উপকরণ
এই পুজোয় গঙ্গা মাটি বা শুদ্ধ মাটি, বেল পাতা, গঙ্গাজল, দুধ, দই, ঘি, মধু, কলা, বেল, বেলের কাঁটা, ধুতুরা, আকন্দ, অপরাজিতা ইত্যাদি মহাদেবের পছন্দের যে কোনও ফুল ব্যবহার করা হয়।।
ব্রতের নিয়ম
নীলষষ্ঠীর দিনে সারাদিন উপবাস করে, সন্ধ্যাবেলা শিবের মাথায় জল ঢালতে হবে। এর পর শিবের মাথায় ফুল ও একটি ফল ছুঁয়ে রাখুন। অপরাজিতার মালা পরিয়ে সন্তানের নামে একটি মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রার্থনা করুন।
উপবাস ভাঙার পর ফল, সাবু খাওয়া উচিত। সন্ধৈব লবণ দেওয়া খাবার খাওয়া যায়।
পুজোর পর এই মন্ত্র পাঠ করুন
ও নমো নমঃ তৎসদস্য, চৈত্র মাসে শুক্লপক্ষে প্রতীপদ্যান্তিথৌ (নিজের গোত্র বলুন) গোত্রঃ শ্রী/শ্রীমতি (নিজের নাম বলুন) শিব শক্তি ষষ্ঠী প্রীতিকামঃ দেবরস্যোক্ত নীলষষ্ঠী ব্রতমহং করিশ্যে।।
ওম য়া গুঙ্গূরশয্যা সিনীবালী যা রাকা যা সরস্বতী।
ইন্দ্রাণীমহ্ব উতয়ে বরুণানীং স্বস্তয়ে।।
নীলষষ্ঠীব্রতং হ্যেতৎ কৃরিশ্যেইহং মহাফলম।।
পুষ্পাঞ্জলী মন্ত্র
১. ওম নমঃ শিবায়
এষ সচন্দন পুষ্পবিল্বপত্রাঞ্জলি নমো নীলকণ্ঠায় নমঃ।
২. ওম এষ সচন্দন পুষ্পবিল্বপত্রাঞ্জলি নমো নীলচণ্ডীকায় নমঃ।
৩. ওম এষ সচন্দন পুষ্পবিল্বপত্রাঞ্জলি নমো ষষ্ঠীদেবীয় নমঃ।।
প্রণাম মন্ত্র
ওম নমঃ শিবায় শান্তায় পঞ্চবক্ত্রায় নীলকণ্ঠায় শূলিনে।
নন্দি ভৃঙ্গি মহাব্যালগণ যুক্তায় শম্ভবো।।
শিবায়ৈ হরকান্তায়ৈ প্রকৃত্যৈ সৃষ্টিহেতবে।
নমস্তে ব্রহ্মচারিণ্যৈ নীলচণ্ডিত্র্যৈ নমো নমঃ।।
সংসারভয় সন্তাপাৎ পাহি মাং সিংহবাহিনি।
রাজ্য সৌভাগ্য সম্পত্তিং দেহি মামা।।
জয় দেবী জগন্মাত জগতানন্দকারী
প্রসীদ মম কল্যাণী নমস্তে ষষ্ঠী দেবীতে।।
নীলষষ্ঠীর মাহাত্ম্য
এই উপবাস করলে নীলকণ্ঠ অর্থাৎ শিব, দেবী নীলচণ্ডিকা এবং মা ষষ্ঠীর কৃপা লাভ হয়। এর প্রভাবে সন্তানের কল্যাণ হয়। এমনকি সন্তান লাভের সমস্ত বাধা দূর হয়।।
নীলষষ্ঠীতে সন্তানের মঙ্গলে পুজো করুন এই নিয়মে, এই মন্ত্র পাঠে খুশি হবেন শিব
সন্তানের মঙ্গল কামনায় এই ব্রত পালন করে থাকেন মায়েরা। চৈত্র সংক্রান্তি বা চড়ক উৎসবের আগের দিন নীলপুজো পালিত হয়। আজ, ১৩ এপ্রিল, বুধবার নীল ষষ্ঠী পালিত হচ্ছে।
