বিপদ পেরেশানি দরিদ্রতা অসুস্থতা দূর করার অব্যার্থ আমল | মুফতী মুস্তাকুন্নবী কাসেমী Mustakunnab Kasem

Описание к видео বিপদ পেরেশানি দরিদ্রতা অসুস্থতা দূর করার অব্যার্থ আমল | মুফতী মুস্তাকুন্নবী কাসেমী Mustakunnab Kasem

বিপদ টেনশন পেরেশানি দরিদ্রতা অসুস্থতা দূর করার অব্যার্থ আমল মাত্র ১বার পড়বেন। ​আল্লামা মুফতী মুস্তাকুন্নবী কাসেমী Mustakunnabi Kasemi waz new waz 2024

ইসতেগফারের ফজিলত

ইসতেগফার হলো আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা। সব সময় আল্লাহর কাছে ক্ষমার মানসিকতা পোষণ করা। যদিও ইসতেগফার অর্থ ক্ষমা প্রার্থনা করা কিন্তু আল্লাহ তাআলা বান্দার ইসতেগফারে রেখেছেন অনেক উপকার ও ফজিলত। কী সেসব ফজিলত?

ইসতেগফার নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের একটি প্রিয় আমল। তিনি সব সময় নামাজের সালাম ফেরানোর পর ইসতেগফার পড়তেন। হাদিসে পাকে এসেছে, রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন নামাজের সালাম ফেরাতেন, তখন সর্ব প্রথম যে শব্দ তাঁর পবিত্র জবান থেকে বেরত হতো, তাহলো- আস্তাগফিরুল্লাহ

হাদিসে ইসতেগফার

হাদিসের অনেক বর্ণনায় ইসতেগফার করার কথা এসেছে। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও প্রতিদিন একশত বার ইসতেগফার করতেন। ইসতেগফার নিয়ে হাদিসের একাধিক বর্ণনায় এসেছে

১. হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহ আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, ‘আমরা এক মজলিশে গণনা করতাম। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একশত বার বলতেন-

উচ্চারণ : ‘রাব্বিগফিরলি; ওয়া তুব আলাইয়্যা; ইন্নাকা আংতাত তাউয়্যাবুর রাহিম।’
অর্থ : হে আমার রব! তুমি আমাকে ক্ষমা কর এবং আমার তওবা কবুল কর; নিশ্চয় তুমি তওবা কবুলকারী ও দয়াশীল।’ (তিরমিজি, আবু দাউদ)

২. রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘সে সত্বার শপথ! যার হাতে আমার জীবন; যদি তোমরা গুনাহ না কর তবে আল্লাহ তাআলা তোমাদের নিয়ে যাবেন এবং এমন এক সম্প্রদায় নিয়ে আসবেন; যারা গুনাহ করবে এবং আল্লাহর কাছে তওবা করবে। অতঃপর আল্লাহ তাআলা তাকে ক্ষমা করে দেবেন। (মুসলিম)

৩. হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহুকে এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করেছিল, এমন একজন ব্যক্তি সম্পর্কে, যে গুনাহ করে তওবা করে; পুনরায় গুনাহ করে। আবার তওবা করে আবার গুনাহ করে। আবার গুনাহের কাজে মশগুল হয় এবং আবার তওবা-ইস্তিগফার করে। এ রূপ করতে থাকা ব্যক্তির কি অবস্থা হবে? হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, তার কর্তব্য হলো সর্বদা তওবা-ইস্তিগফার করতে থাকা। কেননা তওবা-ইস্তিগফার অব্যাহত থাকলে শয়তান ব্যর্থ হয়ে যাবে। শয়তান বলবে, এ ব্যক্তিকে গুনাহর কাজে সর্বদা মশগুল রাখতে আমি অক্ষম।

৪. হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কাছে তওবা করতে থাক। কেননা আমি নিজে দৈনিক ১০০ বার তওবা করি।

৫. হজরত আবু আইয়ুব রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, আমি নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে একথা শুনেছি, যা তোমাদের কাছ থেকে গোপন রেখেছিলাম; তাহলো এই যে, তিনি বলেছেন, যদি তোমরা গুনাহ করে আল্লাহ তাআলার মহান দরবারে তওবা-ইসতেগফার না করতে, তবে আল্লাহ তাআলা এমন এক মাখলুক সৃষ্টি করতেন, যারা গুনাহ করে আল্লাহ তাআলার দরবারে তওবা করতো, তখন আল্লাহ তাআলা তাদেরকে ক্ষমা করতেন। (মুসলিম)

