মেগাস্থিনিস এর ভারত বিবরণে র অজানা কাহিনী | Megasthenes | বাংলা | History

Описание к видео মেগাস্থিনিস এর ভারত বিবরণে র অজানা কাহিনী | Megasthenes | বাংলা | History

ভারত নিয়ে গ্রিকদের আগ্রহ অনেক আগে থেকে। প্রথম যে গ্রিক ঐতিহাসিক ভারত নিয়ে লেখেন তাঁর নাম স্কাইল্যাক্স। রাজা দারায়ুসের প্রতিনিধি হয়ে তিনি সিন্ধু নদ পর্যন্ত এসেছিলেন। এই স্কাইল্যাক্সই প্রথম ইউরোপের কাছে ভারতের বিপুল প্রাকৃতিক সম্পদের কথা জানান, এবং প্রচুর আজগুবি গল্প সহযোগে। এরপরে হেরোডটাস থেকে টেসিয়াস, যারাই ভারত নিয়ে লিখেছেন, একবাক্যে এই দেশকে চরম ঐশ্বর্যশালী বলে বর্ণনা করেছেন। আলেকজান্ডারের ভারত আক্রমণের সময় তিনি তাই সৈন্যসামন্ত ছাড়াও বেশকিছু পণ্ডিত মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আসেন, যাঁরা নিজেরা চোখে দেখে ভারতের সম্পর্কে লিখবেন। এই দলে মেগাস্থিনিস ছিলেন কিনা, তা নিয়েও অবশ্য ইদানীং সন্দেহ দেখা দিয়েছে।মেগাস্থিনিস লিখেছেন, তিনি পাটলিপুত্রে যখন যান, তখন সেলুকাস আর চন্দ্রগুপ্ত মৈত্রীবন্ধনে আবদ্ধ। তা যদি হয়, তবে তাঁর ভারতে আসার সময় অনেক পরে। ৩০২ থেকে ২৮৮ খ্রিস্টপূর্বের মাঝামাঝি। তিনি ভারতের বিভিন্ন জায়গায় ঘোরেন, অন্যদের চেয়ে অনেক বেশি ভারতে থাকেন, তারপর চারটি বিশাল খন্ডে এক বই লেখেন যার নাম “ইন্ডিকা”। এই ইন্ডিকা বইটির একটা পৃষ্ঠাও আজকের দিনে পাওয়া যায় না। গোটা বই বেমালুম পৃথিবী থেকে হারিয়ে গেছে। যতটুকু যা পাই, তা পরের লেখকদের উদ্ধৃতি থেকে। এঁদের মধ্যে ডায়োডোরাস থেকে প্লিনি, সলিনাস, বা অ্যামব্রোসিয়াসের মত দার্শনিকও আছেন। তবে মেগাস্থিনিসের এই বর্ণনার অনেকটাই অন্ধের হস্তিদর্শনের মতো। ভারতীয় সংস্কৃতির বৈচিত্র্য আর ধরনধারণ না বুঝতে পেরে তিনি যে অংশটুকু দেখেছেন তাঁকেই গোটা ভারতের মতো করে ভেবেছেন। অনেকসময় দেখেছেন এক রকম, কিন্তু বুঝেছেন এক, আর লিখেছেন অন্য।

অনেকসময় তিনি নিজে না দেখে অন্যদের কথা শুনেও বর্ণনা করছেন। সেই অনুবাদে অনেক শব্দের মানে বদলে গেছে একেবারে। এতসব কিছু বলার একটাই কারণ, মেগাস্থিনিসের ভারত বিবরণ অসামান্য গুরুত্বপূর্ণ এক দলিল, কিন্তু কখনওই তা ১০০ শতাংশ বিশ্বাসযোগ্য না। মেগাস্থিনিসের লেখায় তখনকার ভারতের এক অন্যরকম চিত্র পাই। এই আলোচনার মুখ্য উপজীব্য মেগাস্থিনিসের চোখে দেখা সেই ভারত। আর সেটা যথাযথ বুঝতে যা করতে হয়, তা কোনও গোয়েন্দা গল্পের রহস্যভেদের চেয়ে কম না।ভারত দেশটি দেখতে অনেকটা রম্বসের মত, লিখেছেন মেগাস্থিনিস। তিনি যখন পাটলিপুত্রে যান, তখন ব্রাহ্মণদের এক সভা চলছিল। এই তথ্য থেকে মোটামুটি স্থিরভাবে বলা যায়, চৈত্রমাসে তিনি পাটলিপুত্রে আসেন, কারণ একমাত্র তখনই নতুন বছরের পঞ্জিকা বানাতে এই সভা বসত।

মেগাস্থিনিস ভারতের কোন কোন প্রদেশ ঘুরেছিলেন, সে বিষয়ে সন্দেহ আরও কম। কাবুল নদী, পঞ্চনদের প্রবাহের একেবারে যথাযথ বর্ণনা দিয়ে তিনি লিখেছেন, এই পথ দিয়ে তিনি মধ্য ভারতে প্রবেশ করেন। পাটলিপুত্রের পর তিনি আদৌ অন্য কোথাও গেছিলেন, নাকি লোকমুখে সেসব জায়গার কথা শুনে বর্ণনা করেছেন, তাও এখন বলা প্রায় অসম্ভব। ঐতিহাসিকরাই এই নিয়ে দোলাচলে। যেমন মেগাস্থিনিস বলছেন, ভারতে ১১৮ টি জাতি আছে। ভারতের সামান্য একটা অংশ ঘুরে এত নিশ্চিতভাবে তিনি এটা কেমন করে বললেন? একমাত্র যদি না কোন ভারতীয়ের মুখে গল্প শুনে তাকে সত্যি বলে ভেবে থাকেন।

#biography
#viralvideo
#bangla
#information
#megasthenes
#history
#ancienthistory
#indianhistory
#banglafacts

Комментарии

Информация по комментариям в разработке