Скачать или смотреть Piper Cultivation ... কোটিপতি হওয়ার ম্যাজিক্ । পিপার চাষ বারো মাস।

নারী বিকাশে মাত্র ৫০০০ পরিশ্রমী নারী নিয়ে কাজ করা হবে। লক্ষ্য প্রতিটি নারীর বাৎসরিক আয় এক লক্ষ টাকা।

নারীর ক্ষমতায়নে — ২০ টি আত্মীয় সজ্জনের বাড়িতে ২০ টি করে পরগাছা থাই-পিপার চাষ করাতে পারলে — ২/৩ বছর থেকে উদ্যোক্তা নারীর আত্মীয় সজ্জনের ঐ সকল ঔষধি গুণসম্পন্ন পূর্ণাঙ্গ থাই-পিপার গাছ থেকে বাৎসরিক লাভ অন্তত — ১২ হাজার টাকা। অর্থাৎ আত্মীয় সজ্জনের বাড়িতে ঔষধি গুণসম্পন্ন পূর্ণাঙ্গ থাই-পিপার গাছ যত, উদ্যোক্তা নারীর আয় তত। কারণ, বিনামূল্যে কাটিং বিতরণকারী উদ্যোক্তা নারী, সারা জীবন উদ্যোক্তা হিসাবে আত্মীয় সজ্জনের ঐ সকল পূর্ণাঙ্গ থাই-পিপার গাছ বিক্রয় থেকে ৫% প্রণোদক পাবেন।

জমি ও মাটি :

দো-আঁশ ও বেলে দো-আঁশ মাটি এবং জলনিষ্কাশনের সুবিধাযুক্ত ও ছায়াময় উঁচু জমিতে সাধারণত থাই-পিপার চাষ করা হয়। থাই-পিপার চাষের জন্য আলাদা কোনো জমির প্রয়োজন নেই, আলাদা কোনো পরিশ্রমের দরকার নেই, সাধারণত ফল বাগানে বা বৃক্ষ বাগানেই খরচ বিহীন থাই-পিপার গাছ চাষ করা যায়। শুধু খেয়াল রাখতে হবে বর্ষায় বা বন্যায় যেন থাই-পিপার গাছের গোড়ায় জল না জমে বা আগাছা না জন্মায়।

সার ও সেচ ব্যবস্থাপনা :

থাই-পিপার চাষে চাষিরা সাধারণত কোনো রাসায়নিক সার ব্যবহার করেন না। চারা রোপণের আগে গর্তে সমপরিমাণ পচা আবর্জনা, বালি ও গোবর সার ব্যবহার করেন। শুকনো মৌসুমে সেচের ব্যবস্থা করতে হয়। অন্তত সপ্তাহে ১ বার গাছের গোড়ায় সেচ দিলে গাছের বৃদ্ধি স্বাভাবিক থাকে। আর বর্ষা কালে থাই-পিপার গাছের গোড়ায় যাতে জল না জমে সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হয়।

লতার আরোহনের উপযুক্ত ব্যবস্থাপনা :

থাই-পিপার যেহেতু লতা জাতীয় তাই এর জন্য আরোহণের সাপোর্ট লাগে। থাই-পিপার চাষের জন্য আলাদা জমির প্রয়োজন হয় না। বিভিন্ন আরোহী গাছের সাথে আরোহণের ব্যবস্থা করে দিলেই হয়। এতে মূল গাছের বাড়বাড়ন্তে বা ফলনে কোনো সমস্যা হয় না। সে ক্ষেত্রে ৪০/৫০ ফুট উঁচু কদম, আম, কাঁঠাল, জাম, সুপারি, নারিকেল, মেহগনি ও জিয়ল গাছ বাউনি হিসেবে থাই-পিপার চাষের জন্য ব্যবহৃত হয়। বাউনি না দিলেও মাটিতে বাড়তে পারে। এক্ষেত্রে বর্ষা মৌসুমে গাছের লতার বেশ ক্ষতি হয়।

ফসল সংগ্রহ ও ফলন :

হেক্টর প্রতি ২.০ থেকে ২.৫ মেট্রিক টন ফলন পাওয়া যায়। ৫-৬ বছরের একটি গাছ থেকে বছরে প্রায় ৫ কেজি পর্যন্ত থাই-পিপার লংকার ফলন পাওয়া যায়।

থাই-পিপারের ব্যবহার :

মোট কথা থাই-পিপার লংকা — গরম মশলা ও গোলমরিচের বিকল্প হিসেবে যে কোনো রান্নার কাজে থাই-পিপার লংকা ব্যবহার করা যায়। এছাড়াও ঔষধ শিল্পে প্রতিটি ২/৩ বছরের পূর্ণাঙ্গ গাছ ১০০০ টাকায় বিক্রী করা যায়।

অর্থনৈতিক গুরুত্ব :

নার্সারি শিল্পে থাই-পিপার একটি মূল্যবান উপকরণ উপাদান হিসেবে বিশেষ বিবেচনা করা যায় । পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ও দক্ষিন ২৪ পরগনা, নদীয়া এবং উত্তরবঙ্গের উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় খুব সহজেই এই ফসলের চাষ করা সম্ভব ।