কাউকে অভিশাপ দিলে যে ক্ষতি হয় ।
আমরা অনেকেই অপচ্ছন্দের লোককে অভিশাপ দেই। অথচ ইসলামের দৃষ্টিতে কাউকে বদদোয়া দেওয়া কিংবা কারো জন্য অভিশাপ কামনা করা সম্পূর্ণ হারাম। এটা মুমিনের কাজ নয়।
বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) বলেন, ‘তোমরা একে অপরকে আল্লাহর লানত, তার গজব ও জাহান্নামের অভিশাপ দিয়ো না। ’ (তিরমিজি : ১৯৭৬)।
আল্লাহর রাসুল (সা.) কাউকে লানত বা অভিশাপ দেওয়াকে তাকে হত্যা করার সমতুল্য বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন, ‘কোনো ঈমানদার ব্যক্তিকে অভিশাপ দেওয়া তাকে হত্যা করার সমতুল্য। ’ (বোখারি : ৬০৪৭)।
প্রিয়নবী (সা.) অভিশাপ ও অভিশাপকারীকে পছন্দ করেননি। রাসুল (সা.) বলেছেন, যখন কোনো বান্দা কোনো ব্যক্তিকে অভিশাপ দেয়, তখন অভিশাপ আকাশে চলে যায়, আকাশের দরজাগুলো তার জন্য বন্ধ হয়ে যায়, অতঃপর তা জমিনের দিকে নেমে আসে। তখন জমিনের দরজাগুলোও তার থেকে বন্ধ করে দেয়া হয়, অতপর তা ডানে বাঁয়ে ঘুরতে থাকে, যখন কোনো উপায় না পায়, তখন যাকে অভিসম্পাত করা হয়েছে, সে যদি এর যোগ্য হয়, তাহলে তার প্রতি পতিত হয়। অন্যথায় অভিশাপকারীর দিকেই ধাবিত হয়। (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৯০৭)।
প্রিয় নবী (সা.) তার ওপর অত্যাচারকারী কাফির-মুশরিকদেরও অভিশাপ দেননি। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.)-কে বলা হলো, হে আল্লাহর রাসুল! আপনি মুশরিকদের ওপর বদদোয়া (অভিশাপ) করুন। তিনি বলেন, আমি তো অভিসম্পাতকারীরূপে প্রেরিত হইনি; বরং প্রেরিত হয়েছি রহমতস্বরূপ। (মুসলিম, হাদিস : ৬৫০৭)।
অভিসম্পাতকারী আখেরাতেও মান-মর্যাদা পাবে না। রাসুল (সা.) বলেন, কিয়ামতের দিন অভিশাপকারীরা সুপারিশ করতে পারবে না এবং সাক্ষ্যপ্রদানও করতে পারবে না। (মুসলিম, হাদিস নং: ২৫৯৮)।
ইসলামে বলা হয়েছে, যে লানত বা অভিশাপ দেবে, সে অভিযুক্ত ব্যক্তি যদি অভিশাপের উপযুক্ত না হয়, তাহলে এই অভিশাপ তার দিকে যায় না। বরং অভিশাপকারীর দিকেই প্রত্যাবর্তিত হয়।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যখন কোনো বান্দা কোনো ব্যক্তিকে অভিশাপ দেয়, তখন অভিশাপ আকাশে চলে যায়, আকাশের দরজাগুলো তার জন্য বন্ধ হয়ে যায়, অতঃপর তা জমিনের দিকে নেমে আসে। তখন জমিনের দরজাগুলোও তার থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়, অতঃপর তা ডানে বাঁয়ে ঘুরতে থাকে, যখন কোনো উপায় না পায়, তখন যাকে অভিসম্পাত করা হয়েছে, সে যদি এর যোগ্য হয়, তাহলে তার প্রতি পতিত হয়। অন্যথায় অভিশাপকারীর দিকেই ধাবিত হয়। ’ (আবু দাউদ : ৪৯০৭)।
ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে অন্য হাদিসে এসেছে, এক ব্যক্তি রাসুল (সা.)-এর বাতাসকে লানত (অভিশাপ) দিল, তখন নবীজি বললেন, বাতাসকে লানত দিও না, কেননা এ তো আল্লাহরপক্ষ থেকে নির্দেশিত। কেউ যদি কোনো বস্তুকে লানত বা অভিশাপ দেয়, আর সে যদি ওই লানতের পাত্র না হয়, তাহলে সেই লানত লানতকারীর দিকেই ফিরে আসে। (তিরমিজি, হাদিস নং: ১৯৭৮; আবু দাউদ, ২/২৭৬)
Информация по комментариям в разработке