আজ ঘরে ঘরে পালিত হচ্ছে নীল ষষ্ঠী। সন্তানের মঙ্গল কামনায় এই ব্রত পালন করে থাকেন মায়েরা। চৈত্র সংক্রান্তি বা চড়ক উৎসবের আগের দিন নীলপুজো পালিত হয়। আজ, ১৩ এপ্রিল, বুধবার নীল ষষ্ঠী পালিত হচ্ছে। নীল পুজোর উপকরণ ও ব্রতর নিয়ম এবং মন্ত্র জেনে নিন এখানে
নীলষষ্ঠী ব্রতকথা – এক বামুন আর বামনীর কোনো ছেলেপুলে হয়েই মারা যেত কেউ বাঁচতো না। তারা দু’জনে পরামর্শ করে একদিন তীর্থে যাবার জন্য বেরিয়ে পড়ল।
ক্রমে তারা যখন সরযু নদীর তীরে এসে পৌঁছল তখন বামুন বলল, “চল এই জলে ডুবেই আমাদের জীবন শেষ করি, বংশ রক্ষার জন্যে যখন একটি ছেলেও রইল না, তখন বেঁচে থেকে আর ফল কী?” এই কথা বলে তারা নদীতে নামতে লাগল।
এমন সময় মা ষষ্ঠী এক বুড়ীর রূপ ধরে এসে বললেন, “ওগো বাছারা, তোমরা আর বেশী দূরে যেও না, আরও দূরে গেলে ডুবে মারা যাবে।” বামুন আর বামনী তখন তাঁকে নিজেদের দুঃখের কথা সব বলল।।
মা ষষ্ঠী সব শুনে বললেন, “দোষতো তোমাদেরই বাছা, সদ্যোজাত শিশুর কান্না শুনে অহঙ্কারে মত্ত হয়ে তোমরা সব সময় আমায় বলতে, ‘বাবা! আপদ গেলে বাঁচি।’
কখনো বলেছ কি যে, ‘আহা, ষষ্ঠীর দাস বেঁচে থাক!’ সেই পাপেই তোমাদের এই দুর্দশা। “বামনী তখন বুড়ীর পায়ে ধরে বলল, “কে তুমি বল মা।” বুড়ী বললেন, “আমিই মা ষষ্ঠী।।
শোন, এই চৈত্র মাসে সন্ন্যাস করবি আর শিবপুজো করবি। সংক্রান্তির আগের দিন উপোস করে থেকে নীলাবতীর পুজো করে নীলকণ্ঠ শিবেরঘরে বাতি জ্বেলে দিবি তারপর আমায় প্রণাম করে জল খাবি। একে বলে নীলষষ্ঠা। দেবী এই কথা বলে অদৃশ্য হয়ে গেলেন।।
এর পর বামুন আর বামনী দেশে ফিরে এসে নীলের দিন খুব ভক্তি আর নিষ্ঠার সঙ্গে নীলষষ্ঠী ব্রত পালন করল। এরপর কিছুদিনের ভেতর মা ষষ্ঠীর দয়ায় বামনীর একটি সুন্দর ছেলে হল।।
মা ষষ্ঠীর কথামত তার কোন অনিষ্ট হল না। বামনীর ব্রতের মাহাত্ম্য দেখে দেশে দেশে সবাই এই ব্রত পালন করতে আরম্ভ করল। ।
নীলষষ্ঠী ব্রতের সময় বা কাল– চৈত্র মাসের নীলষষ্ঠীর দিন মেয়েরা এই ব্রত করবে।।
নীলষষ্ঠী ব্রতের ফল— ছেলে-মেয়ের মায়েরা নীলষষ্ঠী ব্রত করলে তাদের সন্তানদের অমঙ্গল কোনো দিনই হয় না।।
Информация по комментариям в разработке