Скачать или смотреть Samapikar Diary সমাপিকার ডায়েরি - সঞ্চারী ভট্টাচার্য্য | Kundu Kompani

অল্প অল্প ভুতের গল্প অনুক্রমে আমাদের 38 তম প্রয়াস সমাপিকার ডায়েরি
লেখিকা:- শ্রীমতি সঞ্চারী ভট্টাচার্য্য

প্রচ্ছদদ্বয় অলংকরণে:- শ্রীমান সোহম বাগচী

Logo design :- দেবর্ষি শাসমল
Animation :- সন্তু কর্মকার
সংগীতশিল্পী :- সম্বর্ত দে

গল্প পাঠিয়ে সমাপিকার চরিত্রে শ্বেতা বসু ,
সুপ্রতিম এর চরিত্রে স্বর্ণজিৎ বিশ্বাস,
ড্রাইভার এর চরিত্রে অরূপ বেরা,
জনৈক গ্রামবাসীর চরিত্রে সব্যসাচী মুখোপাধ্যায় ,
হোটেল কর্মীর চরিত্রে কুশল ভট্টাচার্য,
পুরোহিতের চরিত্রে অসীম কুমার মুখোপাধ্যায় ,
অঘোর সাধুর চরিত্রে - প্রীতম দে,
সাংবাদিকের চরিত্রে পায়েল পট্টনায়েক,
গল্পের শেষ অংশে কন্ঠ দান করেছেন লেখিকা শ্রীমতি সঞ্চারী ভট্টাচার্য্য।

সঙ্গীত ভাবনা ও পরিচালনা ইমন।

সামগ্রিক পরিকল্পনা প্রযোজনা ও প্রয়োগে অনরণ্য কুন্ডু।

বিশেষ কৃতজ্ঞতা স্বীকার শ্রীমতি সোহাগ সেন।

শুভ বিজয়া

গল্পের সারসংক্ষেপ

মানুষের জীবনে এমন অনেক কথা বা ঘটনা থাকে যা মানুষ সচরাচর সবাইকে বলতে পারেনা কিন্তু চায় সেটা প্রকাশ করতে, এবং তার জন্য সেটা কোথাও লিখেও রাখতে চায়। এই লিখে রাখার জায়গাটি হল মানুষের একান্ত আপন ডায়েরি। আমাদের সবার সুহৃদ, আমাদের একান্ত আপন, আমাদের বন্ধু , আমাদের ডায়েরি।

সব সময় ডায়রিতে যে , ভালো কিছু লেখা থাকে সেরকম নয়, অনেক সময় ডায়েরিতে আমরা এমন এমন জিনিস লিখি যেটা কিনা একান্ত গোপনীয় বা কখনো কোন বীভৎস, বা কোন ঘটনা যা মানুষ বিশ্বাস করতে চায় না সেই সমস্ত কথা।

শ্রীমতি সঞ্চারি ভট্টাচার্যের লেখা গল্প সমাপিকা ডায়েরি এমন একটি গল্প যেখানে গল্পের মূল চরিত্র সমাপিকা তার জীবনে ঘটে যাওয়া বীভৎস এক ঘটনার বিবরণ লিখে গিয়েছে , এবং তার সাথে সবাইকে সাবধান করে গেছেন এই ডায়েরি টি যদি কেউ খুঁজে পান তাহলে যেন ডায়েরিটি না খোলেন । কারণ তার মনে হয়েছে তার জীবনে যে বীভৎসতা ঘটে চলেছে সবটি এই অভিশপ্ত ডায়েরী টির জন্য।

