Скачать или смотреть বগুড়ায় পারিবারিক দ্বন্দ্বে দ্বিতীয় শ্রেনীর স্কুল ছাত্রীকে নৃশংস ভাবে ধর্ষনের পর হত্যা

বগুড়ার ধুনটে দ্বিতীয় শ্রেনীর ছাত্রী তাবাসসুমকে ৪ জন পাষন্ড মিলে পালাক্রমে ধর্ষনের পর নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। গ্রেফতার হওয়া ৪ জন আসামী পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। নিহত শিশুর বাবার সাথে আসামী বাপ্পির পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারনে এ হত্যাকান্ড হয়েছে বলে পুলিশ সুপার মোঃ আলী আশরাফ ভূঞা শনিবার তার কার্যালয়ে প্রেস বিফ্রিংয়ে জানান।

পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুইয়া ঘটনার বর্ণনা দিতে যেয়ে বলেন, গত ১৪ ডিসেম্বর ধূনট উপজেলার নশরতপুর গ্রামে ইসলামী জলসা থেকে তাবাসসুম হারিয়ে যায়। রাতেই ওই জলসা অনুষ্ঠানস্থলের পাশের একটি বাঁশ ঝাড় থেকে শিশু তাবাসসুমের ক্ষত বিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তাবাসসুমের বাবা ১৫ ডিসেম্বর এব্যাপারে ধুনট থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার সুত্র ধরে পুলিশ একই গ্রামের (নশরতপুর) শামীম রেজাকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদ সে ওই শিশু ধর্ষন ও হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। এই নৃশংস ঘটনার আর কারা জড়িত ছিল তাদের নামও বলে সে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে একই গ্রামের বাপ্পি আহম্মেদ, কামাল পাশা, লাবলু শেখকে গ্রেফতার করেছে।

পুলিশ আরও জানায়, এই মামলার প্রধান আসামী বাপ্পি আহম্মেদ-এর পরিবারের সাথে নিহত তাবাসসুমের বাবা বেলাল হোসেনের পারিবারিক দ্বন্দ্ব ছিল। সেই দ্বন্দ্বের জেরে এই হত্যাকন্ডের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ আজ শনিবার আসামীদের আদালতে সোর্পদ করে ৮ দিনের রিমান্ড চাইবে।

নিহত তাবাসসুম নশরতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেনীর ছাত্র। তার বাবা মা ঢাকায় গার্মেন্টেসে চাকুরী করে। সে তার দাদা দাদীর কাছে থাকতো।