শ্রী শ্রী মাধ্ব গৌড়ীয় মঠে অক্ষয় তৃতীয়া উদযাপন (২০২৪) , মধ্যাহ্নকালীন আরতি।

Описание к видео শ্রী শ্রী মাধ্ব গৌড়ীয় মঠে অক্ষয় তৃতীয়া উদযাপন (২০২৪) , মধ্যাহ্নকালীন আরতি।

শ্রী শ্রী মাধ্ব গৌড়ীয় মঠে অক্ষয় তৃতীয়া উদযাপন (২০২৪)
#হরে_কৃষ্ণ, "শ্রীঅক্ষয় তৃতীয়া ও চন্দন যাএা" উপলক্ষে সকলকে জানাই কৃষ্ণ প্রীতি আন্তরিক শুভেচ্ছা।
🏵️ "অক্ষয়" শব্দের অর্থ হল, যার ক্ষয় নেই। বলা হয়, এইদিন আপনি যা দান করবেন, তার অক্ষয় ফল প্রাপ্ত হয়। যে সকল পুণ্য কর্ম করবেন, তা অক্ষয় হয়ে থাকবে। ঠিক তেমনি পাপ কর্ম করলে তাও অক্ষয় হয়ে থাকবে, মানে ক্ষয় হবে না। তাই এ দিনটি বিশেষ সতর্কতার সঙ্গে পালন করা উচিত। আপনার দ্বারা যেন কোন প্রকার মন্দ কর্ম না-হয়, কারও মনে কোনও কষ্ট যেন না-হয়।
সব থেকে ভালো হয় এই দিনে রাধামাধব/ জগন্নাথ/ রামচন্দ্র প্রভৃতি সেবা পূজায় যুক্ত থাকা। সামর্থ্য থাকলে সাধু, বৈষ্ণব বা শুদ্ধ ব্রাহ্মণ দের কিছু দান করা। যেহেতু সকল কিছু অক্ষয় হয়ে থাকে তাই এ দানও অনন্ত কাল অক্ষয় হয়ে থাকবে, তাছাড়া পাপ থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে এদিন বেশি করে হরিনাম জপ, কীর্তন, ভগবৎ ও ভক্ত সেবা করে দিন অতিবাহিত করা হয়। আমিষ আহার করা না কর্তব্য। মন্দিরে ভোগ, চন্দন, ফুল, ফল, অর্থ ইত্যাদি দান করা ভালো।
সুতরাং সাধারণ মানুষদের কে জানিয়ে দেওয়া উচিৎ এই দিনটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ। 🙏
চিরাচরিত রীতি অনুযায়ী, অনেক দোকানী এ দিনে #গণেশ_পূজাও করে থাকে।
বৈশাখের শুক্লপক্ষের" সেই তৃতীয়া তিথি শ্রীহরিপ্রিয়া হেতু লোকে অক্ষয়া তৃতীয়া বলা হয়। এই তিথিতে স্নান, দান, অর্চন, শ্রাদ্ধ, জপ, পিতৃতর্পণের ফল অক্ষয় হয়ে থাকে।
🏵️ চন্দনযাত্রা মহোৎসবের মাহাত্ম্য :-
চন্দন_যাত্রা চান্দ্র বৈশাখ মাসের শুক্লা তৃতীয়া তিথিতে অর্থাৎ আজকের এ দিনে মানে অক্ষয় তৃতীয়াতে শুরু হয়ে ২১ দিন পর্যন্ত চলে।এ দিন থেকে পরবর্তী ২১দিন ব্যাপি ভগবানের চন্দন শোভাযাত্রা মহোৎসব।২১ দিন সুগন্ধি চন্দন, কর্পূর, ও অগুরু মিশিয়ে ভগবানের শ্রীঅঙ্গে লেপন করা হয়। এতে পরমেশ্বর ভগবান খুবই শীতলতা ও প্রশান্তি অনুভব করেন।
ভগবান শ্রীজগন্নাথদেব এই দিনে রাজা ইন্দ্রদ্যুম্নকে চন্দনযাত্রা মহোৎসবটি পালন করার জন্য সরাসরি নির্দেশ দিয়েছেন। ভগবানের অঙ্গলেপন এক ধরণের ভক্তিমূলক কর্ম এবং চন্দন হল সর্বশ্রেষ্ঠ প্রলেপন। যেহেতু এ সময় বৈশাখ মাস অত্যন্ত উষ্ণ থাকে , তাই চন্দনের শীতল গুণ ভগবানের আনন্দ প্রদান করে। জগন্নাথের দুই চক্ষু ব্যতীত সর্বাঙ্গে চন্দন লেপন করা হয়ে থাকে।
🏵️ যে সকল তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা ঘটেছিল এই বিশেষ দিনে—
১) বিষ্ণুর অবতার পরশুরাম আবির্ভূত হয়েছিলেন।
২) রাজা ভগীরথ গঙ্গা দেবীকে মর্ত্যে নিয়ে এসেছিলেন।
৩) গনেশ বেদব্যাসের মুখনিঃসৃত বাণী শুনে মহাভারত লিখতে শুরু করেছিলেন।
৪) চন্দনযাত্রা শুরু হয়েছিল।
৫) সত্যযুগ শেষ হয়ে ত্রেতাযুগের সূচনা হয়েছিল।
৬) কুবেরের তপস্যায় তুষ্ট হয়ে মহাদেব তাঁকে অতুল ঐশ্বর্য দান করেছিলেন। এদিনই কুবেরের লক্ষ্মী লাভ হয়েছিল বলে এদিন বৈভব-লক্ষ্মীর পূজা করা হয়।
৭) ভক্তরাজ সুদামা শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে দ্বারকায় গিয়ে দেখা করেছিলেন এবং তাঁর থেকে সামান্য চালভাজা নিয়ে শ্রীকৃষ্ণ তাঁর সব দুঃখ মোচন করেছিলেন।
