যে_নারীরা_যিনা_না_করেও_যিনাকারিনী
_____________________
কোনো নারী যদি পারফিউম, সেন্ট, বডি
স্প্রে বা এ
ধরণের কোন সুগন্ধি জাতীয় কিছু দিয়ে
সুরভিত হয়ে
বাইরে বের হয়, আর পর পুরুষেরা তার সুগন্ধি
পায়, তাহলে
তিনি ব্যভিচারিণী নাররী বলে গণ্য হবেন।
__________
এই কথার দলীলঃ- রাসুলুল্লাহ (সা:)
বলেছেন, “কোন
মহিলা সুগন্ধি মেখে যদি লোকদের কাছে
এজন্য যায়
যে, তারা তার কাছ থেকে সুঘ্রাণ লাভ
করবে, তাহলে
সেই মহিলা ব্যভিচারিণী।” আবু দাউদঃ
৪/৭৯;তিরমিযীঃ ৫/১০৬; নাসাঈঃ ৮/১৫৩।
_________
কোনো নারী যদি সুগন্ধি মেখে মসজিদে
যায় সালাত
আদায় করার জন্য, তাহলে তার সালাত
আল্লাহ কবুল
করবেন না। তাকে বাসায় ফিরে গিয়ে ফরয
গোসলের
মতো গোসল করে এরপর সালাত পড়তে হবে।
কারণ,
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া
সাল্লাম
বলেছেন, “আল্লাহ সেই মহিলার সালাত
কবুল করেন না,
যে সুগন্ধি মেখে তার ঘ্রাণ বাতাসে
ছড়িয়ে মসজিদের
উদ্দেশ্যে বের হয়, যে পর্যন্ত না সে ঘরে
ফিরে আসে ও
গোসল করে।” বায়হাকীঃ ৩/২৪৫;
জিলবাবঃ ১৩৮।
______
চিন্তা করুন সুগন্ধি ব্যবহার করে নারীদের
মসজিদে
পর্যন্ত যেতে বারণ, আর সেখানে মেয়েরা
বিভিন্ন
সুগন্ধি ব্যবহার করে বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে
অনেক
মহিলা তো এ ব্যাপারে একেবারেই
উদাসীন, আর
অনেকেই তো এ বিষয়টিকে খুব হালকাভাবে
গ্রহণ করে।
যে সমস্ত নারীরা সেজেগুজে বিভিন্ন
ধরনের সুগন্ধি
মেখে গাড়ীতে, রাস্তায় চলাফেরা করছে,
দোকানে
যাচ্ছে, স্কুল-কলেজ ও ইউনিভার্সিটিতে
যাচ্ছে, তারা
শরী’আতের নিষেধাজ্ঞার দিকে
সামান্যতমও খেয়াল
করে না।মনে রাখবেন আপনি যিনা না
করেও
যিনাকারিনী হয়ে যাচ্ছেন।আমার
সম্মানীত মা ও
বোনেরা কিসে আজ আপনাকে এতো
উদাসীন করে
রেখেছে । আপনি কি জানেন আমাদের
নবী (সা:) যখন
মেরাজের রজনীতে গমন করেছিলো তখন
জাহান্নামের
মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখেছিল নারী
জাতিকে। আজ
যখন নারীদের নামাজ পড়ার বিষয়ে বলা হয়
ঠিকিই
তারা নামাজ পড়ে, রোযা রাখতে বললেও
আলহামদুলিল্লাহ ঠিকি পালন করে, কন্তিু
১০০%
শারিয়া মতো পর্দা করার বিষয়ে বললেয়
নারাজ কেন
বোন?? পর্দা করা কি নামাজ,রোযার মতো
ফরয না??
