Скачать или смотреть মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক কর্নেল এমএজি ওসমানী (ষোল তম শেষ পর্ব)।

১৬ তম পর্ব।

মন্ত্রিপরিষদ মন্ত্রী।

আসসালামু আলাইকুম।
শ্রদ্ধেয় দর্শক প্রিতি ও শুভেচ্ছা নিন। করোনাকালীন কঠর লক ডাউনের ভিতরে যে যেখানে থাকুন না কেন সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন।

প্রিয় দর্শক।
যদিও এমএজি ওসমানী সম্ভবত প্রতিরক্ষামন্ত্রী হওয়ার আশা করেছিলেন যখন সেনাবাহিনী থেকে অবসর নিয়েছিলেন এবং পাঁচ দিন পর বিমান অভ্যন্তরীণ জল পরিবহন মন্ত্রীর পদে নিযুক্ত হন। সশস্ত্র-বাহিনীর কর্মীরা রাজনৈতিক পদে থাকতে পারে না। সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী অনুসারে একদলীয় সরকার প্রবর্তনের পরে ১৯৭৫ সনের মে মাসে এমএজি ওসমানী মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বারা বাংলাদেশে গণতন্ত্র বিলোপের প্রতিবাদে তিনি এবং মইনুল হোসেইন আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের হত্যার পরে ১৯৭৫ সনের ২৯শে আগস্ট এমএজি ওসমানী রাষ্ট্রপতির পরামর্শদাতা ছিলেন।

সেনা প্রধান স্টাফ-
এম এ রব, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রথম চিফ অফ স্টাফ ১২ই এপ্রিল ১৯৭১ থেকে - ১৯শে এপ্রিল ১৯৭২ সনে মেজর জেনারেল পদে পদোন্নতি পেয়ে অবসর গ্রহণ করেন। এমএজি ওসমানী তার উত্তরসূরি সম্পর্কে পরামর্শ নিয়েছিলেন, কে এম এম শফিউল্লাহকে সুপারিশ করেছিলেন। ১৯৭১ সনের মার্চ মাসে পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে মুক্তিবাহিনীতে যোগ দেওয়া এই চার জন সেনা কর্মকর্তা সালাহউদ্দিন মোহাম্মদ রেজা, সি আর দত্ত, জিয়াউর রহমান এবং শফিউল্লাহ।
১৯৭১সনের ২৫ শে মার্চ জিয়াউর রহমান যুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন এবং তিন দিন পর শফিউল্লাহ যোগ দেন। যদিও তারা একই দিন পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমিশন প্রাপ্ত হয়েছিল (১৯৫৫ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর দ্বাদশ পিএমএ লং কোর্স সমাপ্ত করে), চূড়ান্ত র‌্যাঙ্কিংয়ে জিয়াউর রহমান শফিউল্লাহর চেয়েও উপরে ছিলেন। এমএজি ওসমানী জিয়াউর রহমানকে অপছন্দ করতেন, এবং কমলাপুরের যুদ্ধের পরে তাকে তাড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন। তবে এমএজি ওসমানী সম্ভবত কোনও সুপারিশ করেননি এবং শফিউল্লাহর নিয়োগ সম্ভবত রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত হতে পারে।

সুপ্রিয় দর্শক।
ক্যাডেট কলেজ সঙ্কটঃ-
১৯৭২ সনে, বাংলাদেশ সরকার রাষ্ট্রপতি ডিক্রি জারি করে ক‍্যাডেট কলেজ গুলি সরকারী কলেজ গুলিতে পরিবর্তন করে। প্রাক্তন ক্যাডেটদের একটি প্রতিনিধি দল জিয়াউর রহমানকে দেখতে গিয়েছিল, তিনি এমএজি ওসমানীর সাথে অ্যাপয়েন্টমেন্ট পেতে তাদের সহায়তা করেছিলেন। এমএজি ওসমানী রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রহমানের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছিলেন এবং ডিক্রি প্রত্যাহার করা হয়।