৮) দুঃশাসন দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ করতে গিয়েছিলেন এবং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তাঁর সখীকে রক্ষা করেছিলেন। শরণাগতের পরিত্রাতা রূপে এদিন তিনি দ্রৌপদীকে রক্ষা করেছিলেন।
৯) পুরীধামে জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উপলক্ষে রথনির্মাণ শুরু হয়েছিল।
১০) কেদার-বদরী গঙ্গোত্রী-যমুনোত্রীর যে মন্দির ছয় মাস বন্ধ থাকে, এইদিনেই তার দ্বার উদঘাটিত হয়েছিল।
একদিনে এতো শুভ ঘটনা গুলো ঘটার ফলে এ দিনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এবং মঙ্গলময়।।
🏵️ অক্ষয় তিথিতে আপনি যা করবেন, তা সারাজীবন অক্ষয় থাকবে। এই জন্য কিভাবে পালন করবেন, অক্ষয় তৃতীয়ায় কি কি করতে হয়?
১) প্রাতঃস্নান (৩ টা থেকে ৫ টার মধ্যে)।
২ ) ভোরে মঙ্গল আরতি করা উচিত।
৩ ) হরিনাম জপ করা উচিত (কম পক্ষে ১৬ মালা)
৪ ) তুলসীতে জলদান।
৫ ) কৃষ্ণপ্রসাদ গ্রহণ করা উচিত।
৬ ) ভগবানের ভোগ নিবেদন।
৭ ) আমিষাহার পরিত্যাগ করা উচিত, কেননা প্রাণি হত্যা প্রাণি হত্যা মহাপাপ। সুতরাং আমিষাহার । না করা।
৮ ) শ্রীমদ্ভগবদগীতা, ভাগবতম ইত্যাদি পাঠ।
৯ ) অক্ষয় তৃতীয়া থেকে চন্দন যাত্রা শুরু হয়ে পরবর্তী ২১ দিন চলবে এই চন্দন যাত্রা মহোৎসব। ১০ ) ভগবানের সেবা, পূজা + ভগবানে চরণে পুষ্প ও তুলসী অর্পণ।
১১ ) চন্দন বেটে অগুরু নিবেদন করা উচিতও কর্পূর সহিত শ্রীঅঙ্গ লেপন।
১২) শুদ্ধ ব্রাহ্মণ ও বৈষ্ণবদের দান ও ভোজন করানো।
১৩ ) মন্দিরে ভোগ,চন্দন, ফুল, ফল, অর্থ ইত্যাদি দান করা উচিত।
১৪ ) এদিন খুব সাবধানে প্রতিটি কাজ করা উচিত।
১৫ ) কখনো যেন কটু কথা না বেরোয় মুখ থেকে।
১৬ ) কোনো কারণে যেন কারো ক্ষতি না করে ফেলি।
🏵️ এ ২১ দিন ভগবানকে চন্দন লেপন করা হয় সকল মঠ মন্দির গুলোতে। বাংলাদেশেও"#শ্রী_শ্রী_ঢাকা_মাধ্ব_গৌড়ীয়" মঠ সহ বিভিন্ন মন্দিরে ভগবানকে চন্দন লেপন করা হয়। এখানে শ্রী শ্রী গুরু গৌরাঙ্গ,রাধা-বিনোদকান্ত জীউকে চন্দন লেপন করা হয়।
🏵️ চন্দনযাত্রা মহোৎসব এর ২১ দিন ব্যাপী ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পরিধীত বেশ এর নাম নিচে দেওয়া হলো:
১. নটবর বেশ,২.শ্রীকৃষ্ণজন্ম বেশ.৩. রাজাধিরাজ বেশ,৪. শ্রীবনবিহারী বেশ,৫.বৎসহরণ বেশ,৬. গোমতীকৃষ্ণ বেশ,৭. খট-দোলি বেশ,৮. চক্রনারায়ন বেশ,৯. নৌকেলি বেশ,১০. নটবর বেশ,১১. শ্রীরাসমণ্ডল বেশ,১২. কন্দর্পরথ বেশ,১৩. অঘাসুর বধ বেশ,১৪. রঘুনাথ বেশ,১৫. শ্রীচৈতন্য বেশ,১৬. গিরিগোবর্ধন বেশ,১৭. গিরিধারী বেশ,১৮. বস্ত্রহরণ বেশ,১৯. চিন্তামনি কৃষ্ণ বেশ,২০. গজ উদ্ধারণ বেশ,২১. নৌবিহার।
হে কৃপালু , ভক্তবৃন্দ! আপনারা কৃপাপূর্বক শ্রী শ্রীল প্রভুপাদ ভক্তি সিদ্ধান্ত সরস্বতী গোস্বামী ঠাকুরের আদর্শকে সামনে রেখে জীবের উদ্দেশ্য প্রাপ্তি করানোর জন্য শ্রী শ্রীল প্রভুপাদের আদর্শের আনুগত্যে শ্রী শ্রী মাধ্ব গৌড়ীয় মঠ যে পারমার্থিক
প্রচারের চেষ্টা করছে তাতে অংশগ্রহণ করে আমাদের কৃতার্থ করুন।
🙏🙏🙏চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল আইকনটি প্রেস করুন। তার সাথে প্রচুর ভক্তদেরকে চ্যানেলটির ভিডিওগুলো শেয়ার করুন।❤️##   / @dhakagaudiyamath  
##https://www.facebook.com/profile.php?...

Комментарии

Информация по комментариям в разработке