Скачать или смотреть টুইন প্রিম্যাচিউর শিশু// twin premature baby

টুইন প্রিম্যাচিউর (Twin Premature):
প্রিম্যাচিউর মানে হচ্ছে "অকাল জন্ম"। গর্ভধারণের ৩৭ সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার আগে যে শিশু জন্ম নেয়, তাকে প্রিম্যাচিউর শিশু বলা হয়। যদি টুইন (যমজ) শিশু প্রিম্যাচিউর অবস্থায় জন্মায়, তাহলে তাদের যত্ন আরও বেশি সতর্কতার সাথে নিতে হয়।

🍼 টুইন প্রিম্যাচিউর বেবির সাধারণ সমস্যা
১. ওজন কম (Low Birth Weight): সাধারণত টুইন বেবির ওজন ১.৫-২ কেজির নিচে হয়।
২. ফুসফুস পুরোপুরি বিকশিত না হওয়া (Immature lungs): নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা হতে পারে।
৩. দুধ খাওয়ার কষ্ট (Feeding difficulty): ঠিকমতো চুষতে পারে না।
৪. তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সমস্যা (Temperature instability): শরীর ঠান্ডা হয়ে যেতে পারে।
৫. ইনফেকশনের ঝুঁকি (Increased infection risk): রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল থাকে।
৬. জন্ডিস (Jaundice): অনেক প্রিম্যাচিউর শিশুর শরীরে বিলিরুবিন বেড়ে যায়।

🏥 চিকিৎসা ও যত্ন (NICU বা ইনকিউবেটর যত্ন)
১)ইনকিউবেটরে রাখা হয় শিশুদের তাপমাত্রা ও অক্সিজেন ঠিক রাখতে।
২)টিউবের মাধ্যমে খাওয়ানো হয় যদি নিজে খেতে না পারে।
৩)অক্সিজেন বা ভেন্টিলেটরের প্রয়োজন হতে পারে নিঃশ্বাসে কষ্ট হলে।
৪)রক্ত পরীক্ষা, ফটোথেরাপি ও এন্টিবায়োটিক প্রয়োগ হতে পারে।

🧸 বাসায় যত্ন নেওয়ার সময় করণীয়ঃ
১. নিয়মিত ডাক্তার দেখানো।

২. বুকের দুধ দেওয়া (যদি সম্ভব না হয়, পাম্প করে খাওয়ানো)।
3. সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রক্ষা করা।
৪. অনেক ঘন ঘন খাওয়ানো, কিন্তু অল্প অল্প করে।
৫. তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখা (গরম বা ঠান্ডা যেন না লাগে)।
৬. ওজন এবং বৃদ্ধির অগ্রগতি মনিটর করা।

🩺 বিশেষ পরামর্শ:
১)টুইন প্রিম্যাচিউর শিশুদের ক্ষেত্রে নিউনেটাল স্পেশালিস্ট বা শিশু বিশেষজ্ঞের নিয়মিত পর্যবেক্ষণ জরুরি।
২)প্রয়োজনে ফিজিওথেরাপি বা বিকাশ সহায়তা (developmental therapy) লাগতে পারে।

সতর্কতা ও ধৈর্যই এই সময় সবচেয়ে বড় অস্ত্র। অনেক টুইন প্রিম্যাচিউর শিশু ধীরে ধীরে সুস্থভাবে বড় হয়।