত সংরক্ষক এবং জিম্মাদার তাহাদিগকে বলপূর্বক হটাইয়া দিয়া ইসলামের জয়ডঙ্কা বাজাইতেছি। অতএব ইহার স্বাভাবিক পরিণতির দুর্ভোগ ভুগিতেই হইবে। এইজন্য বর্তমান যুগে ধর্মীয় মুসলিম রাষ্ট্র অপেক্ষা ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র প্রকৃত ইসলামপন্থীগণের নিকট অধিক কাম্য। তাহারা মাওলাইয়াত প্রতিষ্ঠার জন্য মাওলার আগমন প্রতীক্ষায় রহিয়াছেন।। #শুধু ধর্মবিজ্ঞান জগতেই নহে, বস্তৃবিজ্ঞান জগতেও এইকথা সত্য। যাহার বস্তুবিজ্ঞান ক্ষেত্রে চরম জ্ঞানসম্পন্ন হইয়া থাকেন একমাত্র তাহারাই নূতন নূতন আবিষ্কারের দ্বারা বিজ্ঞানের উন্নতি সাধন করিয়া মানুষের বৈজ্ঞানিক সমাজ গঠন করিয়া দিতেছেন। অবশিষ্ট সকলে মিলিয়া তাহাদের দেওয়া নিয়মসমূহ গ্রহণ করিয়া পার্থিব উন্নতি সাধন বিষয়ে উহাকে কার্যকরী করিয়া তুলিতেছে এবং তদ্বারা উপকৃত হইতেছে।। #ধর্মবিজ্ঞান এবং অধ্যাত্মবিজ্ঞান বিষয়ে আমরা তাহার বিপরীত ব্যবস্থা গ্রহণ করিয়াছি। যাহারা এই বিষয়ে প্রকৃত নিয়ন্তা তাহাদের নিয়ন্ত্রণ ত্যাগ করিয়া সেই বিষয়ে নিম্নশ্রেণীর অবুঝ লােকদিগের ব্যবস্থা গ্রহণ করিয়াছি। ফলতঃ ধর্ম বিষয়ে সমাজের অধােগতি হওয়া অতি স্বাভাবিক। #মানবীয় প্রচেষ্টার সাহায্যে বস্তুবিজ্ঞানী তৈরি করা যায়। কিন্তু ধর্মবিজ্ঞানের জ্ঞানাধার নবী এবং ইমাম তৈরি করা যায় না। এই জ্ঞান দান করা আল্লাহর নিজ হাতে রাখা হইয়াছে।। #গণতন্ত্রের ভােটে নবুয়ত এবং ইমামত সৃষ্টি করা সম্ভব নহে। মােসলেম রাষ্ট্র তাহাও করিয়া দেখাইয়াছে। নবুয়ত খতম ঘােষণা করা হইয়াছে বিধায় নবী তৈরি করে নাই বটে, কিন্তু সরকার ইমাম তৈরি করিতে কসুর করে নাই। যেহেতু ইমামত খতম হওয়ার জন্য আসে নাই। নবুয়তের পরে একাধারে ইমামত চলিতে থাকিবার জন্যই গাদিরে খুমে উহার ভিত্তি স্থাপন করা হইয়াছিল, সেইহেতু আমরা দেখিতে পাই : রাজধানীর ইমাম, মফস্বলের ইমাম, রাজদরবারের ইমাম, ফেকা লেখক মজহাবের ইমাম, হাদীস সংকলক মােহাদ্দেস ইমাম, নামি লেখক হিসাবে লেখক ইমাম, পেশ ইমাম, মসজিদের ইমাম, নামাজের জামাতের ইমাম, ইত্যাদি কত বিচিত্র রকম ইমামের ছড়াছড়ি। উদার রাজদরবার হইতে দানের ফোয়ারা উৎসারিত হইয়া মর্যাদা অনুসারে যথাযােগ্য ইমামত যথাযােগ্য স্থানে সুবিন্যস্ত হইয়া যথাযােগ্য ধর্মীয় নেতৃত্ব সৃষ্টি করিয়া চলিয়াছে এবং উহার আশীর্বাদে সমাজের সকল