৬. নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি নিয়মিত ইসতেগফার (তওবা) করবে, আল্লাহ ওই বান্দাকে তার সব সংকট থেকে উত্তরণের (মুক্তির) পথ বের করে দেবেন, সব দুশ্চিন্তা (পেরেশানি) মিটিয়ে দেবেন এবং অকল্পনীয় উৎস থেকে তার রিজিক-এর ব্যবস্থা করে দেবেন।’ (আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ)

কোরআন-সুন্নাহর আলোকে ইসতেগফারের ফজিলত
১. গুনাহ মাফ হয়ে যায়।
২. ইসতেগফারের মাধ্যমে বালা-মুসিবত দূর হয়।
৩. রিজিক প্রশস্ত হয়।
৪. পরিবারে শান্তি আসে।
৫. শরীরে ঈমানি শক্তি বৃদ্ধি পায়।
৬. হৃদয় স্বচ্ছ ও নির্মল হয়।
৭. আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন হয়।
৮. চিন্তা পেরেশানি দূর হয়।
৯. রহমতের বৃষ্টি বর্ষিত হয়।
১০. সুসন্তান লাভ হয়।
১১. নদী-নালা প্রবাহিত হয়।
১২. সম্মানিতদের সম্মান বৃদ্ধি হয়।
১৩. আজাব-গজব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
১৪. মুস্তাজাবুদ দাওয়ার গুণ অর্জন হয়। অর্থাৎ ইসতেগফারকারী এমন হয়ে যাবেন, যখন তিনি কোনো দোয়া করবেন, আল্লাহ তাআলা তা কবুল করবেন।
১৫. পরকালে জান্নাত লাভ হয়।

কীভাবে ইসতেগফার করবেন
১. উচ্চারণ : ‘আস্তাগফিরুল্লাহ।’
অর্থ : আমি আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
নিয়ম : প্রতি ওয়াক্ত ফরজ নামাজের সালাম ফেরানোর পর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ ইসতেগফারটি ৩ বার পড়তেন।' (মিশকাত)

২.উচ্চারণ : ‘আস্তাগফিরুল্লাহা ওয়া আতুবু ইলাইহি।‘
অর্থ : আমি আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তাঁর দিকেই ফিরে আসছি।
নিয়ম : এ ইসতেগফারটি প্রতিদিন ৭০/১০০ বার পড়া। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতিদিন ৭০ বারের অধিক তওবাহ ও ইসতেগফার করতেন।' (বুখারি)

#যে_আমল_করলে_পেরেশানি_দুশ্চিন্তা_হতাশা_অভাব_থেকে_মুক্তি_পাবেন
#যে_আমল_করলে_অভাব_থেকে_মুক্তি_পাবেন
#টেনশন_থেকে_মুক্তির_আমল
#যে_আমল_করলে_পেরেশানি_অশান্তি_অভাব_থেকে_মুক্তি_পাবেন
#যে_আমল_করলে_১০০%_অভাব_দূর_হবে
#অভাব_দূর_করার_আমল
#পেরেশানি_থেকে_মুক্তির_আমল


#মুফতী_মুস্তাকুন্নবী_কাসেমী
#মুস্তাকুন্নবী_কাসেম
#Mufti_Mustakunnabi_Kasemi
#Mustakunnabi_Kasemi_2022
#মুফতী_মুস্তাকুন্নবী_কাসেমী
#Mufti_Mustakunnabi_Kasemi
#mufti_mustakun_nobi_2021
#মুস্তাকুন্নবী_ওয়াজ_2021
#মুশতাকুন_নবি_কাসেমী_২০২২
#মুফতি_মুস্তাকুন্নবী_কাসেমী_নতুন_বয়ান
#মুফতি_মুস্তাকুন্নবী_কাসেমী_২০২২
#মুফতি_মুস্তাকুন্নবী_ওয়াজ
#মুফতি_মুস্তাকুন্নবী_সাহেবের_ওয়াজ
#mustakun_nobi_waz_2022
#mustakunnabi_new_waz_2022
#mostakon_nobi_waz_2022
#mustakunnabi_kasemi_2021
#mustakunnabi_new_waz
#new_waz_2022
#bangla_waz_2022
#Bangla_Waz_2021
#New_Waz_2021
#Mustakunnabi_Qasemi_Waz_2022
#New_Mahfil
#New_Tafsir
#Allamah
#নতুন_ওয়াজ
#বাংলা_ওয়াজ
#মুস্তাকুন্নবী_কাসেমী_2022
#মুফতী_মুস্তাকুন্নবী_কাসেমী
#bangla_waz_2023
#মুফতি_মুস্তাকুন্নবী_কাসেমী_২০২৩
#বাংলা_ওয়াজ
#allamah
#মুস্তাকুন্নবী_কাসেমী_2023
#২০২৪
#Waz 2024
#new waz 2024
#mustakunnabi2024
#allama_mufti_Mustakunnabi_kasemi2024

Комментарии

Информация по комментариям в разработке