দেশবিভাগ /

Описание к видео দেশবিভাগ /

#কবিতা /#জীবনানন্দ_দাশ /#অজস্র /#আবৃত্তি #best_religion
★★
যুদ্ধের বাহ্যিক রুপ প্রায় সবসময় একই রকম
দেখেছি আমরা,ঝনঝন করে ওঠা অস্ত্র -রক্ত -হায়নার লেলিহান চোখ -তপ্ত বিদগ্ধ প্রান্তরের মত যেন এই যুদ্ধলোক। তবু শুধু ভালোবেসে -শুধু একটি ফুলকে বাঁচাতে এসে -বহুবার মানুষ -কখনও বা নিরুপায় হয়ে আত্নঅস্তিত্বরক্ষার তাগিদে যুদ্ধে গিয়াছে!

আবার এও আমরা দেখিয়াছি: কত কিছু এই পৃথিবীতে হয়ে যায় পুরাতন- সনাতনী ভাড়ার -প্রাচীনতম ব্যালাড, হয়ে যায় মান্ধাতার আদি অন্ধকারের মত অথবা চলে যায় যে কোন যাদুঘরে পড়ে থাকে কালো কাষ্ঠে গাঁথা প্রাচীন কোন সম্রাজ্যের অন্তিম স্মৃতিচিহ্ন এক মূদ্রার মত।
তবু হায়! যুদ্ধ কেন যায় না অমনভাবে হারায়ে ফুরায়ে ধুঁয়ে মুছে বিলুপ্তির অস্তাচলে? কেন হয়না শুধুই রুপকথার কাহিনীর বচন ? বার বার কেন আমাদের আন্তরিক জীবনে আমাদেরই সন্ধেহের ছায়াপাত টেনে এনে তারেই ডেকে আনা...
কেন?কেন? কেন?

এই উত্তরাধুনিক কালেও মানুষ সমাধান হিসেবে অস্ত্র আর রক্তের যুদ্ধ কে কেন যে টেনে এনে (মধ্যযুগ থেকে মনে হয়) সভ্যতার নাভীমূলে ছুড়ে দেয় বিষবিশ্চকের মত- আমার তাহা বোধগোম্য হয় নি কোনকালে আর আজো হয় না।
যুদ্ধদেবতারা মরে গেছে ভেবে যখন পৃথিবীতে আবির্ভূত অলিম্পিক, বিভিন্ন আরো ক্রীড়া-টুর্নামেন্ট , ডিবেট কমপেটিশন, প্রভৃতির মত যত সুন্দর শক্র শক্র খেলা, রক্তের অস্থিরতা মেটানোর তরে মল্ল,মুষ্টি,কুস্তি রেসলিং এর মত আরো কত ডামি যুদ্ধ ?
তবু আজো কেন রুশ-ইউক্রেন ইজরাইল-প্যালেস্টাইন,জম্মু-আজাদ রক্ত স্নান থামিয়ে দেয় না? কেন নিষ্পাপ শিশুর ধবল বুক বাফার স্টেটের মত ঝুলে থাকে বিবেকের নির্মম দড়িতে আমাদের বন্ধ চক্ষুর অন্ধকারলোকে-দুস্বপ্নেরা যেমন!
কেন?কেন? কেন?

যদিও আজ সভ্যতার প্রজ্ঞাশীল এই সভ্য মানুষই আশাশীল হয়ে -কত শত পথ বাতলে দিয়ে গেছে যুদ্ধের বিকল্প হিসেবে, তবু ফের যুদ্ধই যেন শ্রেষ্ঠ বিকল্প হয়ে বার বার আমাদের নিরুত্তর নিরুপায় পথ সেঁজে ডেকে নিয়ে গেছে ঘোরতর অমানিশার ধূসর গুহার দিকে ।
এই সব কেন'র সঠিক কোন উত্তর কেউ দিতে পারবে না জানি আমি।

রক্ত; সে যে আদম সন্তানের হোক না কেন নগ্ন হয়ে ঝরে ঝরে যাক তাহা পৃথিবীর পথে :- মানুষ যে? বুকে যার হৃদয়ের ছায়াটুকু অন্তত আজো আছে?এক তিল মনুষত্ব রয়ে গেছে অন্তরে যার? -সে সজ্ঞানে চায় না তাহা-এই অন্তিম বিশ্বাস আমার !

আদম যুদ্ধবাজ নয় হতে পারে না সে যুদ্ধপ্রেমি এই আমার চুরান্ত ধারনা। তাই যে তারনা ভাই ভাইয়ের রক্ত ঝরায়, যে চেতনা যুদ্ধ আনে তাকে চিনে নেওয়া দরকার ; আমাদের একান্ত এষণায় চেতনা পটে তা নির্ণয়ের আজি আসিয়াছে সময়!

1946-1947 ব্রিটিশ অবসান ও আমাদের দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে পার্টিশনের রক্ত ক্ষয়ী যুদ্ধের ইতিহাস আমরা কম বেশী সকলে জানি। এখানে ঐসব ঐতিহাসিক ঘটনার আদতে উত্থানপতনের প্রয়োজন কিম্বা অপ্রয়োজন ছিল কিনা তাহা অবতারনায় আজ আমি যাবো না,সেটা বিশ্লেষন আমার মূল বক্তব্যকে এখানে ধূসর করে দেবে। শুধু বলবো সেই যুদ্ধে দুই বাংলার লক্ষ গ্রাম ধর্মের রেখায় ভাগই শুধু হয়নি বহু

কাটাকাটি করে তনুচ্ছেদ করে রক্ত গঙ্গার শুন্যতায় গিয়ে ক্ষান্ত দিয়েছিল !

যে শূন্যতার ধূ ধূ প্রান্তর কবি (জীবন আনন্দ দাশ) হৃদয়ের রক্ত ঝরিয়ে দিয়ে গেছে!
কবিরই শুধু নয় সকলের হৃদয়েই ঝরেছে -কবি শুধু জনমানুষের হৃদয়ের মুখপাত্র হয়ে সত্য লিখে গেছে আর আমি...
আমি নিজের আপন মনের ভেতরের কথায় তার প্রতিধ্বনি টের পেয়ে -গ্রহণ করে মনের অরণ্যে রোদন ছাড়া কি করতে পারি? তাই আজ এ পাঠ...আবৃত্তিও বলা যেতে পারে।

বি:দ্র:-
যাহারা এইসব ছত্রের ভেতরে আন্তরিক মনন লয়ে নিবিষ্ট হবেন? আমি প্রথমে তাহাদের ধন্যবাদ দিয়ে পৃথিবীর মানুষকে ধন্যবাদ দিয়ে যাই।

অজস্র মামুন (কবি)
বৃহস্পতিবার /৯ই শ্রাবন- ১৪৩১ /
/মতিঝিল বানিজ্যিক এলাকা/ ঢাকা।

Комментарии

Информация по комментариям в разработке