Скачать или смотреть পুর্ণ্যার্থীদের অংশ গ্রহনে ঘাগড়া বৈজয়ন্ত বন বিহারে ২৪ তম কঠিন চীবর দান সম্পন্ন

কাউখালী প্রতিনিধিঃ

রাঙামাটির কাউখালীতে ঘাগড়া বৈজয়ন্ত বন বিহারে ২৪ তম দানোত্তম মহান কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত হয়েছে।  ২৩ ও ২৪শে অক্টোবর দু'দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত বৈজয়ন্ত বন বিহার পরিচালনা কমিটির আয়োজনে বিহার প্রাঙ্গণে- ২ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে সকালে বুদ্ধ পতাকা উত্তোলন, বুদ্ধ পূজা গাথা, পঞ্চশীল গ্রহণ, বুদ্ধ মূর্তি দান, সংঘদান, অষ্টপরিস্কার দান, পিন্ডদান দানসহ নানাবিধ দানের আয়োজন করা হয়।

দ্বিতীয় পর্বে বিকালে ১ টা ৩০ মিনিটে কঠিন চীবর ও কল্পতরু শোভাযাত্রার মাধ্যমে মঞ্চে আনা হয়। এরপর উদ্বোধনী ধর্মীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্যদিয়ে সকল প্রাণীর হিতসুখ সুখ, বিশ্বশান্তি মঙ্গল কামনায় পঞ্চশীল গ্রহন, কল্পতরু দান ও কঠিন চীবর দান সম্পাদন করা হয়।

ধর্মীয় সভায় বিহারের অধ্যক্ষ তেজ ইন্দ্রিয় এর  সভাপতিত্বে প্রধান ধর্মদেশক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মরিশ্যাবিল ভাবনা কুটিরের অধ্যক্ষ জিনপ্রিয় মহাস্থবির, রাজবন বিহারের সুমন মহাস্থবির, পুর্ণ্য জ্যোতি মহাস্থবির, সত্যপ্রেম মহাস্থবির, মণিপুর ভাবনা কুটিরের অধ্যক্ষ আর্য্যশ্রী মহাস্থবির, আদিকল্যাণ মহাস্থবির, তিলকানন্দ মহাস্থবির সহ বিভিন্ন শাখা বন বিহার থেকে ভিক্ষু সংঘ উপস্তিত ছিলেন।

অনুষ্টানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্তিত ছিলেন রাঙামাটি জেলা বিএনপি সভাপতি দীপন তালুকদার দিপু, কাউখালী উপজেলা সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অর্জুন মনি চাকমা, বৈজয়ন্ত বন বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি শশী কুমার চাকমা, সাধারণ সম্পাদক শান্তি মনি চাকমা, সিএইচটি বার্তা ডট কম এর সম্পাদক নিউটন চাকমা, শিক্ষক (অবঃ) কৃষ্ণ মনি চাকমা প্রমুখ।

দানোত্তম কঠিন চীবর দান মুলত, এটি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের শ্রেষ্ঠ দান হিসেবে উল্লেখযোগ্য। যা এই কঠিন চীবর দানটি অন্যান্য দানের চেয়ে ষোল ভাগের এক ভাগ। এই কঠিন চীবরটি সাধারণত তুলা থেকে সুতা তৈরি, সুতা রং করে আগুনে শুকিয়ে কোমর তাঁতের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বুনন করে সেলাই করা পর্যন্ত এই দানকে কঠিন নিয়মে পালন করাকে কঠিন চীবর দান বলা হয়। এই দান থেকে অর্জিত পুণ্য অন্য অনেক দানের ফলের চেয়ে অনেক বেশি এবং এটি বর্ষাবাস শেষে এক মাস ব্যাপী এই দানোৎসবটি পালন করারহয়ে থাকে।

এই দানের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের এক সামাজিক মিলনমেলায় পরিণত হয়।