Скачать или смотреть লক্ষণ কে ছেড়ে উর্মিলা ১৪ বছর একা কী করেছিলেন|লক্ষণের মৃত্যুর খবর শুনে স্ত্রী উর্মিলা হেসেছিলেন কেন

স্বামী লক্ষ্মণের মৃত্যুর খবর শুনে জোরে জোরে হাসতে শুরু করেন উর্মিলা। ঊর্মিলার এমন হাসির পেছনের কারণ কী ছিল।
রাম লক্ষণ সীতার বনবাসের পর 14 বছর ধরে কী করছিলেন উর্মিলা?
বলুন তো ঊর্মিলা কি 14 বছর ঘুমিয়েছিলেন
নাকি অন্য কিছু করছিলেন


আমরা সবাই জানি যে রামায়ণ যুগে, ভগবান রামকে 14 বছরের জন্য বনবাসে যেতে হয়েছিল। তার স্ত্রী সীতা নির্বাসনে যেতে সম্মত হন। সেই লক্ষ্মণ, যিনি শৈশব থেকেই শ্রী রামের সেবা করেছিলেন, তিনিও ভগবান রামের সেবা করার জন্য বনবাসে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এবং তাঁর মায়ের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছিলেন। তিনি বললেন মায়ের কাছ থেকে তো আশীর্বাদ নিয়েছি। কিন্তু এখন উর্মিলার কাছ থেকে কিভাবে অনুমতি নেব। আমি কিভাবে তাকে বোঝাবো ? তাকে কি বলবো
এই কথা ভাবতে ভাবতে
তিনি ঊর্মিলার ঘরে পৌঁছে যান। সেখানে গিয়ে দেখলেন ঊর্মিলা আরতির থালা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। ঊর্মিলা লক্ষ্মণজিকে বলেন যে আপনি আমাকে নিয়ে চিন্তা করবেন না। তুমি তোমার ভাইয়ের সেবা কর। কেননা সবচেয়ে বড় ধর্ম হলো তোমার সেবায় যেন কোনো বাধা না থাকে। সেজন্য আমি তোমার সাথে যাওয়ার জন্য জোর করব না। এই কথা শুনে লক্ষ্মণজী খুশি হয়ে বললেন, তুমি আমার সমস্ত দ্বিধা দূর করেছ।
এই বলে ঊর্মিলা প্রদীপ জ্বালিয়ে বলল আমার নাথের নিঃশ্বাস যেন নিভে না যায়। এরপর লক্ষ্মণজি ভগবান রাম ও মাতা সীতাকে নিয়ে 14 বছরের জন্য বনবাসে যান। উর্মিলা তাদের আড়ালে তপস্বীর মতো জীবন কাটাতে লাগলেন। বলুন তো ঊর্মিলা কি 14 বছর ঘুমিয়েছিলেন। প্রকৃতপক্ষে এর পিছনের কারণ হল লক্ষ্মণ সর্বদা ভগবান রাম ও মাতা সীতার সেবায় নিয়োজিত ছিলেন। উর্মিলা ঘুমের দেবীর কাছে বর চেয়েছিলেন যে লক্ষণ যেন 14 বছর ঘুমাতে না পারেন। যাতে সে সকাল হোক বা রাত সব সময় তার ভাইয়ের সেবা করতে পারে। ঘুমের দেবী তাকে এই বর দিতে রাজি হলেন। কিন্তু তিনি বললেন, লক্ষণের পরিবর্তে যেকোনো ব্যক্তিকে ১৪ বছর ঘুমিয়ে থাকতে হবে, এবং তার স্ত্রী উর্মিলা এই দায়িত্বটি গ্রহণ করেন।