তার জীবনে অভিশাপ নেমে এসেছিল ললিতপুর বলে এক উত্তরদিনাজপুর গ্রামের একটি জায়গা থেকে। যদিও সে সরাসরি ললিতপুর এর সাথে সংযুক্ত ছিল না কিন্তু তিনি না থাকলেও তার হাজবেন্ড সুপ্রতিম জড়িত ছিল ওই ললিতপুর নামক জায়গাটি সাথে। সমাপিকা সুদূর বেলজিয়ামে বসে জানতে পেরেছিল তার স্বামী সুপ্রতিম একটি হোটেল বিজনেস এর সাথে জড়িত এবং সে এবং তাদের কোম্পানি উত্তর দিনাজপুরে একটি বড় মাপের হোটেল করতে চায় যে জায়গাটি তারা হোটেলে জন্য মনোনীত করে সেই জায়গাটি, দক্ষিণ পূর্ব ভারত থেকে আসা একদল অঘোরীদের সাধনা ক্ষেত্র এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে শ্মশান ক্ষেত্রে নামেও পরিচিত। ওই অঘোরীদের বিশ্বাস ছিল মৃত মানুষকে যদি আধপোড়া অবস্থায় তার মাথার দিকে একটি নিম গাছের সাথে বেঁধে রাখা যায় তাহলে সেই আত্মাটি আবার ফিরে আসে এবং তার জন্য তারা মৃত কোন শরীরকে আধপোড়া অবস্থাতেই তার দেহের থেকে মুণ্ড আলাদা করে নিয়ে একটি খোলা মাঠে মাটির নিচে পুঁতে রাখে। এবং সেই জায়গাটি সুপ্রতিম এর হোটেল তৈরি করার জন্য চিহ্নিত করা হয়। অঘোরী দের কাছ থেকে সম্পূর্ণ চেষ্টা করেও সেই জায়গাটি নিতে ব্যর্থ হয় সুপ্রতিম কিন্তু সম্পূর্ণ গ্রামটি যেহেতু অঘোরীদের নিজেদের তত্ত্বাবধানে ছিল তার জন্য হোটেলের মধ্যেও অঘোরিদের প্রভাব ছিল। একদিন সমাপিকা জানতে পারে সুপ্রতিম খুব বিপদের মধ্যে রয়েছে কি বিপদ সেটি তার কাছে ক্লিয়ার না থাকলেও তার হাজবেন্ড সুপ্রতিম এর টানে সে বেলজিয়াম থেকে কলকাতা হয়ে উত্তর দিনাজপুরে চলে আসে এবং সে জানতে পারে গত রাতেই সুপ্রতিম এর সাথে তার কথা হওয়ার পর সুপ্রতিম মারা গেছে। সুপ্রতিম এর মৃত্যুর রহস্য ভেদ করতে সে মরিয়া হয়ে ওঠে যেনতেন প্রকারে নিয়ম এই অঘোরী দের মূল উদ্দেশ্য জানতে পারে এবং যেহেতু সে নিজেও একজন প্রেতবিদ্যা স্টুডেন্ট এবং অধ্যাপক , তাই বিজ্ঞান ও কুসংস্কার কে জীবনের সমান্তরালভাবে ঘটতে দেখেছে। বিশ্বাস থাকুক বা না থাকুক আমাদের প্রত্যেকের জীবনেই বিজ্ঞান ও কুসংস্কার সমান্তরালভাবে হয়ে এসেছে হয়ে যাবে ও। হোটেলের মধ্যে নানারকম অদ্ভুত জিনিস সে দেখতে পায় কিন্তু তার নিজের কাছে কোন প্রমাণ থাকে না বা কাউকে সেনে সেটা দেখাতে পারেনা ক্রমে ক্রমে বুঝতে পারে সে ওই অঘোরী নামক পিশাচদের ক্রমশ জালে জড়িয়ে পড়ছে। একদিন সে অঘোরীদের গোপন তন্ত্র বিদ্যা সবার আড়ালে দেখে ফেলে যেটা কিনা অঘোরী দের মতে ঘোর অপরাধ । গ্রামের এক পুরোহিতের জন্য সে অঘোরী দের হাত থেকে সেদিনের মত প্রাণে বাঁচতে পারলেও.... পিসা ছবি অঘোরী দাতাকে ছায়ার মত সর্বদা পিছু নিতে থাকে। গ্রামের পুরোহিতদের কাছ থেকে সে তার স্বামী সুপ্রতিম এর মৃত্যুর কারণ জানতে পারে অঘোরিরা কোথা থেকে সেই গ্রামে এসেছে কি অত্যাচার চালিয়েছে তার কারণ জানতে পারে এবং অঘোরিরা কি চায় সেটাও জানতে পারে। এক সময় সে বুঝতে পারে অঘোরী দের সাথে সেই লড়াই করতে পারবে না সেই শক্তি তার নেই তাই সে কলকাতায় চলে আসে বারবার করে সেই ডাইরিটা পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করে নষ্ট করবার চেষ্টা করে কিন্তু তার স্বামীর লিখে যাওয়া ডায়েরি যেটা কিনা সে খুঁজে পেয়েছিল ওই হোটেলের মধ্যে সেই ডাইরিটিকে কোনভাবেই সে নষ্ট করতে পারে না। ক্রমে ক্রমে তার জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে মানসিক রোগী হয়ে ওঠে তার জীবন এমন জালা যন্ত্রনায় ভরে ওঠে যে তার থেকে মৃত্যুকে শ্রেয় বলে মনে হয় কিন্তু তার এই ভয়াবহ দুর্বিষহ অভিজ্ঞতার কথা সে কাউকে জানাতে পারে না তাই সে ডাইরিতে লিখতে শুরু করে এবং এটাও বারণ করে যেন ডাইরিটি যাতে কেউ না পড়ে। ক্রমে একদিন তার মৃত্যু হয় এবং তার কথাটা কি সত্যিই ছিল সেটি আবারো প্রমাণ হয় যে পুলিশ ইন্সপেক্টর এই মৃত্যুকে তদন্ত করেছিলেন তার তত্ত্বাবধানে ডাইরিটি ছিল এবং কয়েকদিন বাদে রহস্যময় ভাবে সেই পুলিশ ইন্সপেক্টর টির এবং মৃত্যু হয়।