Скачать или смотреть পেঁপে চাষের পদ্ধতি

পেঁপে চাষের পদ্ধতি বাংলাদেশের মাটি ও আবহাওয়ার জন্য উপযোগী এবং তুলনামূলক সহজ। নিচে পেঁপে চাষের ধাপে ধাপে পদ্ধতি দেওয়া হলো:
১. জমি নির্বাচন ও প্রস্তুতি

মাটির ধরন: পেঁপের জন্য দোআঁশ মাটি সবচেয়ে উপযোগী। মাটির pH মান ৬.০-৭.০ হওয়া ভালো।
জমি প্রস্তুতি: জমি ভালোভাবে চাষ করে ঝুরঝুরে করে নিতে হবে। জৈব সার (গোবর বা কম্পোস্ট) প্রতি হেক্টরে ১০-১৫ টন প্রয়োগ করুন। রাসায়নিক সার হিসেবে ইউরিয়া, টিএসপি এবং এমওপি প্রয়োজন অনুযায়ী দিন।
নিষ্কাশন: পেঁপে জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারে না, তাই জমিতে ভালো নিষ্কাশন ব্যবস্থা থাকতে হবে।

২. বীজ বা চারা নির্বাচন

বীজ নির্বাচন: উন্নত জাতের বীজ (যেমন- শাহী পেঁপে, রেড লেডি, বারি পেঁপে-১) বেছে নিন। হাইব্রিড জাত ফলন বেশি দেয়।
চারা তৈরি: বীজ থেকে চারা তৈরি করতে পলিব্যাগে বীজ বপন করুন। ২৫-৩০ দিনের চারা রোপণের জন্য উপযুক্ত।

৩. রোপণ

রোপণের সময়: বাংলাদেশে ফেব্রুয়ারি-মার্চ বা সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাস পেঁপে রোপণের উপযুক্ত সময়।
দূরত্ব: গাছ থেকে গাছ ২-২.৫ মিটার এবং সারির মধ্যে ২-২.৫ মিটার দূরত্ব রাখুন।
গর্ত তৈরি: প্রতিটি গর্ত ৪৫×৪৫×৪৫ সেমি হবে। গর্তে জৈব সার ও রাসায়নিক সার মিশিয়ে ৭-১০ দিন রেখে তারপর চারা রোপণ করুন।

৪. পরিচর্যা

সেচ: পেঁপে গাছের জন্য নিয়মিত পানি সেচ প্রয়োজন, তবে জলাবদ্ধতা এড়াতে হবে। গ্রীষ্মে ৭-১০ দিন পর পর সেচ দিন।
সার প্রয়োগ: রোপণের পর প্রতি গাছে ইউরিয়া ২৫০ গ্রাম, টিএসপি ২০০ গ্রাম এবং এমওপি ২৫০ গ্রাম ৩-৪ মাস পর পর দিন।
আগাছা নিয়ন্ত্রণ: জমি আগাছামুক্ত রাখতে নিয়মিত নিড়ানি দিন।
কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ: মাছি, মাকড় বা অন্যান্য কীটপতঙ্গ দেখা দিলে জৈব বা রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার করুন। ভাইরাস রোগ প্রতিরোধে সুস্থ চারা ব্যবহার করুন।

৫. ফল সংগ্রহ

পেঁপে রোপণের ৮-১০ মাস পর ফল দেওয়া শুরু করে। ফল হালকা হলুদ বা কমলা রঙের হলে সংগ্রহ করুন।
ফল সাবধানে কেটে নিন, যাতে গাছের ক্ষতি না হয়।

৬. ফলন ও লাভ

একটি পেঁপে গাছ থেকে বছরে ৫০-১০০টি ফল পাওয়া যায়। হেক্টর প্রতি গড় ফলন ৪০-৫০ টন।
সঠিক পরিচর্যায় পেঁপে চাষ লাভজনক হতে পারে।

পরামর্শ

স্থানীয় কৃষি অফিস থেকে পরামর্শ নিয়ে জাত ও সারের পরিমাণ নির্ধারণ করুন।
রোগ প্রতিরোধী জাত বেছে নিন এবং নিয়মিত গাছ পর্যবেক্ষণ করুন।

আপনার যদি নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ে আরও তথ্য প্রয়োজন হয়, জানান!