#Earthquake #Warning #Islam #Tawba #JudgmentDay
মিয়ানমারে সংঘটিত ভয়াবহ ভূমিকম্পটির শক্তি ছিল ৩৩৪টি পরমাণু বোমার সমান। এ তথ্য জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ববিদ জেস ফনিক্স। তিনি সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, মিয়ানমারের ভূমিকম্প যে পরিমাণ শক্তি নির্গত করেছে, তা প্রায় ৩৩৪টি পরমাণু বোমার সমান।
মায়ানমারের সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের পর দেশজুড়ে উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে ১ হাজারের বেশি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ২ হাজার ৩৭৬ জনকে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ৩০ জন।
ভূমিকম্পের তীব্রতা শুধু মিয়ানমারেই সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং এর কম্পন অনুভূত হয়েছে প্রতিবেশী থাইল্যান্ড, দক্ষিণ-পশ্চিম চীন, ভারত, ভিয়েতনাম, লাওস, কম্বোডিয়া এবং বাংলাদেশেও। ক্ষয়ক্ষতির দিক থেকে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে থাইল্যান্ডে। দেশটির রাজধানী ব্যাংককে কয়েকটি বহুতল ভবনধসে পড়েছে। এখন পর্যন্ত সেখানে ১০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং শতাধিক মানুষ নিখোঁজ রয়েছে।
এটি শুধুই প্রাকৃতিক দুর্যোগ, নাকি আল্লাহর পক্ষ থেকে আমাদের জন্য একটি পরীক্ষা?
আসুন জেনে আসি কোরআন ও হাদিসের আলোকে
ইসলামের দৃষ্টিতে ভূমিকম্প একটি আল্লাহর নিদর্শন, যা তাঁর সৃষ্টি ও কুদরতির অংশ। এটি মানুষের জন্য সতর্কবার্তা, শাস্তি, পরীক্ষা বা রহমত হিসেবে আসতে পারে। কুরআন ও হাদিসে ভূমিকম্প সম্পর্কে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে আলোচনা করা হয়েছে।
১. মানুষের পাপ ও অবাধ্যতার কারণে
হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: "যখন কোনো জাতির মধ্যে ব্যভিচার ছড়িয়ে পড়ে, সুদ খাওয়া সাধারণ হয়ে যায়, মাপ ও ওজনে কারচুপি করা হয় এবং তারা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের বিরোধিতা করে, তখন আল্লাহ তাদের ওপর শাস্তিস্বরূপ ভূমিকম্প প্রেরণ করেন।" (ইবনে মাজাহ: ৪০১৯)
এই হাদিস থেকে বোঝা যায়, যখন সমাজে অন্যায়, পাপাচার ও অবিচার বেড়ে যায়, তখন আল্লাহ সতর্কবার্তা হিসেবে ভূমিকম্প পাঠাতে পারেন।
২. কেয়ামতের আলামত হিসেবে
কুরআনে বলা হয়েছে, "যখন পৃথিবী তার প্রচণ্ড কম্পনে প্রকম্পিত হবে।" (সূরা যিলযাল: ১)
কেয়ামতের সময় বড় ভূমিকম্প হবে, যা সমগ্র পৃথিবীকে কাঁপিয়ে দেবে। হাদিসে বলা হয়েছে, কেয়ামতের পূর্বে ভূমিকম্পের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।
রাসুল (সা.) বলেছেন: "কিয়ামতের পূর্বে ভূমিকম্প বৃদ্ধি পাবে।" (বুখারি: ৯৮০)
৩. আল্লাহর পরীক্ষার অংশ হিসেবে
ভূমিকম্প কখনো কখনো মানুষের জন্য পরীক্ষা হতে পারে। আল্লাহ বলেন, "আমি তোমাদেরকে ভয়, ক্ষুধা, জানমালের ক্ষতি এবং ফলফসল বিনষ্টের মাধ্যমে পরীক্ষা করব। তবে সুসংবাদ দাও ধৈর্যশীলদের।" (সূরা বাকারা: ১৫৫)
এটি বোঝায় যে, কখনো আল্লাহ মানুষকে পরীক্ষা করার জন্যও ভূমিকম্প ঘটাতে পারেন, যেন তারা আল্লাহর দিকে ফিরে আসে।
৪. নেককার বান্দাদের জন্য রহমত
যদি কোনো মুমিন ভূমিকম্পে মারা যায়, তবে সে শহীদের মর্যাদা লাভ করবে।
রাসুল (সা.) বলেছেন: "যে ব্যক্তি ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে মারা যায়, সে শহীদের মর্যাদা লাভ করে।" (বুখারি, মুসলিম)
ভূমিকম্প আল্লাহর কুদরতির অংশ এবং এটি সতর্কবার্তা, পরীক্ষা, শাস্তি বা রহমত হতে পারে। এজন্য আমাদের উচিত পাপ থেকে ফিরে আসা দোয়া করা ও আল্লাহর পথে চলা।
Информация по комментариям в разработке