Скачать или смотреть বিশ্বাসঘাতক মীর জাফর পুত্র মিরনের ভয়ঙ্কর পরিণতি

বিশ্বাসঘাতক মীর জাফর পুত্র মিরনের ভয়ঙ্কর পরিণতি

হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন আপনারা ? ডাকপিয়ন চ্যানেলে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের ভিডিও গুলো আপনাদের ভালো লেগে থাকলে এবং নতুন নতুন ভিডিও দেখতে চাইলে প্লিজ আমাদের চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন।

বাংলার নবাবি আমলের ইতিহাসের বেশ খানিকটা অংশ জুড়েই রয়েছে ভালোবাসা, লোভ-লালসা, বিশ্বাসঘাতকতা আর যুদ্ধের ঝনঝনানি। ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ রয়েছে অজস্র প্রাচীন কাহিনী। সেখানে ইতিহাসকে বারবার উজ্জ্বল করেছে ভালোবাসা আর ত্যাগের মহিমা।
অন্যদিকে কলঙ্কিত আর রঞ্জিত করেছে বিশ্বাসঘাতকতা। এমনই একজনের মর্মান্তিক পরিণতির কথাই জানাবো আজ। যিনি চিরকালই বাংলা ছাড়াও সারাবিশ্বে বিশ্বাসঘতকের সেরা উদাহরণ। তিনি নিজেও এক বিশ্বাসঘাতকের পুত্র হিসেবে বেশি পরিচিতি পেয়েছেন। অবলীলায় হত্যা করতেন তিনি।
কথিত আছে, বাংলার স্বাধীন ও শেষ নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে হত্যার পর এক বিরাট তালিকা তৈরি করেছিলেন মীর মিরন। সেখানে ছিল নবাব সিরাজউদ্দৌলার আত্মীয় স্বজনদের নাম। তার ইচ্ছা ছিল সিরাজউদ্দৌলার বংশের কাউকে তিনি বাঁচিয়ে রাখবেন না। ইতিহাসখ্যাত সেই দুর্ধর্ষ যুবকই হলেন বিশ্বাসঘাতক মীরজাফরের পুত্র মিরন।
তার পুরো নাম মীর সাদিক আলী খান বাহাদুর। তবে মীর মিরন নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন তিনি। ক্লাইভের প্রতিনিধি ওয়াটসনের সঙ্গে গোপন ষড়যন্ত্রে মীর জাফরের সার্বক্ষণিক সঙ্গী ছিলেন তার পুত্র মীর মিরন। রহস্যময় মৃত্যু কাহিনীর মতোই তার সমাধি নিয়ে রয়েছে নানা মত।
দিনটি ছিল ১৭৬০ সালের ৩ জুলাই। ঘোর বর্ষাকাল। আজিমাবাদে যুদ্ধে আছেন মীর মিরন। এতোটাই ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয় যে সৈন্যরা সবাই তাবুতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। মিরন তার জন্য তৈরি বড় তাবুতে ছিলেন। তবে অনেক বেশি ঝড় হওয়ায় তার তাবু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর ছোট একটি তাবুতে আশ্রয় নেনে মিরন।
সেসময় তার সঙ্গে তার বিশ্বস্ত দুই চাকর ছিল। যাদের একজনের কাজ ছিল মিরনের শরীর ম্যাসাজ করা আর অন্যজন মিরনকে কাহিনী শুনিয়ে ঘুম পারাতেন। ঘটনার দিন মিরন ঘুমিয়ে গেলে তারাও সেই তাবুতেই ঘুমিয়ে পড়ে। এরপর প্রচণ্ড শব্দে শুরু হয় বজ্রপাত। হঠাৎই বজ্রপাতে মিরনের তাবুতে আগুন লেগে যায়। মিরনের সঙ্গে থাকা চাকর দুটিও মারা যায় সেদিন।
পুত্রের যে মাথায় হাত রেখে বাবা অপকর্মে লিপ্ত হয়েছিলেন, সেই মাথায়ই অর্থাৎ মীর মিরনের মাথায় বজ্রাঘাত পড়ে। মিরনের বয়স তখন মাত্র ২১ বছর। বৃষ্টি থেমে গেলে অন্যরা সেখানে গিয়ে দেখতে পায় মিরনের পুড়ে যাওয়া দেহ। এমনকি তার তরবারিও গলে গিয়েছিল আগুনের তাপে। মিরনের শোয়ার খাটও পুড়ে ছাই হয়ে যায় আগুনে।
এভাবেই মাত্র ২১ বছর বয়সে মারা যান ইতিহাসের কুখ্যাত বিশ্বাসঘাতক মীর মিরন। সেদিন সিরাজের মা আমেনার অভিশাপও যেন ফলে যায়।

#Dakpion #Subscribe_my_channel #banglanews24

@Durbeen @Tazanews @Jibonergolpo

Most Popular Videos:

$$ ইতিহাসের দীর্ঘ সময় বন্দি জল্লাদ শাহজাহানের করুন ইতিহাস    • ইতিহাসের দীর্ঘ সময় বন্দি জল্লাদ শাহজাহানে...  
$$ অবশেষে জানা গেল ! যে কারনে বজ্রপাতে নিহত ব্যাক্তির লাশ চুরি হয়    • অবশেষে জানা গেল ! যে কারনে বজ্রপাতে নিহত ব...  
$$ যে গোপণ কারণে এই লোকটি গোসল করেননি ৬৭ বছর    • যে গোপণ কারণে এই লোকটি গোসল করেননি ৬৭ বছর  
$$ যে কারনে চেঙ্গিস খানের মরদেহ খুঁজে পাওয়া যায়না    • যে কারনে চেঙ্গিস খানের মরদেহ খুঁজে পাওয়া য...  
$$ দেহরক্ষীকেই দেহ বিলিয়েছিলেন তসলিমা নাসরিন !    • দেহরক্ষীকেই দেহ বিলিয়েছিলেন তসলিমা নাসরিন !  

বিশ্বাসঘাতক মীর জাফর পুত্র মিরনের ভয়ঙ্কর পরিণতি