হাতের একজিমার চিকিৎসা
চর্ম যৌ//ন এলার্জি সে//ক্সুয়াল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট ও লেজার ডার্মাটোসার্জন
সহকারী অধ্যাপক
ডা. আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল
এমবিবিএস (ডিইউ), ডিডিভি (বিএসএমএমইউ)
ফেলোশিপ ইন হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জারী (ইন্ডিয়া)
ট্রেনিং ইন লেজার ডার্মাটোসার্জারী
সহকারী অধ্যাপক, ডার্মাটোলজী বিভাগ
এসোসিয়েট কনসালটেন্ট, ডার্মাটোলজী বিভাগ
বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হসপিটাল, শ্যামলী
ত্বক চুল নখের যে কোন সমস্যা সমাধানের জন্য যোগাযোগ করুন
🏣 চেম্বার :
🏢 বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হসপিটাল
২১ শ্যামলী, মিরপুর রোড, ঢাকা-১২০৭
লেভেল -০৬
⏰ রোগী দেখার সময়:
প্রতি শনিবার বুধবার বৃহস্পতিবার
সকাল ১০টা হতে দুপুর ২:৩০টা
📞 সিরিয়াল এর জন্য : 10633
🏢 সাভার প্রাইম হাসপাতাল
থানা রোড,সাভার,ঢাকা
⏰ রোগী দেখার সময়:
শনিবার সোমবার বুধবার
বিকেল ৪ টা থেকে ৭ টা
📞 সিরিয়াল : 01319-164510
হাতের একজিমা একটি সাধারণ সমস্যা, যা ত্বকের প্রদাহের কারণে হয়। এর ফলে হাত লালচে, শুষ্ক, চুলকানিযুক্ত এবং কখনও কখনও ফেটে যায় বা ফোস্কা পড়ে। এর চিকিৎসা ও প্রতিরোধের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিচে দেওয়া হলো।
একজিমার কারণ ও লক্ষণ
একজিমা বিভিন্ন কারণে হতে পারে, যেমন:
*রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শ:* ডিটারজেন্ট, সাবান, সিমেন্ট, বা অন্য কোনো কঠোর রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে এলে হাতের ত্বক জ্বালা করতে পারে। গৃহকর্মী, নির্মাণ শ্রমিক বা হেয়ারড্রেসারদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়।
*ঘন ঘন হাত ধোয়া:* অতিরিক্ত হাত ধোয়ার ফলে ত্বকের প্রাকৃতিক তেল নষ্ট হয়ে যায়, যা একজিমার কারণ হতে পারে। গরম জল ব্যবহার করলে এই সমস্যা আরও বেড়ে যায়।
*জিনগত প্রবণতা:* যদি আপনার পরিবারে হাঁপানি বা অ্যালার্জির ইতিহাস থাকে, তবে আপনার একজিমা হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
*অন্যান্য কারণ:* ঠান্ডা আবহাওয়া, মানসিক চাপ, এবং কিছু নির্দিষ্ট খাবার (যেমন ডিম, গম, চিংড়ি) অ্যালার্জি সৃষ্টি করে একজিমার লক্ষণ বাড়িয়ে তুলতে পারে।
চিকিৎসা এবং প্রতিরোধের উপায়
একজিমা সম্পূর্ণ নিরাময় করা কঠিন হলেও, সঠিক যত্ন ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এর লক্ষণগুলো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
#### ১. ময়েশ্চারাইজিং
ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখা একজিমার চিকিৎসার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
*নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার:* দিনে কয়েকবার, বিশেষ করে হাত ধোয়ার পর বা গোসলের পর, ঘন ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। এমন ময়েশ্চারাইজার বেছে নিন যা দীর্ঘক্ষণ ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখে।
*সঠিক সময়:* গোসল বা হাত ধোয়ার পর ত্বক পুরোপুরি শুকানোর আগেই ময়েশ্চারাইজার লাগান। এতে ত্বকের ভেতরের আর্দ্রতা বাইরে বেরিয়ে যেতে পারে না।
#### ২. ট্রিগার এড়িয়ে চলুন
একজিমার কারণ হতে পারে এমন জিনিসগুলো এড়িয়ে চলা জরুরি।
*গ্লাভস ব্যবহার:* বাসন ধোয়া, পরিষ্কারের কাজ, বা রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে আসার সময় প্রতিরক্ষামূলক গ্লাভস পরুন।
*হালকা সাবান:* কঠোর ক্ষারযুক্ত সাবানের বদলে কম ক্ষারযুক্ত বা মেডিকেটেড সাবান ব্যবহার করুন।
*গরম জল থেকে দূরে থাকুন:* হাত ধোয়ার জন্য হালকা গরম বা ঠান্ডা জল ব্যবহার করুন।
#### ৩. ঘরোয়া যত্ন
কিছু ঘরোয়া উপায় একজিমার চুলকানি ও জ্বালা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
*ঠান্ডা জল:* আক্রান্ত স্থানে ঠান্ডা জলের সেঁক বা বরফ ব্যবহার করলে চুলকানি ও ফোলাভাব কমতে পারে।
*নখ ছোট রাখা:* হাতের নখ সবসময় ছোট রাখুন, যাতে চুলকানোর সময় ত্বকে আঘাত না লাগে এবং সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি কমে।
*স্ট্রেস কমানো:* মানসিক চাপ একজিমার লক্ষণকে আরও খারাপ করতে পারে। তাই মানসিক চাপ কমানোর জন্য মেডিটেশন বা হালকা ব্যায়াম করতে পারেন।
#### কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন?
যদি আপনার একজিমা ঘরোয়া উপায়ে না কমে, অথবা লক্ষণগুলো খুব তীব্র হয়, যেমন:
হাত ফেটে গভীর ক্ষত তৈরি হলে।
ত্বকে পুঁজ বা সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দিলে।
চুলকানির কারণে রাতে ঘুম না হলে বা দৈনন্দিন কাজে অসুবিধা হলে।
এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত একজন *ডার্মাটোলজিস্ট* বা চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। চিকিৎসক আপনার অবস্থা অনুযায়ী সঠিক ওষুধ, যেমন স্টেরয়েড ক্রিম বা অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ধারণ করতে পারেন।
এই বিষয়ে আপনার আর কোনো প্রশ্ন থাকলে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।
Disclaimer
This channel is for informational purposes only. It is not intended to be a substitute for professional medical advice, diagnosis, or treatment. Always seek the advice of your doctor with any questions you may have regarding a medical condition or health problems. Reliance on any information provided on this channel is solely at your own risk.
Информация по комментариям в разработке