#surahbaqarah#সূরা আল-বাকারাহ#surabakara
সূরা আল-বাকারাহর গুরুত্ব ও ফযীলতঃ
১) সূরাটি সবচেয়ে বড় সূরা।
২) সূরাটি সবচেয়ে বেশী আহকাম বা বিধি-বিধান সমৃদ্ধ। [ইবনে কাসীর]
৩) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ সূরা পাঠ করার বিভিন্ন ফযীলত বর্ণনা করেছেনঃ
• আবু উমামাহ আল-বাহেলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেনঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, তোমরা কুরআন তিলাওয়াত কর; কেননা, কেয়ামতের দিন এই কুরআন তোমাদের জন্য সুপারিশকারী হিসাবে আসবে। তোমরা দুটি পুস্প তথা সূরা আল-বাকারাহ ও সূরা আলে-ইমরান তিলাওয়াত কর, কেননা কেয়ামতের দিন এ দুটি সূরা এমনভাবে আসবে যেন এ দুটি হচ্ছে দুখণ্ড মেঘমালা, অথবা দু’টুকরো কালো ছায়া, অথবা দু’ঝাঁক উড়ন্ত পাখি। এ দুটি সূরা যারা তিলাওয়াত করবে তাদের থেকে (জাহান্নামের আযাবকে) প্রতিরোধ করবে। তোমরা সূরা আল-বাকারাহ তিলাওয়াত কর। কেননা, এর নিয়মিত তিলাওয়াত হচ্ছে বারাকাহ বা সমৃদ্ধি এবং এর তিলাওয়াত বর্জন হচ্ছে আফসোসের কারণ। আর যাদুকররা এর উপর কোন প্রভাব বিস্তার করতে পারে না। [মুসলিম-৮০৪]
• অপর হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা সূরা আল-বাকারাহ পাঠ কর। কেননা, এর পাঠে বরকত লাভ হয় এবং পাঠ না করা অনুতাপ ও দুর্ভাগ্যের কারণ। যে ব্যক্তি এ সূরা পাঠ করে তার উপর কোন আহলে বাতিল তথা জাদুকরের জাদু কখনও প্রভাব বিস্তার করতে পারেনা। [মুসনাদে আহমাদ: ৫/২৪৯]
• রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেনঃ তোমরা তোমাদের ঘরসমূহকে কবর বানিওনা, নিশ্চয়ই শয়তান ঐ ঘর থেকে পালিয়ে যায় যে ঘরে সূরা আল-বাকারাহ পাঠ করা হয়। [মুসলিমঃ ৭৮০] অন্য রেওয়ায়েতে এসেছে, যে ঘরে সূরা আল-বাকারাহ পড়া হয় সেখানে শয়তান প্রবেশ করেনা। [মুসনাদে আহমাদ: ২/২৮৪]
• রাসূল সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ ‘প্রত্যেক বস্তুরই উচ্চ স্তম্ভ রয়েছে, কুরআনের সুউচ্চ শৃংগ হলো, সূরা আল-বাকারাহ। [তিরমিযীঃ ২৮৭৮, মুস্তাদরাকে হাকিম: ২/২৫৯]
৪) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হুনাইনের যুদ্ধের দিন সাহাবায়ে কেরামকে ডাকার সময় বলেছিলেনঃ হে সূরা আল-বাকারাহর বাহক (জ্ঞানসম্পন্ন) লোকেরা। [মুসনাদে আহমাদ: ১/২১৮]
৫) সূরা আল-বাকারাহ তিলাওয়াত করলে সেখানে ফিরিশতাগণ আলোকবর্তিকার মত অবতরণ করে। এ প্রসংগে বিভিন্ন সহীহ হাদীসে বর্ণনা এসেছে। [বুখারীঃ ৫০১৮]
৬) যে সমস্ত সাহাবায়ে কেরাম সূরা আল-বাকারাহ জানতেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে নেতৃত্বের যোগ্যতাসম্পন্ন মনে করতেন এবং তাদেরকে যুদ্ধে আমীর বানাতেন। [তিরমিযী: ২৮৭৬, সহীহ ইবনে খুযাইমাহ:৩/৫, হাদীস নং ১৫০৯, ৪/১৪০, হাদীস নং ২৫৪০, মুস্তাদরাকে হাকিম: ১/৬১১, হাদীস নং ১৬২২]
৭) অনুরূপভাবে যারা সূরা আল-বাকারাহ এবং সূরা আলে-ইমরান জানতেন, সাহাবাদের নিকট তাদের মর্যাদা ছিল অনেক বেশী [মুসনাদে আহমাদঃ ৩/১২০,১২১]
৮) সর্বোপরি এ সূরাতে আল্লাহর “ইসমে আযম” রয়েছে যার দ্বারা দোআ করলে আল্লাহ সাড়া দেন। এ সূরায় এমন একটি আয়াত রয়েছে যা কুরআনের সর্বশ্রেষ্ঠ আয়াত। এ আয়াতটি হচ্ছে আয়াতুল কুরসী, যাতে মহান আল্লাহ্ তা'আলার নাম ও গুণাবলী বর্ণিত হয়েছে।
আহসানুল বায়ান
সূরা বাক্বারাহ [1] / (মদীনায় অবতীর্ণ) / সূরা নং- ২, আয়াত সংখ্যা: ২৮৬
[1] এই সূরার ৬৭-৭১নং আয়াতে একটি গাভীর কথা উল্লেখ হয়েছে। এই জন্যই এই সূরাকে ‘সূরা বাক্বারাহ’ (গাভীর ঘটনা সংক্রান্ত সূরা) বলা হয়। হাদীসে এই সূরার বিশেষ ফযীলত এই বলা হয়েছে যে, যে ঘরে এই সূরা পড়া হয়, সে ঘর থেকে শয়তান পলায়ন করে। রসূল (সাঃ) বলেন, ‘‘তোমরা তোমাদের ঘরগুলোকে কবরে পরিণত করো না। কারণ যে ঘরে সূরা বাক্বারাহ পড়া হয়, সে ঘরে শয়তান প্রবেশ করতে পারে না।’’ (মুসলিম, পরিচ্ছেদঃ মুসাফিরদের নামায, অধ্যায়ঃ বাড়ীতে নফল নামায পড়া মুস্তাহাব)
নাযিল হওয়ার দিক দিয়ে এটি প্রথম পর্যায়ের মাদানী সূরাগুলির অন্তর্ভুক্ত। তবে এর কতকগুলি আয়াত (বিদায়ী হজ্জের) সময়ে নাযিল হয়েছে। কোন কোন আলেমদের নিকট এর মধ্যে রয়েছে এক হাজার বার্তা, এক হাজার বিধি-বিধান এবং এক হাজার বাধা-নিষেধ। (ইবনে কাসীর)
Информация по комментариям в разработке