HSC পরীক্ষার পর কি করবো,কোন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হবো,কোথায় কোচিং করবো, মেডিকেল,বিশ্ববিদ্যালয়, ডিগ্রী

Описание к видео HSC পরীক্ষার পর কি করবো,কোন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হবো,কোথায় কোচিং করবো, মেডিকেল,বিশ্ববিদ্যালয়, ডিগ্রী

HSC তো শেষ হলো। এখন কি করব? অনেকেই ভেবে থাকেন এইচএসসির পর কি করব? লাইফের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় হচ্ছে- HSC আর ভর্তি পরীক্ষার মাঝের চার-পাঁচ মাস। এই কয়েকটা দিন টার্গেট ঠিক রেখে অমানবিক পরিশ্রম করে কেউ কেউ জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। আবার কেউ কেউ হালকা ঢিলামি বা ভুল পথে গিয়ে স্বপ্ন চুরমার করে খালি হাতে বাড়ি ফিরে। তবে আর্টস কমার্সের তুলনায় সায়েন্সের স্টুডেন্টদের অপশন বেশি থাকায়, তাদের দোটানায় পড়ে ভুল সিদ্ধান্ত নেয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
HSC এর পরে সায়েন্সের স্টুডেন্টদের জন্য সাতটা রাস্তা খোলা আছে।

রাস্তা-১: ইঞ্জিনিয়ারিংঃ ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চাইলে তোমাকে ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি এবং ম্যাথে ভালো হতে হবে। এই সাবজেক্টগুলার পুরা বই না হলেও বইয়ের বেশিরভাগ অধ্যায় সম্পর্কে ভালো আইডিয়া থাকতে হবে। স্পেশালি ম্যাথ রিলেটেড সব টপিক।আবার ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, ম্যাথের এর মধ্যে যেকোন দুইটা সাবজেক্টে ভালো আর একটাতে মোটামুটি হলেও চলবে। বাংলাদেশে ইঞ্জিনিয়ারিং বা আর্কিটেকচার পড়তে চাইলে তোমার ফার্স্ট টার্গেট হবে বুয়েট . সেটা না হলে কুয়েট, চুয়েট, শাহজালাল,মিস্ট কিংবা টেক্সটাইলের কথা পরে চিন্তা করা যাবে। আর বাপ-মায়ের কাড়ি কাড়ি টাকা থাকলেও প্রাইভেট ভার্সিটির চিন্তা একদম প্রথমেই না আনা বুদ্ধিমানের কাজ।
রাস্তা-২: মেডিকেলঃ মেডিকেল বা ডাক্তারি পড়তে গেলে তোমাকে বায়োলজিতে অনেক ভালো হতে হবে এবং ভালো লাগতে হবে।না লাগলেও লাগাতে হবে। সরকারী মেডিকেলে সীট লিমিটেড হওয়ায় কম্পিটিশন অনেক বেশি। সেই কম্পিটিশনে টিকে থাকলে হলে, পরিশ্রমের পরিমাণ বাড়াতে হবে। টাকা খরচ করে প্রাইভেট মেডিকেলের কথা চিন্তা করার আগে সুযোগ থাকতে চেষ্টা করে দেখো।

রাস্তা-৩: সায়েন্সের সাবজেক্টে অনার্স-মাস্টার্সঃ
অনেকের স্পেশাল টার্গেট থাকে- জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, ফার্মেসি, এপ্লাইড কেমিস্ট্রি,এপ্লাইড ফিজিক্স,পিওর ম্যথ। সেক্ষেত্রে তাকে ঢাকা ইউনিভার্সিটি এর ক-ইউনিট এর জন্য প্রিপারেশন নিতে হবে। তবে এসব ছাড়াও ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে সায়েন্সের আরো অনেক সাবজেক্ট আছে সেগুলারও ভালো ডিমান্ড আছে। তুমি ঢাকা ইউনিভার্সিটি এর ক-ইউনিট এর জন্য প্রিপারেশন নিলে সেই একই প্রিপারেশন নিয়ে জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী, খুলনা, চিটাগাং ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে দিতে পারবা। তবে টার্গেট করতে হবে- যে করেই হোক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাবোই পাবো।

রাস্তা-৪: ট্রাক চেঞ্জ করে আর্টস কমার্সের সাব্জেক্টে যাওয়াঃ
ঘ-ইউনিট বলে একটা জিনিস আছে। বাট আর্টস বা কমার্সের কোন সাবজেক্টের প্রতি স্পেশাল টার্গেট না থাকলে শুরুতে ক-ইউনিট এর জন্য চেষ্টা করো। তবে বিবিএ, আই বি এ নিয়ে খুব বেশি প্যাসোনেট হলে শুরু থেকেই সিরিয়াস হতে হবে।

রাস্তা ৫ঃ কৃষি ভার্সিটিঃ মা,মাটি,মানুষের জন্য কাজ করার ইচ্ছা থাকলে তোমার জন্য আছে তিনটা কৃষি ভার্সিটি। আর বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে কৃষি সবসময় ডিমান্ডেবল। এই ভার্সিটি গুলোর প্রস্তুতি মেডিকেলের মতই। মেডিকেলে যারা ছ্যাক খাবা তারা সুযোগ নিতে পারো।

রাস্তা- ৬: Improvement/ফেল করে আবার HSC পরীক্ষা: এদের জন্য এক মিনিট নীরবতা।

রাস্তা-৭: BMA লং কোর্স বা ISSB দিয়ে সেনা,নৌ,বিমান বাহিনী: ফিজিক্যাল ফিটনেস আর টার্গেট থাকলে চান্স নিয়ে দেখো।
তবে কোন রাস্তায় গেলে ভালো হবে সেটা জিজ্ঞেস করার আগে নিজেকে প্রশ্ন করো- “কোন লাইনে যাওয়ার চেষ্টা করার ইচ্ছা এবং চান্স পাওয়ার যোগ্যতা তৈরি করার ক্ষমতা আমার আছে?”। যোগ্যতা নিয়ে চেষ্টা না করলে কিন্তু তোমার যোগ্যতার চার আনা পয়সা দাম থাকবে না। এমন অনেক ট্যালেন্টেড পোলাপান দেখছি- একটুর জন্য অনেক পিছনে চলে গেছে। আর HSC পরীক্ষার পরেই বেশিরভাগ পোলাপান ফ্যামিলি থেকে ফ্রিডম পায়।। এই সময়গুলাতে নিজেকে কন্ট্রোল করা খুবই টাফ। তাছাড়া দুইটা ঈদ, রেজাল্টের বন্ধে টেরও পাবা না কেমনে টাইম শেষ হয়ে ভর্তি পরীক্ষার ডেট দিয়ে দিছে।

Tag:
ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষার পর কি করব?,medical admission,diploma engineering bangladesh,what to do after hsc exam,এইস এস সি পরীক্ষার পর কোথায় ভর্তি হব,কোথায় ভর্তি হব,কোন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হব,কোথায় কোচিং করবো,বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি প্রস্তুতি ২০২০,কোন কোচিং সেন্টারে ভর্তি হলে ভালো হবে?,কোন বিষয় নিয়ে পড়লে চাকরি করার সুবিধা পাওয়া যাবে?,কোন বিষয়ে পড়লে কোন চাকরি পাওয়া যাবে,medical admission preparation,medical admission tips,বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি প্রস্তুতি ২০২০ গ ইউনিট

Комментарии

Информация по комментариям в разработке