Скачать или смотреть বাংলা নববর্ষ বা পহেলা বৈশাখের অপ-সংস্কৃতি সম্পর্কে ৩ জন আলেমের বক্তব্য

চারিদিকে লাল-সাদার মিলন মেলা,পান্তা-ইলিশ খাওয়ার নামে গ্রামীন দরিদ্র শ্রেনীর আহার্যকে তাচ্ছিল্য করার
নোংরা ফ্যাশন,নানা-রংঙে,নানা-ঢঙের পশু পাখি,
মঙ্গল দেবতা সদৃশ মুখোশ পরে অপসংস্কৃতির স্রোতে নিজেকে ভাসিয়ে দিবে প্রানচঞ্চল তারুন্য……এটিই পহেলা বৈশাখের আসল চিত্র বলা যায়।
অন্যদিকে,পহেলা বৈশাখের আধুনিকায়নের নামে আয়োজিত
বিভিন্ন কনসার্ট ওবিভিন্ন উৎশৃঙ্খল অনুষ্ঠান পহেলা বৈশাখে যোগ করে উৎশৃঙ্খলতার নতুন মাত্রা কালক্রমে হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব চৈত্র সংক্রান্তি ও বৈশাখ পূজার সকল আসর অনুষ্ঠান বর্তমানে পহেলা বৈশাখে রুপ নিয়েছে
নতুন করে নতুন রুপে প্যারা হবে পহেলা বৈশাখ আসলে কোন
বাঙ্গলী উৎসব নয় বা বাঙ্গালী সংস্কৃতির অংশ নয় ।
এটি হিন্দু ও বৌদধ সম্প্রদায়ের পালিত উৎসব ।চৈত্র সংক্রান্তি থেকে বৈশাখের আগমন পযন্ত হিন্দুরা মহাসমারোহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে ।
হিন্দুরা এদিনে তাদের পূজা এ আরাধনার পবিত্র রং লাল সাদা রঙ্গের কাপড় পরে দলে দলে শোভাযাত্রা বের করে দুঃখকে পিছনে ফেলে সামনে
এগিয়ে যাবার লক্ষ্যে ।বোদূরাও এদিনে নতুন বস্ত্র পরিধান করে
ঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে,প্রদীপ জ্বালিয়ে রাতে গানের আসর বসায় যাতে গানে গানে সব রোগ শোক দূরীভূত হয়
।মূলত পহেলা বৈশাখ মুসলমানদের কোন আচার বা রীতিনীতি নয় ।অথচ এই বিজাতীয় সংস্কৃতির চরম প্রদর্শনী চলছে ৯০% মুসলমানের দেশ বাংলাদেশে ।আর বাংলাদেশের সরলমনা মানুষগুলো বিশেষ করে তরুন সম্প্রদায় এই বিজাতীয় সংস্কৃতির উন্মত্ততায় মেতে আছে
এবং অপসংস্কৃতির ছোবলকে না বুঝে এরই স্রোতে নিজেকে ভাসিয়ে দিচ্ছে ভেলার মত ।এটি কি মুসলমানদের জন্য লজ্জাজনক নয় ?
একজন ধর্মপ্রান হিন্দুকে যেমন টুপি মাথায় তসবী জপতে দেখা অস্বাভাবিক তেমনি একজন মুসলমান কি কখনোই ধুতি পান্জাবী পরে মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নিতে পারে ?লার সাদায় সজ্জিত হযে হিন্দুদের ন্যায় প্রদীপ জ্বালাতে পারে ?বড়ই ভাবার বিষয় …………..
আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ একটি দেশ ।
মুসলিম হিসেবে আমাদের আছে পূর্ণাঙ্গ এশাশ্বত সংস্কৃতি ।আমাদের সংস্কৃতি হবে শিরক,কুফর বিদয়াতমুক্ত এবং নির্ভাজাল তাওহীদদীপ্ত সংস্কৃতি ।তাই আসুন আমরা ঈমান আকীদা ওতাকওয়ার ক্ষেত্রে সর্বদা হই আপষহীন ।
পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান আল কুরআন এবং সর্বকালের,সর্বযুগের,সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব,মানবতার মুক্তির দূত হযরত মুহাম্মদ (স:) এর কর্মনীতিকে করে নিই আমাদের চলার পথের একমাত্র পাথেয় ।