Скачать или смотреть স্বাধীনতার সুখ

🌿"শুদ্ধভাবে #তিলক ও #আচমন করার শাস্ত্রীয় নিয়ম || কি #মন্ত্র উচ্চারণ করবেন || #দ্বাদশ অঙ্গে তিলকের মন্ত্র🌿🌸🌿

#আমরা শাস্ত্রে পাই–"তিলক ধারণ না করে যে জন, যমালয়ে বাস তার।" তিলক ধারণ ছাড়া যদি কেউ কোনো কার্য করে সেই কার্য হবে না। মহাপ্রভু বলেছেন, "আরে বিপ্র, তোমার কপালে তিলক নেই কেন?" যার কপালে তিলক নেই, সেই কপাল দেখার সাথে সাথে তাকে মহাপ্রভু বলছে, এতো শ্মশান সমো।
" তিলক না থাকে যদি বিপ্রের কপালে।
সে কপাল শ্মশান সাদৃশ বেদে বলে।।
প্রভু বলে, কেনে ভাই, কপালে তোমার।
তিলক না দেখি কেনে, কি যুক্তি ইহার।।"

#তিলকহীন ললাট দর্শনে ব্রাহ্মণের সন্ধ্যা বন্দনায় নিত্যকৃত্যের ব্যার্থতা বর্ণনা-

"বুঝিলাম---আজি তুমি নাহি কর সন্ধ্যা।
আজি, ভাই, তোমার হইল সন্ধ্যা বন্ধ্যা।।

যজ্ঞো দানং তপো হোমঃ স্বাধ্যায়ঃ পিতৃতর্পণং।
ব্যর্থং ভব তৎ সর্বমূর্দ্ধ পুন্ড্রং বিনাকৃতং।।"

🌿🌿 (পদ্মপুরাণ) 🌿🌿

#অনুবাদঃ তিলক ব্যতিরেকে যজ্ঞ, দান, তপস্যা, হোম, বেদপাঠ বা পিতৃলোকের তর্পনাদি যাহা কিছু করা যায় সে সমুদয়ই বৃথা হইয়া থাকে।।

"বৈষ্ণর্বানাং ব্রাহ্মণানাং উর্দ্ধপুন্ড্র বিধিয়তে।
অন্যেযান্ত ত্রিপুন্ড্রং স্যাদিতি ব্রাহ্মবিদো বিদুঃ।।"

🌿🌿 (পদ্মপুরাণ) 🌿🌿

#অনুবাদঃ বৈষ্ণব ও ব্রাহ্মণগণের পক্ষে উর্দ্ধপুন্ড্রের এক অন্যের অর্থাৎ অবৈষ্ণব পক্ষে ত্রিপুন্ড্রের বিধান করিয়াছেন।

তাই তিলক ধারণ অতি অবশ্য প্রয়োজন।

#পাদ্মোত্তর খন্ডে---

"প্রিয়ার্থম্বা শুভার্থম্বা রক্ষার্থে চতুরানন।
তৎ পূজা হোমকালে চ সায়ং প্রাতঃসমাহিতঃ-।
মদ্ভক্তো ধারায়েন্নিত্যমূর্দ্ধপড্রং ভয়াপহং।।"

(শ্রী হরিভক্তি বিলাস)

#অনুবাদঃ হে ব্রাহ্মণ! আমার ভক্ত স্থিরচিত্তে সায়ং প্রাতঃকালে আমার পূজা ও হোম- সময়ে আমার প্রীতি সাধন অথবা স্বীয় কল্যাণ ও রক্ষার নিমিত্তে ভয় নাশক উর্দ্ধপুন্ড্র অর্থাৎ তিলক নিত্য ধারণ করিবে।।

🌻তিলক ধারণের ফলঃ 👇👇

"যঞ্জ-দান-তপশ্চর্য্যা- জপ হোমাদিকঞ্চ যৎ।
উর্দ্ধপুন্ড্রধরঃ কুর্য্যাৎ তস্য পুণ্যমনন্তকম।।
উর্দ্ধপুন্ড্র ধরো যস্ত কুর্য্যাৎ শ্রাদ্ধং শুভাননে।
কল্পকোঢী সহস্রানি বৈকুণ্ঠে বাসমাপ্লুয়াৎ।।"

#অনুবাদঃ তিলক ধারণ করিয়া যজ্ঞদান, জপ এবং হোম প্রভৃতি যে কোন শুভ কার্য্য করা হয়, সেই সকল কর্মের পুণ্য অনন্ত। অর্থাৎ তাহার সংখ্যা হয় না।।

#আমরা যে কপালে ইউ (U) আকৃতির ঊর্ধ্বপুন্ড্র তিলক আঁকি, তার একপার্শ্বে ব্রহ্মা, আরেক পার্শ্বে শিব এবং মাঝখানে বিষ্ণু অবস্থান করেন।

#এই ঊর্ধ্বপুন্ড্র তিলকটি "ভগবান শ্রীহরির পদযুগলে অর্পিত তুলসী পত্র"–এটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়।
এই তিলক হচ্ছে আত্মার অলংকার। আমরা যেমন বিভিন্ন অলংকার পরে সাজি, তেমনি আত্মা তিলক এর অলংকারে সজ্জিত হয়। আরো একটি বিষয় হলো– আমাদের এই দেহে ভগবান পরমাত্মা রূপে বিরাজ করেন। ভগবান যেখানে অবস্থান করেন সেই জায়গাই মন্দির হয়ে যায়। তাই আমাদের এই দেহটিও মন্দির। এজন্যই এই দেহ মন্দিরকে তিলক দিয়ে সাজাতে হয়। এতে ভগবান অত্যন্ত সন্তুষ্ট হন।

