Скачать или смотреть আল্লাহ সম্পর্কে বান্দা কিরকম ধারণা করে।

একজন মানুষ যখন জীবনের ক্ষেত্রে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে, যখন চারদিক দিয়ে বিপদ কিংবা অশান্তি, অপারগতা, অক্ষমতা কিংবা সীমাহীন দুঃখ কষ্ট এরমধ্যে পতিত হয় জীবন একজন প্রকৃত মুসলমানের করণীয় কি? আমরা জানি মহান আল্লাহ তা'আলা মানুষকে পরীক্ষার জন্যই সৃষ্টি করেছেন, এবং তিনি অবশ্যই মানুষকে পরীক্ষা করেন তার জীবনের কোন না কোন এক পর্যায়ে, যেহেতু সেই পরীক্ষা মহান রাব্বুল আলামিনের তা এক মহা অগ্নিপরীক্ষা. যারা মুমিন তারা এ কথা বিশ্বাস করে এবং এ ধরনের পরীক্ষা হতে উত্তরণের পথ ও তারা জানে. মহান রাব্বুল আলামিন পবিত্র আল কুরআনে এ সকল বিষয় সুস্পষ্ট আয়াতে, কোথাও উপমার দ্বারা, কোথাও অতীতে নবী-রাসূলদের জীবনের ঘটনার দ্বারা মানুষের জন্য ধাপে ধাপে বর্ণনা করেছেন যেন মানুষ উপলব্ধি করে এবং রবের কাছে আত্মসমর্পণ করে. বিপদ কি কারনে মানুষের জীবনে আপতিত হয়. আপনি যখন বিপদে পড়েন সেটি হতে পারে আপনার নিজের কর্মের কারণে, হতে পারে অন্য কোন মানুষের পাপাচারের ফল, আবার এমনটা হতে পারে এটি সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত এবং প্রত্যাশিত! এখন আপনি লক্ষ্য করেন পবিত্র আল কুরআনে আল্লাহ তায়ালা মানুষকে কি জানিয়েছেন. মানুষকে আল্লাহ তা'আলা জানিয়েছেন মানুষকে পরীক্ষা করা হবে কিছুটা, ভয়, খুদা দারিদ্রতা ক্ষতির মধ্য দিয়ে. অর্থাৎ আমাদের জীবনে আশা যে কোন পরিস্থিতিতে আমরা কোন কিছু ভয় দারিদ্রতা অক্ষমতা কিংবা নিজের জীবনের কিছু হারানোর কারণেই বিভ্রান্ত হই বা অসহায় হয়ে পড়ি. এবং এ ধরনের পরিস্থিতিতে পড়লেই মানুষ জীবনের ক্ষেত্রে হতাশ হয়ে পড়ে. এই দুঃখের কোন শেষ থাকেনা যা মানুষকে অসহায়ত্বের চরম একপর্যায়ে নিয়ে যায়. আল্লাহতালা পবিত্র আল কুরআনে অন্য আয়াতে কি বলেছেন. মানুষকে জীবনে আপতিত যেকোনো দুঃখ কষ্টের ক্ষেত্রে নির্দেশ দিয়েছেন. এই ধৈর্য ধারণকে আল্লাহ তায়ালা এক বিশেষ ধরনের ইবাদতের মর্যাদাও দিয়েছেন. আল্লাহতালা পরিষ্কারভাবে বলেছেন তিনি ধৈর্যশীলদেরকে ভালবাসেন এবং তিনি ধৈর্যশীলদের সাথে থাকেন. এবং ধৈর্যশীলদের ধৈর্যের পুরস্কার হিসেবে পরিষ্কারভাবেই জান্নাত লাভের কথা উল্লেখ করেছেন. হযরত আইয়ুব আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জীবনের ঘটনা সম্পর্কে আমরা জানি যে তিনি সুদীর্ঘ 18 বছর ভয়াবহ দুঃখ কষ্ট যন্ত্রণা শারীরিক অক্ষমতা ব্যর্থতা এবং মনের ক্ষেত্রে চরম বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে. কিন্তু যেহেতু তিনি আল্লাহতালার একনিষ্ঠ বান্দা ছিলেন. তিনি আল্লাহতালার ইবাদত হতে কখনই মুখ ফেরাননি. আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর এই জীবনের সবচেয়ে বড় যে উদাহরণ তা হচ্ছে চরম পর্যায়ের ধৈর্যশীলতা. এবং আল্লাহ তাআলা যখন আলাইহি ওয়াসাল্লাম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করলেন এখন আল্লাহতালা তার উপর তার দয়া এবং রহমত করলেন. এবং তাই ভালইবাসালাম তার সুস্থতা অর্থ-সম্পদ সন্তান-সন্ততি মমতার রাজ্য শুধু ফিরেই পেলেন না. আল্লাহতালা তাকে পূর্বের তুলনায় দ্বিগুণ পরিমাণ দিলেন. এই আয়াত বর্ণনা করার সময় আল্লাহতালা আরো বলেছেন যে এই ঘটনা ইবাদতকারীদের জন্য উপদেশক. অর্থাৎ যারা