#হিন্দুদের_পূজার উৎসবে যাওয়া ও পূজার প্রসাদ খাওয়া হালাল না হারাম?*
এই প্রস্বাদ নামক খাবারটা দেওয়া হয় হিন্দুদের মনগড়া নকল দেবতার উদ্দেশ্যে। অর্থাৎ হিন্দুরা নিজের হাতে নির্মিত বিভিন্ন মূর্তির, যার কোন ক্ষমতাই নেই, সেই নকল দেবতার উদ্দেশ্যে প্রসাদ দেন হিন্দুরা। অথচ, সনাতন ধর্মেই প্রতিমা পূজা নিষেধ করা হয়েছে।
মহান আল্লাহ্ পবিত্র কুর'আনের মোট চার জায়গায় উল্লেখ করেছেন-
সূরাহ বাকারার ১৭৩নং আয়াতে,
সূরাহ মায়িদাহ’র ৩নং আয়াতে,
সূরাহ আন’আমের ১৪৫ নং আয়াতে,
এছাড়াও, সূরাহ নাহলের ১১৫নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে-
.
“আল্লাহ্ তোমাদের জন্য হারাম করেছেন মৃত জন্তু, রক্ত, শূকরের মাংস খাওয়া। আর যে পশু জবাই করার সময় আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কারো নাম নেয়া হয়েছে”
অর্থাৎ যা আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কারো নামে উৎসর্গ করা হয় সেটা আমাদের জন্য আল্লাহ্ হারাম করে দিয়েছেন। আর এই কারনেই পূজার প্রস্বাদ খাওয়া হারাম।।।
.
এখন আসি পূজার অনুষ্ঠানে মুসলিমদের যাওয়ার বিষয়ে- আমাদের দেশে যখন হিন্দুদের পূজার উৎসব চলতে থাকে তখন অনেক মুসলিম-ই তাদের ঐ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করে। ঐ অনুষ্ঠানে উপভোগ করে।অনেকে উৎসুক ভাবেই যায়। ঐ সমস্ত মুসলিমদের যদি বলি- ভাই হিন্দুদের পূজায় অংশগ্রহন করো না, উৎসুক ভাবেও যেও না, তাদের দেব-দেবীর নামে উৎসর্গকৃত প্রসাদও খেওনা।।।
.
তখন তারা উত্তরে খুব বুক ফুলিয়েই বলে-গেসি তো কি হয়েছে ???
গেলেই কি আমি হিন্দু হয়ে যাব ??? আমার ঈমান ঠিক আছে।এখন একটু ভেবে দেখুন,মূর্তিপূজা হচ্ছে আল্লাহর সাথে শিরক করা।আর শিরক হচ্ছে সবচেয়ে বড় অন্যায়, সবচেয়ে বড় অপরাধ।
.
মহান আল্লাহ বলেনঃ
নিশ্চয়ই আল্লাহ্-র সাথে শিরক হচ্ছে সবচেয়ে বড় অন্যায়।(সুরা লুকমানঃ ১৩)
.
আর শিরকের অপরাধ আল্লাহ কখনো ক্ষমা করবেন না। মহান আল্লাহ বলেন :
"নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর সাথে অংশী স্থাপন করলে তাকে ক্ষমা করবেন না,কিন্তু এর চেয়ে ছোট পাপ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করবেন,এবং যে কেউ আল্লাহর অংশী স্থির করে, সে মহাপাপে আবদ্ধ হয়েছে।
(সূরা নিসাঃ ৪৮)।
.
এখন দেখুন,সবচেয়ে বড় অন্যায় আপনার সামনে হচ্ছে। আর রাসুল (সাঃ) বললেন-
''তোমাদের কেউ কোন গর্হিত/ অন্যায় কাজ হতে দেখলে সে যেন নিজের হাতে (শক্তি প্রয়োগে)তা সংশোধন করে দেয়,যদি তার সে ক্ষমতা না থাকে তবে যেন মুখ দ্বারা তা সংশোধন করে দেয়, আর যদি তাও না পারে তবে যেন সে ঐ কাজটিকে অন্তর থেকে ঘৃণা করবে। আর এটা হল ঈমানের নিম্নতম স্তর।'' [সহিহ মুসলিম,ঈমান অধ্যায়, হাদিস নং ৭৮]
.
অথচ আপনি ঐ অন্যায়কে বাঁধা তো দেনই না, মনথেকেও ঘৃণা করেন না বরং ঐ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করে মনে মনে উপভোগ করেন। অন্তত মন থেকে ঘৃণা করলেও দুর্বলতম ঈমানদার হিসেবে আপনার ঈমান থাকত।
তাই হিন্দুদের পূজার উৎসবে কোন মুসলিমের যাওয়া হারাম।।।
------------------------------
প্রশ্নঃ- অমুসলিমদের ধর্মীয় উৎসবে শুভেচ্ছা জানানো যাবে কি?