#তিলক হচ্ছে গোপী পদরেণু। তাই গোপীশ্রেষ্ঠা রাধারানী এবং অন্যান্য গোপীরা কপালে তিলক ধারণ করেন না। কিন্তু ভগবান শ্রীকৃষ্ণ স্বয়ং নিজললাটে তিলক ধারণ করেন এই বার্তা দেয়ার জন্য যে–তাঁর ভক্তের মহিমা তাঁর থেকেও বড়। তাই ভক্তের মহিমা ব্যাপ্ত করবার জন্য ভগবান স্বীয় ললাটে তিলক ধারণ করেন।

🌿🌼🌿তিলক ধারণ করার নিয়ম ও মন্ত্রঃ🌿🌼🌿

প্রথমে ডান হাতের তালুতে সামান্য জল নিয়ে পান করবেন আর বলবেন ওঁ শ্রী বিষ্ণু।তারপর আবার একটু জল নিয়ে ফেলে দিবেন। এভাবে তিন বার করবেন।
লক্ষ্য রাখবেন জল পান করবার সময়ে মুখ হাতের তালুর মধ্যে লাগানো যাবে না। এবারে হাত ধুয়ে বাম হাতে জল নিয়ে তিলক গুলতে হবে।

🌿🌸🌿তিলক গুলিবার মন্ত্রঃ- 🌿🌸🌿

"ওঁ নমো কেশবানন্ত গোবিন্দ বরাহ পুরুষোত্তম।
পূণর্যশাস্যামায়ুস্যং তিলকং মে প্রসীদুত।।"

তিলক গোলা শেষ হলে অনামিকা আংগুল দিয়ে তিলক ধারণ করতে হয়। তিলক ধারণ মন্ত্রঃ-

🔘১/ ললাটে- শ্রী কেশবায় নমঃ

🔘২/ উদরে- শ্রী নারায়ণায় নমঃ

🔘৩/ বক্ষঃস্থলে- শ্রী মাধবায় নমঃ

🔘৪/ কন্ঠে- শ্রী গোবিন্দায় নমঃ

🔘৫/ দক্ষিণ কুক্ষিতে- শ্রী বিষ্ণুবে নমঃ

🔘৬/ দক্ষিণ বাহুতে- শ্রী মধুসূদনায় নমঃ

🔘৭/ দক্ষিণ স্কন্ধে- শ্রী ত্রিবিক্রমায় নমঃ

🔘৮/ বাম কুক্ষিতে- শ্রী বামনায় নমঃ

🔘৯/ বাম বাহুতে- শ্রী শ্রীধরায় নমঃ

🔘১০/ বাম স্কন্ধে- শ্রী হৃষীকেশায় নমঃ

🔘১১/ পৃষ্ঠে- শ্রী পদ্মনাভায় নমঃ

🔘১২/ কটিতে- শ্রী দামোদরায় নমঃ
(ভালোভাবে বুঝতে ছবিতে লক্ষ্য করুন)

#অতঃপর হস্ত ধৌত জল স্বীয় মস্তকে "ওঁ নমো বাসুদেবায় মর্ধনী" বলে ধারণ করবেন।।

এরপর আচমন করে নিতে হবে।

🌿🌻🌿আচমন করার জন্য জলশুদ্ধি মন্ত্রঃ🌿🌻🌿

"ওঁ গঙ্গে চ যমুনেশ্চৈব গোদাবরী সরস্বতী
নর্ম্মদে সিন্দু কাবেরি জলহস্মিন সন্নিধিং কুরু।।"

🌿🌿আচমন করবার মন্ত্রঃ🌿🌿

#প্রথমবার ডান হাতের তালুতে সামান্য জল নিয়ে
!! ওঁ কেশবায় নমঃ !!
বলে পান করুন। আবার একটু জল নিয়ে ফেলে দিন। এভাবেই--
#দ্বিতীয়বার !! ওঁ নারায়নায় নমঃ !!
#তৃতীয়বার !! ওঁ মাধবায় নমঃ !!

#তারপর হাত জোড় করে বলুনঃ–

ওঁ তদ্বিষ্ণু পরমং পদং সদাপশ্যান্তি সুরয়।
দিবিব চক্ষুরাততম্।।

এবং

"ওঁ অপবিত্রঃ পবিত্রো বা সর্ব্বাবস্থাং গতোহপি বা।
যঃ স্মরেৎ পুণ্ডরীকাক্ষং স বাহ্যাভ্যন্তরঃ শুচিঃ।।"
!! ওঁ শ্রীবিষ্ণু!! ওঁ শ্রীবিষ্ণু!! ওঁ শ্রীবিষ্ণু!!

🔴 ★দাঁড়িয়ে আচমন নিষেধ। দাঁড়িয়ে আচমন করলে আচমন হয় না। তাই বসে আচমন করবেন।
★জল শুদ্ধি করার সময় যেন নখ না লাগে জলে।

#copied