স্কিন স্পেশালিস্ট অধ্যাপক ডাঃ আনজিরুন নাহার আসমা
অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান
পপুলার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল
চেম্বারঃ
পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ধানমন্ডি, ঢাকা
সিরিয়ালঃ 01324169969
ইবনে সিনা ডি. ল্যাব এন্ড কলসালটেশন সেন্টার, দয়াগঞ্জ, ঢাকা
সিরিয়ালঃ 096-100-09615
#meditalkdigital
ভিডিওটিতে সারা শরীরে চুলকানি এবং এর প্রতিকার নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
চুলকানির লক্ষণ ও কারণ:
চুলকানি সাধারণত পরিবারের একাধিক সদস্যের মধ্যে একই সাথে দেখা যায় [00:40]।
রাতে চুলকানি বেশি হয় [00:40]।
পুরুষদের ক্ষেত্রে অণ্ডকোষ বা লিঙ্গের চামড়ায় এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে বগল বা স্তনবৃন্তের চারপাশে চুলকানি বেশি দেখা যায় [00:40]।
চিকিৎসা ও প্রতিকার:
পারমেথ্রিন, ক্রোটামিটন, এবং বেনজাইল বেনজোয়েট-এর মতো ওষুধ ব্যবহার করা হয় [00:40]।
পরিবারের সকল সদস্যকে একই সাথে ওষুধ ব্যবহার করতে হবে এবং সারা শরীরে লাগাতে হবে [00:40]।
ওষুধ লাগানোর পর তিন দিনের মধ্যে ব্যবহৃত সমস্ত কাপড়চোপড়, বিছানার চাদর, বালিশের কভার, কাঁথা, এবং তোয়ালে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে শুকিয়ে ইস্ত্রি করতে হবে [00:40]।
সঠিকভাবে ওষুধ ব্যবহার এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখলে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব [00:40]।
সারা শরীরে চুলকানি একটি সাধারণ সমস্যা, যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। এর পেছনে যেমন ত্বকের সাধারণ সমস্যা থাকতে পারে, তেমনি কিছু গুরুতর রোগের লক্ষণও হতে পারে।
চুলকানির সাধারণ কারণসমূহ:
১. শুষ্ক ত্বক: এটি চুলকানির সবচেয়ে সাধারণ কারণ। শীতকালে বা শুষ্ক আবহাওয়ায় ত্বক শুষ্ক হয়ে চুলকাতে পারে।
২. এলার্জি: কোনো খাবার, ওষুধ, পরাগ, ধুলো, পশুর লোম, বা কসমেটিকসের প্রতি এলার্জিক প্রতিক্রিয়া থেকে চুলকানি হতে পারে।
৩. ত্বকের রোগ:
একজিমা (Eczema/Atopic Dermatitis): ত্বকে লালচে ভাব, ফুসকুড়ি এবং তীব্র চুলকানি হয়।
সোরিয়াসিস (Psoriasis): রূপালী আঁশযুক্ত লালচে দাগ হয়, যা চুলকায়।
আর্টিকেরিয়া (Urticaria/Hives): ত্বকে লালচে, চুলকানিযুক্ত চাকা বা ফুসকুড়ি হয়।
দাদ (Ringworm/Fungal Infection): ছত্রাক সংক্রমণের কারণে গোল বা ডিম্বাকার চুলকানিযুক্ত লালচে দাগ হয়।
স্ক্যাবিস (Scabies): ক্ষুদ্র পরজীবী দ্বারা সৃষ্ট, যা ত্বকের গভীরে বাসা বাঁধে এবং রাতে তীব্র চুলকানি হয়।
৪. পোকা-মাকড়ের কামড়: মশা, ছারপোকা, মাকড়সা বা অন্যান্য পোকার কামড় থেকে চুলকানি হতে পারে।
৫. অভ্যন্তরীণ রোগ:
কিডনি রোগ (Kidney Disease): কিডনির কার্যকারিতা কমে গেলে রক্তে বিষাক্ত পদার্থ জমে চুলকানি হতে পারে।
লিভার রোগ (Liver Disease): জন্ডিস বা পিত্তথলির সমস্যায় চুলকানি দেখা দিতে পারে।
ডায়াবেটিস (Diabetes): রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি হলে ত্বক শুষ্ক হয়ে বা সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে চুলকাতে পারে।