কিছু কিছু বোনকে দেখি পর্দা করেন ঠিকি
কিন্তু এ
পর্দা করাতো হয় না বরং পর্দা নিয়ে
মশকরা করা হয়।
যে টাইট ফিট, কালার ফুল বোরকা বা
হিজাব পড়ে ।
বোন ইসলামে পর্দাতো ফেশন করে কালার
ফুল হয়ে
নিজেকে পর পরুষের কাছে আকৃষ্ট করতে
বলেনি । ইসলাম
আপনাকে সেই ভাবে পর্দা করতে বলেছে
যে পর্দা
করলে পর পুরুষ আকৃষ্টতো দূরে থাক বরং
আপনি দেখতে
ফর্শা না কালো, মোটা না চিকন তাও
বোঝা যাবেনা।
আলহামদুলিল্লাহ এখনও খুব কম কিছু কিছু
বোনদের দেখা
যায় হাত-মোজা, পা-মোজা পড়ে
আপাদমস্তক ১০০%
শারিয়া মতো পর্দা করেন ।সত্যি বলছি
এমন পর্দানশীল
নারী দেখলে আমার মতে সব পুরুষেরই ঐ
নারীর প্রতি
সম্মানবোধ টা অনেক বেরে যায়। বোন
পর্দা নারীর মূল
সৌন্দর্য ।বে-পর্দানশীল নারী অন্য পুরুষের
লালসার
পাএ ছাড়া আর কছিু হয় না। কারন ঐ
নারীতো বে-পর্দায়
ঘর তেকে বেরই হয় পর পুরুষকে আকৃষ্ট করতে ।
একবার কি
ভেবে দেখেছেন আপনি যখন বে-পর্দায় ঘর
থেকে বের
হচ্ছেন তখন কতো রিক্সা চলাক, কুলি
মজুরের লালসার
পাএ হচ্ছেন আপনি । আপনার বে-
পর্দানশীল ঐ সৌন্দর্য
দেখে কতো রিক্সা চলাক, কুলি মজুরেরা
কতো কু-স্বপ্ন
দেখছে আপনাকে নিয়ে আপনি জানেন
তো ?? ।এ
বিষয়টা ভাবতেও তো কেমন লাগে। নিজের
ভালো
পাগলেও বোঝে কিন্তু আপনি বুঝলেন না
আপনি যার
তার কু-স্বপ্নের পাএ হবেন কেন ? ।বোন
আপনার এই
সৌন্দর্য কেবল আপনার স্বামীর আমানত,
এটাকে রক্ষা
করা আপনার দায়িত্ব ।
___________
হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে
বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা:) ইরশাদ করেছেন-
দুই শ্রেণীর
দোযখী এখনও আমি দেখিনি। (কারণ তারা
এখন নেই,
ভবিষ্যতে আত্মপ্রকাশ করবে) এক শ্রেণী
হচ্ছে ঐ সকল
মানুষ, যাদের হাতে ষাঁড়ের লেজের মতো
চাবুক থাকবে,
যা দিয়ে তারা মানুষকে প্রহার করবে।
(দ্বিতীয় শ্রেণী
হচ্ছে) ঐ সকল নারী, যারা হবে পোশাক
পরিহিতা, নগ্ন,
আকৃষ্ট ও আকৃষ্টকারী; তাদের মাথা হবে
উটের হেলানো
কুঁজের ন্যায়। এরা জান্নাতে যাবে না এবং
জান্নাতের
খুশবুও পাবে না অথচ জান্নাতের খুশবু তো
এত এত দূর
থেকে পাওয়া যাবে।-মুসলিম ২/২০৫,হাদীস:
২১২৮ এই
হাদীসে বেপর্দা নারীদের প্রতি কঠিন
হুঁশিয়ারি
শোনানো হয়েছে। সুতরাং তাদের মৃত্যুর
আগেই তাওবা
করে পর্দার বিধানের দিকে ফিরে আসা
কর্তব্য।
কারো সমালোচনা করার জন্য নয়, মুসলমান
হিসেবে
একটা হারাম কাজ থেকে নারীদেরকে
সতর্ক করার জন্য
এই লেখা, কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে দুঃখিত।
আমাকে
ক্ষমা করবেন
#গোপনে_যেনা_করলে_৩_টি_বিপদ_আসবে - আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ ইসলামের আলো
Информация по комментариям в разработке