Скачать или смотреть Bangladesh Reform Watch - Citizen's Platform for SDGs - 01 Sep 2025

২০২৪-এর জুলাই বিপ্লবের পর থেকে বাংলাদেশে সংস্কার নিয়ে প্রচুর আলোচনা হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকার বেশ কয়েকটি সংস্কার কমিশনও গঠন করেছেন। এ নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও গোষ্ঠি এবং বুদ্ধিজীবীগণ তাঁদের মতামত দিচ্ছেন। কিন্তু সাধারণ নাগরিকবর্গের মতামত ও চাহিদা নিয়ে খুব একটা কিছু আলোচনা হয়নি। এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম এজন্য 'বাংলাদেশ রিফর্ম ওয়াচ' নামক একটি মাধ্যম তৈরী করার প্রয়াসে একটি আলোচনা অনুষ্ঠান আয়োজন করেছিল।

বাংলাদেশ আইসিটি ও ইনোভেশন নেটওয়ার্ক-এর চেয়ারম্যান ও বেসিস-এর সাবেক সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর তাঁর বক্তব্যে মূলতঃ তিনটি বিষয় তুলে ধরেন যেখানে সংস্কার অতি প্রয়োজনীয়।

বাংলাদেশের সকল সমস্যা ও দুর্নীতির মূলে হলো অশিক্ষা বা কুশিক্ষা। মূল্যবোধ এবং নীতিবোধ সম্বলিত করে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার একটা আমূল সংস্কার খুবই জরুরী, যেখানে মুক্তচিন্তা ও সৃজনশীলতাকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। শিক্ষাকার্যক্রমকে অবশ্যই OBE (Output based Education) হতে হবে।

যেসব ডেটা বা তথ্যের উপর নির্ভর করে নীতি-নির্ধারণ করা হয়, সেই তথ্যের যথাযথতা বা সঠিকতা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। রাজনৈতিক বক্তব্য দিতে গিয়ে অনেকে এসব তথ্যকে অতিরঞ্জিত করে ফেলেন। সরকারী হিসাবের সাথে প্রাইভেট সেক্টরের হিসাব মেলে না। যেকোন স্ট্র্যাটেজি তৈরী করতে সঠিক তথ্য খুবই দরকার। তাই, ডেটা ইন্টিগ্রিটি ও ভ্যালিডেশন-এর ব্যবস্থা নিয়ে তথ্য সংস্কার অতীব গুরুত্বপূর্ণ।

জবাবদিহিতামূলক সরকার তৈরীর লক্ষ্যে সকল সরকারী বা নাগরিক সেবার ড্যাশবোর্ড উন্মুক্ত করে দেওয়া উচিৎ যাতে সাধারণ নাগরিক সেই ড্যাশবোর্ডে কারেন্ট তথ্য দেখতে পান। যেমন, পাসপোর্টের বা ট্রেড লাইসেন্সের আবেদনের মোট সংখ্যা, অগ্রগতি, নিস্পত্তি ইত্যাদি সরাসরি রিয়েল টাইমে দেখা যায়। এতে সেই সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জবাবদিহিতা তৈরী হবে, এবং পাবলিক তাঁদের পারফরমান্সের মূল্যায়ন করতে পারবেন।