থাইরয়েড সমস্যা (Thyroid Problems): হাইপোথাইরয়েডিজম বা হাইপারথাইরয়েডিজম উভয় ক্ষেত্রেই চুলকানি হতে পারে।
রক্তের রোগ (Blood Disorders): যেমন লিম্ফোমা (Lymphoma) বা পলিসাইথেমিয়া ভেরা (Polycythemia Vera)।
৬. ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: কিছু ঔষধের (যেমন - অপিয়েট, কিছু অ্যান্টিবায়োটিক) পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে চুলকানি হতে পারে।
৭. গর্ভাবস্থা: হরমোনের পরিবর্তনের কারণে গর্ভাবস্থায় অনেক মহিলার শরীরে চুলকানি হতে পারে।
চিকিৎসা:
চুলকানির চিকিৎসা তার কারণের উপর নির্ভরশীল।
১. কারণ নির্ণয়: সঠিক চিকিৎসার জন্য প্রথমে চুলকানির কারণ নির্ণয় করা জরুরি। এর জন্য একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। ডাক্তার আপনার শারীরিক পরীক্ষা করবেন এবং প্রয়োজনে রক্ত পরীক্ষা বা ত্বকের বায়োপসি করাতে পারেন।
২. সাধারণ উপশম:
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার: শুষ্ক ত্বকের জন্য নিয়মিত ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
ঠান্ডা সেঁক: চুলকানির স্থানে ঠান্ডা সেঁক দিলে সাময়িক উপশম হতে পারে।
নিয়মিত গোসল: কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করুন এবং মাইল্ড সাবান ব্যবহার করুন।
ঢিলেঢালা পোশাক: সুতির ঢিলেঢালা পোশাক পরুন।
নখ ছোট রাখা: নখ ছোট রাখুন যাতে চুলকানোর সময় ত্বকে আঘাত না লাগে।
৩. ওষুধপত্র:
অ্যান্টিহিস্টামিন: এলার্জিজনিত চুলকানির জন্য ওরালি অ্যান্টিহিস্টামিন যেমন - সেটিরিজিন, লোরাটাডিন, বা ফেক্সোফেনাডিন ব্যবহার করা হয়।
টপিকাল স্টেরয়েড ক্রিম: একজিমা বা সোরিয়াসিসের মতো ত্বকের রোগের জন্য হাইড্রোকর্টিসোন বা অন্যান্য স্টেরয়েড ক্রিম ব্যবহার করা হয়। তবে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া দীর্ঘ সময় ব্যবহার করা উচিত নয়।
অ্যান্টিফাঙ্গাল ক্রিম: ছত্রাক সংক্রমণের জন্য অ্যান্টিফাঙ্গাল ক্রিম বা পাউডার ব্যবহার করা হয়।
পারমেথ্রিন/ক্রোটামিটন লোশন: স্ক্যাবিসের চিকিৎসার জন্য পারমেথ্রিন লোশন বা ক্রোটামিটন ব্যবহার করা হয়। ভিডিওতে যেমনটি বলা হয়েছিল, এই ক্ষেত্রে পরিবারের সকল সদস্যকে একই সাথে চিকিৎসা নিতে হবে এবং ব্যবহৃত কাপড়চোপড় গরম পানিতে ধুয়ে ফেলতে হবে।
অন্যান্য ঔষধ: যদি চুলকানি কোনো অভ্যন্তরীণ রোগের কারণে হয়, তাহলে সেই রোগের চিকিৎসা করতে হবে।
সবসময় মনে রাখবেন, স্ব-চিকিৎসা না করে একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া সবচেয়ে নিরাপদ ও কার্যকর পথ।
চুলকানি,চুলকানি দূর করার উপায়,যৌনাঙ্গে চুলকানি,শুকনা চুলকানি,চুলকানি ও এলার্জি,চুলকানি থেকে মুক্তির উপায়,যৌনাঙ্গের পাশে চুলকানি,চুলকানির মলম,যৌনাঙ্গে চুলকানি কি করবো,যৌনাঙ্গ চুলকানি,পিঠে চুলকানি হলে,যৌনাঙ্গে চুলকানি ঘরোয়া উপায়,পাছায় চুলকানি হলে,স্তনে চুলকানি হলে,যৌনাঙ্গে চুলকানি দূর করার ক্রিম,যৌনাঙ্গে চুলকানির,যৌনাঙ্গে চুলকানি হলে করনীয়,চুলকানি দূর করার ক্রিম,যৌনাঙ্গ চুলকায়,চুলকানি বা,যৌনাঙ্গে ইচিং বা চুলকানি,চোখ চুলকানো,চুলকানি দাদ
Информация по комментариям в разработке