Скачать или смотреть বদলী হজের ক্ষেত্রে কি হজ্জে ইফরাদ করা জরুরী?

আমাদের আজকের জিজ্ঞাসা- আমি এ বছর আমার মৃত আব্বার পক্ষ থেকে বদলী হজ্জ করার নিয়ত করেছি ইনশাআল্লাহ। স্হানীয় হজ্জ এজেন্সি এবং কয়েকজন ইমাম সাহেব তামাত্তু হজ্জের কথা বলেছেন এবং সেভাবেই হজ্জ প্যাকেজ চুড়ান্ত হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন বইতে ইফরাদ হজ্জের কথা উল্লেখ আছে এবং তামাত্তু হজ্জ করলে বদলী হজ্জ আদায় হবে না বলে বলা হচ্ছে। এ অবস্থায় হজ্জ করলে আমার আব্বার হজ্জ হবে কিনা এবং যদি না হয় তবে আমার নফল হজ্জের সওয়াব পাব কিনা? উল্লেক্ষ্য,আমার আব্বার হজ্জ ফরজ ছিল,তিনি কোন অসিয়ত করার সুযোগ পাননি। বিস্তারিত জানালে কৃতজ্ঞ থাকবো।

জিজ্ঞাসার উত্তর:
বদলী হজের ক্ষেত্রে উত্তম হচ্ছে, হজ্জে ইফরাদ করা। আর প্রেরক অনুমতি দিলে বদলীকারীর জন্য তামাত্তু বা কিরান হজ্ব করাও জায়েয। তদ্রূপ বিশেষভাবে ইফরাদ হজ্ব করার নির্দেশ না দিলে; সে ক্ষেত্রেও কিরান ও তামাত্তু যে কোনোটি করা জায়েয। হানাফী মুতাআখখিরীন ফকীহগণের অনেকে এই সিদ্ধান্ত দিয়েছেন যে, প্রেরকের অনুমতি থাকলে বদলীকারী কিরান ও তামাত্তু যে কোনোটি করতে পারবে, ইফরাদ হজ্ব করা জরুরি নয়।

যেসব ফকীহগণ এই সিদ্ধান্ত দিয়েছেন তাদের মধ্যে কয়েকজন হলেন-আল্লামা ফখরুদ্দীন হাসান ইবনে মানসুর আলউযজান্দী রাহ. (মৃত্যু : ৫৯২ হি.), আল্লামা রহমতুল্লাহ সিন্ধী রাহ. (মৃত্যু : ৯৯৩ হি.), আল্লামা আলাউদ্দীন হাসকাফী রাহ. (মৃত্যু : ১০৮৮ হি.), আল্লামা কাযী হুসাইন ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে আবদুল গনী হানাফী রাহ. (মৃত্যু : ১৩৬৬ হি.) প্রমুখ।

এছাড়া উপমহাদেশের বড় বড় অনেক মুফতী ছাহেবগণ এই ফতোয়া দিয়েছেন। যেমন-মুফতী কেফায়েতুল্লাহ দেহলভী রাহ., মুফতী মুহাম্মাদ শফী রাহ., মুফতী যফর আহমদ উছমানী রাহ., মুফতী রশীদ আহমদ লুধিয়ানবী রাহ., শাইখুল ইসলাম মুফতী তকী উছমানী দা.বা. প্রমুখ।

এছাড়াও রিয়াদস্থ গবেষণা ও ইফতাবোর্ড এবং ভারতের ইসলামী ফিকহ একাডেমীর সিদ্ধান্তও অনুরূপ।

আর যেহেতু আপনি আপনার বাবার পক্ষ থেকে স্বেচ্ছায় বদলি হজ করছেন, তাই আপনার জন্য কিরান-তামাত্তু বা ইফরাদ যেকোনোটিই করার সুযোগ আছে।

আজকের জিজ্ঞাসার উত্তর দিয়েছেন:
মুফতি জাওয়াদ তাহের,
মুহাদ্দিস, জামিয়া বাবুস সালাম, বিমানবন্দর ঢাকা।