ঈমান আনে পবিত্র আল কুরআনের আয়াত সমূহকে বিশ্বাস করে এবং আল্লাহতালার কাছে আত্মসমর্পণ করে. আর জীবনে আপত্তিতে যেকোন বিপদে ধৈর্য ধারণ করে. তার ক্ষেত্র অবশ্যই তাকে তার হারানো সম্পদ মে সুখ-শান্তি ফেরত দিবেন এমনকি তা দ্বিগুণ করে অধিকার. এখন আসি আমরা আসলে আমাদের মনের ক্ষেত্রে ঘটে যাওয়া পৃথিকার পরিস্থিতিতে আমরা কি করে. সাধারণত আমরা ভয় অস্থিরতা টেনশন এবং চাপে বিপর্যস্ত হয়ে আল্লাহর ইবাদতটাও ভুলে যাই. আমাদের মনে এই ভয় অস্থিরতা টেনশন বা বিপর্যস্ত অবস্থা এটি আসলে শয়তানি তৈরি করে. কারণ যিনি আল্লাহর বান্দা আল্লাহর আয়াত সমূহের প্রতি বিশ্বাস রাখেন. এবার আসুন পবিত্র আল কুরআনের আলোকে আমাদের করণীয় কি. প্রথমত আপনি যে বিষয়ে নিয়ে বিপদ বিপদগ্রস্থ. সে বিষয়ে আল্লাহ তায়ালার উপর ভরসা করুন. যেটাকে তাও কুল বলা হয়ে থাকে. অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালার ক্ষমতা, সীমাহীন দয়ার এবং করুনার কারণে আল্লাহতালার উপর পরিপূর্ণভাবে ভরসা করা. কারণ আল্লাহতালা তার নিজের সত্তা গুলোর মধ্যে তার দয়া এবং ক্ষমা এর কথা সবচেয়ে বেশি বলেছেন. এবং যেহেতু আল্লাহতালা এর দয়া সীমাহীন যেহেতু আল্লাহতালা যে আপনার উপর দয়া করবেন সে বিষয়ে আপনাকে দেহমুক্ত থাকতে হবে অবশ্যই. এরপর আপনার করণীয় হচ্ছে সুন্দর ধৈর্য. ইসলামের দৃষ্টিতে ধৈর্য অর্থ হচ্ছে আল্লাহর ইচ্ছা কাছে সমর্পিত হওয়া. আপনার জীবনে ঘটে যাওয়া যেকোনো অপ্রীতিকার পরিস্থিতির জন্য আল্লাহর সিদ্ধান্তের কাছে আত্মসমর্পিত হওয়া, এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ধৈর্য ধারণ করা. আপনাকে কতটুকু ধৈর্য ধারণ করতে হবে সে বিষয়টি আপনি জানেন না. কিন্তু ধৈর্য এমন এক গুণ যাকে আপনি যত বেশি দীর্ঘায়িত করবেন ততই আপনার ক্ষমতা কে বৃদ্ধি করবে. আপনি ধৈর্য ধারণ করবেন রবের সন্তুষ্টির জন্য. সন্তুষ্ট হবেন. তারিখ প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তিনি এক সময় আপনাকে দুঃখ কষ্ট যন্ত্রণা হতাশা মুক্তি দেবেন তার ক্ষমতা বলে. আপনি কার্যকারণের বিষয়ে যদি বলেন একজন মানুষ দুনিয়ার সবকিছুকে বিচার করে. আল্লাহ তাআলার হিসাবে তা সম্পূর্ণ ভিন্ন. আল্লাহ তাআলার ক্ষমতার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে হও বললেই তা হয়ে যায় কার কর্ম বিধায়ক হিসেবে তিনিই যথেষ্ট. এবং আল্লাহ তাআলার এই আয়াত সমূহের প্রতি আপনার পরিপূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস থাকতে হবে. আসলে মানুষের সবচেয়ে বড় ত্রুটি হচ্ছে আল্লাহতালা সম্পর্কে একটি ভুল ধারণা. আল্লাহতালা মানুষের প্রতিটি অবস্থার কথা জানেন এবং মানুষের অন্তরের প্রতিটি ভাবনার কথা ও জানেন. যদি আল্লাহতালার প্রতি বিশ্বাসের ক্ষেত্রে মুনাফিকি আচরণ করে তাহলে আল্লাহতালার তা অজানা থাকে না. এবার আসি সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ কথায়. আপনি আল্লাহ তাআলার উপর ভরসা করলেন এবং ধৈর্য ধারণ করলেন. এবং এই সময় গুলোতে আপনার করণীয় কাজগুলো বাস্তব দৃষ্টিকোণ থেকে সক্ষমতার সর্বোচ্চটুকু দিয়ে সম্পাদন করতে হবে.

islamic,islam,islamic content,islamic lectures,islamic cartoon english,islamic cartoons for kids,islamic kids cartoon,islamic cartoon,being content in islam,islamic motivational