Скачать или смотреть স্বৈরাচারী ইউনূসের অপশাসনে জনগণের নাভিশ্বাস,

স্বৈরাচারী ইউনূসের অপশাসনে জনগণের নাভিশ্বাস,
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ হাজারগুণ ভালো ছিলো বলে জনমত
---

বাংলার মানুষের অধিকার রক্ষায় স্বাধীনতার সংগ্রাম থেকে জন্মলগ্ন পর্যন্ত যে রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব অনুসরণ করে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে দেশ স্বাধীন করেছে সেই দলটার নাম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এই রাজনৈতিক দলটির বিরুদ্ধে তৈরি হয়েছে নানা ষড়যন্ত্র, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে সৃষ্টি কারী এই দল একেবারে নিশ্চিহ্ন করার প্রয়াস চালানো হয় স্বাধীনতার মাত্র ৪ বছরের মাথায়। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ সাক্ষী, যেসব অপবাদ দিয়ে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে, পরবর্তী সরকারগুলোর মাঝে সেই অপবাদের বৈশিষ্ট্যগুলোই বেশি করে ফুটে ওঠে৷

বলা হয়েছিলো বাংলাদেশের ভাগ্য পরিবর্তনে প্রস্তাবিত বাকশালের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু দেশে একদলীয় ফ্যাসিজম সৃষ্টি করবেন। কিন্তু তাঁকে হত্যার পর আমরা দেখলাম জিয়াউর রহমানই হ্যা/না ভোটের মাধ্যমে একদলীয় সরকার ব্যবস্থাই কায়েম করেছেন। এরপর যথারীতি জিয়ার দেখানো পথে সামরিক ক্যু- এর মাধ্যমে জাতি এরশাদের স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থাও দেখলো। এরপর বিএনপি এলো, দুর্নীতিতে দেশকে চ্যাম্পিয়ন বানালো, বিএনপির ছায়াতলে দেশবিরোধী উগ্রবাদী শক্তি জামায়াত ব্যাপক সাম্প্রদায়িক হামলা, হত্যা নির্যাতন চালালো।

অপরদিকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী ক্ষমতায় এলো, বাংলাদেশে স্বৈরশাসনে অবসান ঘটলো। শুরু হলো দেশের মানুষের ভাগ্যবদল, বিএনপির আমলের টাইটেল দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন থেকে বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেলে রুপান্তরিত করলো জননেত্রী শেখ হাসিনা৷ ক্ষমতার মেয়াদ শেষে বিএনপি সহ সকল রাজনৈতিক দলকে নিয়ে নির্বাচনের ডাক দিলো, বিএনপি ২০১৪ সালের নির্বাচন বয়কট করে সরকার পতনের ছক কষতে লাগলো। ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে বিএনপি হেরে গেলো, 'রাতের ভোট' গুজব ছড়িয়ে নির্বাচিত সাংসদদের নিয়ে পার্লামেন্টে হাজির হয়ে নির্বাচনকে বৈধ প্রমাণিত করলো। আবার ২০২৪ এর নির্বাচন বয়কট করলো অযৌক্তিকভাবেই।

এবার কোটার নামে সকল দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রীরা একইভূত হলো। দেশের রাষ্ট্রীয় ভবন, মেট্রোরেল, গণপরিবহন, সাংবাদিক-পুলিশ আর সাধারণ ছাত্র-জনতাকে মেটিকুলাস পরিকল্পনা অনুযায়ী হত্যা করা হলো, রক্তপাত এরাতে শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে সরে দাঁড়ালেন, দেশে নজিরবিহীনভাবেই একটি দাঙ্গার মাধ্যমে অসাংবিধানিক সরকারের আবির্ভাব ঘটলো। মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীরা মাথা চাড়া দিয়ে উটলো, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি দেখে জনগণ ট্রমাটাইজড, জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে সন্দিহান। চারদিকে লুটপাট, গুম, খুন, ধর্ষণ বেড়েই চলছে, নতুনভাবে পরিচয় হয়েছে সরকারি মদদে সন্ত্রাসীদের মবসন্ত্রাসের সাথে। দেশে যেনো কোন বিচার নেই, সরকারই বিচার করতে চায় না, আইনের প্রতিষ্ঠা চায়না, সংবিধান বাতিল চায় এরা। চরম স্বৈরাচারে ভরপুর এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিবেচনায় ইউনূস সরকারের উপর জনগণ আস্থা হারিয়েছে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ কতটা শান্তিপূর্ণ ছিলো- হারে হারে টের পাচ্ছে মানুষ।