Скачать или смотреть রাজশাহীতে ছেলে খুনের ঘটনায় মামলা করলেন বিচারক ।। Judge || Vtv

রাজশাহীতে ছেলে খুনের ঘটনায় মামলা করলেন বিচারক

Follow us:
=========
Facebook:   / varendratv  
Youtube:    / varendratv  

রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আব্দুর রহমান তার ছেলে তাওসিফ রহমান সুমনকে (১৬) হত্যার ঘটনায় মামলা করেছেন। শুক্রবার দুপুরে এজাহারে সই করে তিনি ছেলের লাশ নিয়ে জামালপুরের গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। পরে রাজপাড়া থানা পুলিশ মামলাটি রেকর্ড করে। রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার গাজিউর রহমান জানান, মামলায় একমাত্র আসামি লিমন মিয়াকে (৩৪) গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তিনি পুলিশের হেফাজতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সুস্থ হলে তাকে আদালতে পাঠানো হবে।গাইবান্ধার ফুলছড়ির মদনেরপাড়া ভবানীগঞ্জ গ্রামের এসএম সোলাইমান শেখের ছেলে লিমন সেনাবাহিনীর সাবেক সৈনিক। ২০১৮ সালে চাকরি হারানোর পর তিনি নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। কয়েক বছর আগে বিয়ে করলেও সংসার ভেঙে যায়। বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহার লুসীর (৪৪) সঙ্গে তার পূর্বপরিচয় ছিল এবং তিনি তার কাছ থেকে টাকা নিতেন। টাকা বন্ধ হয়ে গেলে ব্ল্যাকমেইল করতেন ও হুমকি দিতেন। এ বিষয়ে তাসমিন নাহার গত ৬ নভেম্বর সিলেটের জালালাবাদ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।বিচারক আব্দুর রহমান এক বছর আগে রাজশাহীতে শ্রম আদালতের বিচারক হিসেবে যোগ দেন। গত মাসে তাকে মহানগর দায়রা জজ করা হয়। তিনি নগরের ডাবতলা এলাকায় স্ত্রী ও একমাত্র ছেলে তাওসিফকে নিয়ে থাকতেন।বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় লিমন ওই বাসায় গিয়ে তাওসিফকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। বাধা দিতে গিয়ে আহত হন তাসমিন নাহারও। ধস্তাধস্তিতে লিমন নিজেও আহত হন। ভবনের বাসিন্দারা সবাইকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেন; সেখানে তাওসিফকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
শুক্রবার সকালে রামেকে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ফরেনসিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. কফিল উদ্দিন জানান, তাওসিফের ডান পায়ে দুইটি এবং বাম পায়ে একটি ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রক্তনালি কেটে যায়। এতে অতিরিক্ত ও অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হয়, যা তার মৃত্যুর কারণ। গলায় পাওয়া কালশিরা দাগ নরম কাপড় দিয়ে শ্বাসরোধের কারণে হতে পারে, যদিও এটি মৃত্যুর প্রধান কারণ নয়।
ময়নাতদন্ত শেষে বিচারক আব্দুর রহমান মর্গে ঢুকে ছেলের মরদেহ একনজর দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন। কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের সদস্যরা মরদেহের গোসল করিয়ে ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্সে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে পাঠান। তাওসিফ রাজশাহী গভ. ল্যাবরেটরি স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

Disclaimer: This video is for informational and entertainment purposes only and is not professional advice. Always consult a licensed expert for guidance. It complies with applicable laws, including FTC and copyright regulations. Affiliate links or sponsorships may be included and disclosed as required. Use the information at your own risk. Offensive or inappropriate comments may be removed.