খাজা ওয়াসিউদ্দিনএদিত ১৯৫১ সনে মেজর জেনারেল ইশফাকুল মজিদের জোর করে অবসর নেওয়ার পরে খাজা ওয়াসিউদ্দিন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সিনিয়র র‌্যাঙ্কড পূর্ব পাকিস্তানি অফিসার ছিলেন ওয়াসিউদ্দিনকে ১৯৭১ সনে (পাঞ্জাবের মুলতান ভিত্তিক) পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দ্বিতীয় কর্পসের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে স্থান দেওয়া হয়েছিল। তিনি ত্রুটিযুক্ত হওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন কিন্তু যখন তিনি রাওয়ালপিন্ডি আর্মি সদর দফতরে অর্ডিন্যান্সের মাস্টার জেনারেল হিসাবে নিয়োগ পেয়েছিলেন তখন তা করতে পারছিলেন না। পাকিস্তানের পরাজয়ের পরে তিনি বাংলাদেশের পক্ষ বেছে নিয়েছিলেন এবং নিজের বাড়িতেই ছিলেন। ওয়াসিউদ্দিন বাংলাদেশে আসার আগে ১৯৭২ সনের অক্টোবরে লন্ডনে যান। ১৯৫৯ সনে এমএজি ওসমানী ও ওয়াসিউদ্দিন রাওয়ালপিন্ডি জিএইচকিউতে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন এবং তাদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক ছিল।

দর্শক।
এমএজি ওসমানী ওয়াসি উদ্দিনের সাথে বিমানবন্দরে দেখা করেছিলেন এবং আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। ৫৪ বছর বয়সে ওয়াসিউদ্দিনের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে উপকৃত করতে পারত। গুঞ্জন ছিল যে এম এজি ওসমানী তাকে সেনাবাহিনী প্রধান হিসাবে স্টাফ হিসাবে সরকারের কাছে সুপারিশ করবেন, কিন্তু সেনা কর্মীদের মুক্তিবাহিনীর কিছু সদস্য পদত্যাগ করার হুমকি দিয়েছিলেন। যদিও ঘটনা ঘটার ফলে এমএজি ওসমানী আহত হয়েছিল। ওয়াসিউদ্দিন রাষ্ট্রদূত হলেন। শফিউল্লাহ (যিনি এপ্রিল মাসে রবকে চিফ অফ স্টাফ পদে বদল করেছিলেন) বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমানকে এই গুজব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, রাষ্ট্রপতি বলেছিলেন যে কেবল পরীক্ষিত দেশপ্রেমিকই সেনাপ্রধান হবেন।

শ্রদ্ধেয় দর্শক!
আমার জ্ঞান সীমিত ও নগন্য। ক্ষুদ্র জ্ঞানে এত বড় বেক্তির ও বড় মাপের মানুষের জীবনি বর্ণনা করা খুবই কষ্টকর বটে, তবুও আমার এই লেখাতে যদি আমি তথ্যগত কোন ভুল করে থাকি বা লিখনীর মাধ্যমে কাহারোও মনে কোন ব্যথা দিয়ে থাকি বা পেয়ে থাকেন তবে নতুন হিসাবে ক্ষমা করে দিবেন। আমার ভূলগুলি শুধরে নিবার চেষ্টা করব ইনশাল্লা । আমি সবার কাছে দোঁয়া ও ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

অনুষ্ঠানটি অন্যদের দেখার সুযোগ করে দিতে অবশ্যই লাইক,শেয়ার ও আপনার মতামত দিন। সবার আগে নতুন অনুষ্ঠান দেখতে আপনার পাশে থাকা বেল আইকনটি বাঁজাতে ভুলবেন না আশাকরি।

সরকারী নির্দেশনা মেনে চলুন। মাস্ক ব্যবহার করুন। সবাই সুস্থ ও ভাল থাকুন। আবার কথা হবে নতুন কোন অনুষ্ঠান নিয়ে এই প্রত্যাশায় এখানেই বিদায় নিচ্ছি। ধন্যবাদ সবাইকে। আল্লাহ হাফেজ।
RS TV র পক্ষে
( মোঃ রেজাউল করিম )।