দিকের সমস্যার সমাধান এক প্রকার গণতান্ত্রিক উপায়ে সুনিয়ন্ত্রিত হইয়া আসিতেছে।। #গাদিরে খুমে রসুলাল্লাহ (আ.) ঘােষিত মাওলাইয়াত তথা ইমামতকে খতম করিয়া থামিয়া গেলেই বা কেন চলিবে, নবুয়তের অহি বাক্য আগমন শেষ হইয়া যাওয়ার পর নবীর প্রয়ােজনও আর থাকে না। আল্লাহর কেতাবই তখন যথেষ্ট। আজ মাশাআল্লাহ আমাদের প্রতি ঘরে আল্লাহর কেতাব আসিয়া স্থান পাইয়াছে। শুধু কেতাবই নহে, লক্ষ লক্ষ অন্তরেও আল্লাহর কেতাব হেফাজতপ্রাপ্ত হইয়া হাফেজ তৈরি করিয়া ধর্মকে আমাদের সহজ নাগালে লইয়া আসিয়াছে। ধর্মের অভাব পুরােপুরি মিটিয়া গিয়াছে। ধন্য-ধন্য আমরা! জামাতে নামাজ পড়িতে গেলেই ইমামের সন্ধান পাওয়া যায়। জামাত যত ছােটই হােক “এক্তেদায়তু বে হাজাল ইমাম” বলিয়া নামাজ না পড়িলে সরকারি ফতােয়া অনুযায়ী নামাজ বাতিল হইয়া যাইবে। জীবনের কত শত গুনাহগার ইমামের পদাঙ্ক অনুসরণ করিবার ওয়াদা করিয়া আল্লাহকে সাক্ষী রাখিয়া কত নামাজ পড়িয়াছি। সখি গাে কেমনে কহি এ কথা সকলই গরল ভেল! #কারবালার ঘটনা কি ইসলামের আদর্শের উপর ঘটিয়াছিল? না শুধু ইমাম হােসাইনের (আ.) উপর ঘটিয়াছিল? যদি আদর্শের উপর ঘটিয়া থাকে তবে প্রত্যেক মুসলমান দলের জন্য আদর্শের সিদ্ধান্ত এবং প্রতিজ্ঞা গ্রহণের প্রয়ােজন আছে কি-না? উম্মতে মােহাম্মদীকে হযরত হােসাইন (আ.) কার্যতঃ ইহার উত্তর দেখাইয়া দিয়া গিয়াছেন : আমি হােসাইন কেন, সমগ্র ঘরবাড়ি উজাড় করিয়া দিতে পারি, যদি ভাগ্যে জোটে মােহাম্মদ (আ.)।। “#রসুলাল্লাহর (আ.) অনুমােদনক্রমে অত্যন্ত ন্যায়সঙ্গতভাবেই খেলাফত গঠিত হইয়াছে"-ইহা প্রমাণ করিয়া তুলিবার জন্য বহু হাদিস রসুলের নামে রচনা করা হইয়াছে। ধর্মীয় সাহিত্য হিসাবে হাদিস বিশেষ করিয়া বােখারী এবং মােসলেমের বর্ণিত হাদিসসমূহ এমন সব আত্মবিরােধী কথার সমষ্টি এবং কথার অসামঞ্জস্যতা তাহাতে এত বেশি যে, তাহাদের দুইজনের গ্রন্থকে সরকারি দালাল ব্যক্তিগণের উদ্দেশ্যমূলক রচনা ছাড়া আর কিছুই বলা চলে না। অতি দক্ষতার সহিত তাহারা এই কাজ সম্পন্ন করিয়াছেন।। #নেতা নিযুক্ত করিবার বিষয়ে নবী যদি বিপরীত উক্তি করেন এবং পরস্পর বিপরীত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন তাহা হইলে তিনি নবী হইতে পারেন কেমন করিয়া? পার্থিব বিষয়ের নেতা হওয়ার যােগ্যতাও রাখেন না। আধ্যাত্মিক বিষয় তাে দূরের কথা।