উত্তরঃ-
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।*
আল্লাহর সাথে শরিক করে,আল্লাহর সমকক্ষ মনে করে,স্রষ্টা মনে করে, অন্য যা কিছুর পূজা করা হয়, কাউকে আল্লাহর সন্তান বলে (নাউযুবিল্লাহ)
যে দিবস পালন করা হয়, কিংবা আল্লাহ নিজেই এই দিনে মানবরুপে পৃথিবীতে জন্ম নিয়েছেন (নাউযুবিল্লাহ) বলে বিশ্বাস করে যে দিন উদযাপন করা হয়, মূর্তি/গাছ/মানব/দানব/চন্দ্র/সূর্য/পাথর/জ্বীন/শয়তান ইত্যাদির পূজা করে উপাসনা করে যেসব দিবস পালন করা হয়, এই দিবসগুলোতে একজন মুসলমানের বিধর্মীকে শুভেচ্ছা জানানো উইস করা কার্ড দেয়া গিফট পাঠানো ইত্যাদি সম্পূর্ণ হারাম ও শির্ক-এ-আকবার উদযাপনের শামিল।
অতএব মুসলমানদের বুঝতে হবে সতর্ক থাকতে হবে ম্যারি ক্রিসমাস, হ্যাপি দিওয়ালী, পূজার শুভেচ্ছা, ইত্যাদি উইস করার মাধ্যমে ক্ষমার অযোগ্য সর্বনিকৃষ্ট মহাপাপ শির্কে যেনো আমরা জড়িয়ে না পড়ি। এটা সুস্পষ্ট কুফরি ও সম্পূর্ণ শির্কি ভ্রান্ত বিশ্বাস উদযাপনের নিকৃষ্ট এক দিবস। সুতরাং এই দিনে ম্যারি ক্রিসমাস বলে উইস করা, কার্ড দেয়া গিফট দেয়া সম্পূর্ণ হারাম ও শির্ক-এ-আকবার। কুফরির শেষ পর্যায়।
মহান আল্লাহ্ বলেন, “নিঃসন্দেহে আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য দ্বীন একমাত্র ইসলাম।” (সূরা আল ইমরানঃ১৯)
"হে লোক সকল! একটি উপমা বর্ণনা করা হলো, অতএব তোমরা তা মনোযোগ দিয়ে শোন; তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যাদের পূজা কর, তারা কখনও একটি মাছি সৃষ্টি করতে পারবে না, যদিও তারা সকলে একত্রিত হয়। আর মাছি যদি তাদের কাছ থেকে কোন কিছু ছিনিয়ে নেয়, তবে তারা তার কাছ থেকে তা উদ্ধার করতে পারবে না, প্রার্থনাকারী ও যার কাছে প্রার্থনা করা হয়, উভয়েই শক্তিহীন।" [সূরা হজঃ ৭৩]
"নিশ্চয়ই আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না, যে তাঁর সাথে কাউকে শরীক করে। এছাড়া যাকে ইচ্ছা, ক্ষমা করেন।" [সূরা আন নিসাঃ১১৬]
ঘরের পাশে যে উৎসবটিতে স্বয়ং আল্লাহকে চরমভাবে অপমান করা হয় সে দিন আমরা সবাইকে ‘মেরি ক্রিসমাস’ জানাই, “শারদীয় শুভেচ্ছা” জানাই! আল্লাহর অপমান আমাদের গায়ে তো লাগেইনা বরং সেটাতে আনন্দের তকমা দেই। দুঃখজনক!!! শিরক সম্পর্কে আল্লাহ বলেন -
আল্লাহর সাথে শরীক করো না। নিশ্চয় আল্লাহর সাথে শরীক করা সবচেয়ে বড় জুলুম। (সূরা লোকমানঃ 13)
জুলুম বলতে আমরা বুঝি অন্যায়, অপরাধ। শিরককে আল্লাহ সবচেয়ে বড় অপরাধ ঘোষণা দিয়েছেন। এখন এই শিরকের অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা জানানো মানে হল কাউকে খুন করা, বা ধর্ষণ করার পর শুভেচ্ছা জানানোর অনুরুপ।
কেউ ধর্ষণ, হত্যা করে আসলে কি আপনারা বলেন , শুভ ধর্ষণ , শুভ হত্যা।
না তা কিন্তু কেউ বলে না। আর বলা মানে সে এটাকে সাপোর্ট দিচ্ছে।
“অনেক মানুষ আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে, কিন্তু সাথে সাথে শিরকও করে” (ইউসুফঃ ১০৬)
Facebook Link: / tahersayeedhafijahullah
Our Another youtube Channel: If you Want to learn Computer A to Z, Click this link / @studentsvillage
Facebook Account : https://www.facebook.com/profile.php?...
Информация по комментариям в разработке