যখন লক্ষ্মণ ও মেঘনাথের মধ্যে যুদ্ধ হয়েছিল। তখন মেঘনাদের তীরের আক্রমণের ফলে
লক্ষ্মণজি অজ্ঞান হয়ে যান। তারপর হনুমান জি তার জন্য সঞ্জীবনী ভেষজ আনতে গেলেন। সঞ্জীবনী বুটি বহন করে অযোধ্যার মধ্য দিয়ে লঙ্কায়
ফিরে যাওয়ার সময় । ভরত তাকে দেখতে পান
তাই হনুমান জিকে রাক্ষস মনে করে ভরত তাকে তীর দিয়ে আক্রমণ করেন এবং হনুমান জি নিচে পড়ে যান। এবং রামরাম বলে চিৎকার করতে থাকেন।
তখন ভরত মনে করলেন এ কোন রামভক্ত হবে হয়তো
তখন তিনি হনুমানজিকে সুস্থ করে তুললেন
তারপর
হনুমান জি ভারতজিকে পুরো ব্যাপারটা খুলে বললেন। রাবণের পুত্র মেঘনাদ যেভাবে লক্ষ্মণকে আক্রমণ করেছেন। সে কারণেই তার জন্য সঞ্জীবনী বুটি নিয়ে যাচ্ছেন। মেঘনাথের আক্রমণে লক্ষ্মণ জি অজ্ঞান হওয়ার সাথে সাথে উর্মিলা জিও ঘুম থেকে উঠে দাঁড়ালেন। ভগবান রামের মা কৌশল্যা যখন এই সব শুনেছিলেন, তখন তিনি হনুমানের মাধ্যমে রামকে বলেছিলেন লক্ষ্মণ ছাড়া তিনি যেন অযোধ্যায় পা না রাখেন অন্যদিকে মা সুমিত্রা বললেন, ভগবান রামকে বলো যে আমার দ্বিতীয় পুত্র শত্রুঘ্ন এখনও আমার কাছে আছে, প্রয়োজন হলে তাকেও পাঠাব। আমার দুই ছেলেই ভগবান রামের সেবা করার জন্য জন্মেছে। মায়েদের এমন ভালোবাসা দেখে হনুমানজীর চোখে জল চলে এলো।
এবং হনুমান জি যখন উর্মিলাকে দেখেন, তিনি চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিলেন। হনুমানজি যখন তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে তিনি তার স্বামীর এমন সংকটের জন্য চিন্তিত নন? তারপর বললেন, হে হনুমানজী, আমি চিন্তা করব কেন? আমার প্রদীপ তখনও কষ্ট পায়নি, তাহলে আমার স্বামী কি করে কষ্ট পাবে, এরপর তিনি
হাসতে হাসতে সেখান থেকে চলে গেলেন। এরপর
হনুমানজী যখন সঞ্জীবনী বুটি নিয়ে লঙ্কায় ফিরে যান। তখন লক্ষণ সঞ্জীবনী বুটি দ্বারা সম্পূর্ণ সুস্থ হয়েছিলেন। তাই উর্মিলা জিও তার বাড়িতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন।
ভগবান শ্রীরামের ইচ্ছা না থাকা সত্বেও তার ভাই লক্ষ্মণকে রাজ্য থেকে বহিষ্কার করতে হয়েছিল। রাজ্য থেকে বিতাড়িত করা মানে নিজের শরীর ত্যাগ করা।
এমন অবস্থায়
লক্ষ্মণজী স্বয়ং দেহ ত্যাগ করেন, এবং উর্মিলা জি এই কথা জানতে পেরে উচ্চস্বরে হাসতে লাগলেন, এবং বললেন, "আমার স্বামী সর্বদা ধর্ম পালন করেছেন।" তিনি সর্বদা তাঁর বড় ভাই ভগবান শ্রীরামের পূজা করতেন। আজ অযোধ্যা ও আমাদের বংশের মানুষকে অভিশাপ থেকে বাঁচানোর জন্য তিনি নিজের উপর সবচেয়ে বড় দোষ নিয়ে দেহত্যাগ করেছেন। ঊর্মিলা জিও হাসতে হাসতে তার শরীর ছেড়ে চলে গেলন।
যে আমার স্বামী কেবল তার ধর্ম পালন করেছে।


DISCLAIMER
Copyright Disclaimer Under Section 107 Of The Copyright Act 1976, Allowance Is Made For Fair Use For Purposes Such As Criticism, Comment, News Reporting, Scholarship, And Research.Fair Use Is A Use Permitted By Copyright Statute That Might Otherwise Be Infringing. Non-Profit, Educational Or Personal Use Tips The Balance in Favor Of Fair Use.
Before Taking Any Steps, Do Let Me Know.


BUSINESS ENQUIRY :
[email protected]


#লক্ষণের_মৃত্যুর_খবর
#উর্মিলা_হেসেছিলেন_কেন
#উর্মিলা_না_কেঁদে_কেন_হেসেছিলেন_কেন
#রামায়ণের_বাস্তব_গল্প
#লক্ষণের_স্ত্রী_উর্মিলা_না_কেঁদে_কেন_হেসেছিলেন
#লক্ষণ_কে_ছেড়ে_উর্মিলা
#একা_১৪_বছর_কি_করছিলেন