একদিন আজরাইলের মুখামুখী খালিদ বিন ওয়ালিদ রাঃ
#KhalidBinWalid #ইসলামিকগল্প #IslamicStory #ডাইনি #ইতিহাস #BanglaIslamicVideo #কাহিনী #KhalidStory #ইসলামেরযোদ্ধা
খালিদ ইবনে ওয়ালিদ (রাঃ) ছিলেন ইসলামের অদম্য যোদ্ধা। তাঁর জীবনে এমন এক রহস্যময় ঘটনা আছে যেখানে তিনি এক ডাইনির মুখোমুখি হন। আল্লাহর উপর ভরসা রেখে কিভাবে তিনি জয়ী হলেন এবং মুসলমানদের জন্য একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন—এই ভিডিওতে সেই চমকপ্রদ কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে।
👉 সম্পূর্ণ ভিডিওটি দেখুন এবং ইসলামিক ইতিহাসের অজানা ঘটনাগুলো জানুন।
---
✅ ভাইরাল কিওয়ার্ড
খালিদ বিন ওয়ালিদ কাহিনী
ইসলামিক গল্প
ডাইনি গল্প ইসলামিক
Khalid bin Walid story in Bangla
ইসলামের সাহসী যোদ্ধা
রহস্যময় ইসলামিক কাহিনী
Khalid vs Witch
...................................
রোমানদের বড় বাহাদুর এক যোদ্ধা ছিল। মৃত্যুর মালায়েক আজরাইলের নামে তার নাম ছিল-আজাজির। বিশাল দানবের মতো শরীর, প্রশস্ত বুক আর পেশী কিলবিলে বাহু। যুদ্ধের ময়দানে প্রতিপক্ষের সবচেয়ে বলশালী যোদ্ধাদেরকে খুঁজে বেড়াতো আজাজীর। দু’ধারী তরবারি নিয়ে সে যখন কারো সামনে দাঁড়িয়ে যেত, প্রতিপক্ষ তখন পালিয়ে যাবার পথটাও খুঁজে পেতো না। চিরশত্রু পারস্য সাম্রাজ্যে বাঘা বাঘা কত জেনারেল ছিল। কিন্তু কেউ কোনো দিন স্বেচ্ছায় আজাজীরের মুখোমুখী হওয়ার হিম্মত দেখায় নি।
রণাঙ্গণে আজাজীর যখন শত্রুর মুখোমুখী হতো, তখন নিজের পরিচয় তুলে ধরে সে বলতো, “আমি আজাজীর, মৃত্যুর ফেরেশতার নামে নাম আমার। আমিই পারসিকদের ঘাতক। আমিই তুর্কীদের মৃত্যুদূত। আমি এই শ্যামের মাটিতে জন্ম নেয়া সর্বশ্রেষ্ঠ যোদ্ধা।”
আজাজীরের এই আস্ফালন আর তার ভয়ানক বিধ্বংসী চেহারা- এটুকুই যথেষ্ট ছিল প্রতিপক্ষের বুকে কাঁপন সৃষ্টি করার জন্য। তার সবচেয়ে গর্বের বিষয় ছিল, ইতোপূর্বে সে কখনো কারো বিরুদ্ধে দ্বৈত যুদ্ধে পরাজিত হয় নি।
এই মৃত্যুদূত আজরাইল একবার ইসলামের সেনাপতি হযরত খালিদ বিন ওয়ালিদ রাঃ-র পথ আগলে দাঁড়িয়েছিল। আজাজির তো বটেই, রোমানরা সবাই বড্ড বিরক্ত ছিল খালিদের প্রতি। কেননা, খালিদের নেতৃত্বেই আরবরা রোমানদের শহরগুলো একটার পর একটা দখল করে নিচ্ছিল। তার দুর্দান্ত গতি আর ক্যারিশমেটিক নেতৃত্বের সামনে কেউ দাঁড়াতেই পারছিল না। একদিন আজাজীর যখন সেই খালিদের পথ আগলে দাঁড়ালো, মনে হলো যেন রোমানরা বড় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো। তারা ভাবলো, মুর্খ আরব! এবার বুঝবে কত ধানে কত চাল। আমাদের একজন আজাজির তোমাদের ওরকম দশটা খালিদকে খেয়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ট।
হ্যাঁ, রোমানরা সে দিন এমনটাই ভেবেছিল। আর উপস্থিত মুসলিম যোদ্ধারা! তারা কী ভাবছিলেন? সত্যি বলতে, মুসলিম সেনারাও সেদিন সেনাপতির জীবন নিয়ে সংশয়ে পরে গিয়েছিলেন।
খালিদ কি পারবেন আজাজিরকে সামাল দিতে?
এমন কি হতে পারে, খালিদ আজকে শহীদ হয়ে যাবেন?
তবে কি থমকে যাবে আমাদের এই বিজয়যাত্রা?
এত বড় রোমান বাহিনী! তার বিরুদ্ধে আমরা এত ছোট্ট একটি দল। খালিদই যদি না থাকেন, তবে ছোট্ট এই বাহিনীকে কে টেনে নিয়ে যাবে?
এরকম বহু প্রশ্ন সেদিন ভীড় করেছিল মুসলিম সৈনিকদের মনে।
কিন্তু আমাদের খালিদ বিন ওয়ালিদ, স্বয়ং আল্লাহর তলোয়ার যিনি, ওই আজরাইলের সামনে পরে তিনিও কি ঘাবড়ে গিয়েছিলেন? যারা খালিদকে চেনেন, তিনি কোন জাতের কোন ক্লাসের, সে ব্যাপারে যারা ধারণা রাখেন, তারা নিশ্চয়ই এমনটা ভাবছেন না। সত্যি বলতে, খালিদ সেদিন এতটুকুও বিচলিত হন নি। উল্টো তিনি এমন এক কাণ্ড করে বসেন, যা ছিল তার দীর্ঘ লড়াকু জীবনের এক নজিরবিহীন ঘটনা। আপনি শুধু কল্পনা করুন, আমাদের বর্ণিত ওই আজরাইলকে জামার কলার চেপে ধরে খালিদ টেনে হেচড়ে নিজের তাবুর দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। অতঃপর সেখানে নিয়ে তাকে তিনি শিকল দিয়ে বেধে ফেলছেন। এত বড় যোদ্ধা আজাজীর! জীবনে কখনো দ্বৈতযুদ্ধে পরাজিত হয় নি। তার সাথে এমনটা ঘটছে, এ কথা ভাবা যায়? হ্যাঁ, আপনার যেমন বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে, সে দিন ওই রণক্ষেত্রে উপস্থিত হাজার হাজার রোমান সেনাদেরও এই দৃশ্যটা না হজম করতে কষ্ট হয়েছিল। আমরা সাধারণ মানুষ যেটা কল্পনা করতে পারবো না, সেটাই বাস্তবে ঘটিয়ে দেখাবেন বলেই তো তিনি আল্লাহর তলোয়ার! চলুন গল্পটা গোড়া থেকে শুরু করি।
Disclaimer:-
Copyright Disclaimer Under Section 107 of the Copyright Act 1976, allowance is made "fair use" for purposes such as criticism, comment, news reporting, teaching, scholarship, and research. Fair use is a use permitted by copyright statute that might otherwise be infringing. Non-profit, educational or personal use tips the balance in the favor of fair use.
Информация по комментариям в разработке