কলি যুগের ধংসের কাহিনী ll কলকি আবতার কবে আসবেন ll ধ্বংস হবে কি পৃথিবী ll পুরাণে বর্ণিত ভবিষ্যত বাণী.
Your Queries -পৃথিবীর আহ্বান
যখন অধর্ম তার সকল সীমা অতিক্রম করে যায়, যখন সত্য মাথা নত করে দেয়, আর যখন মানুষ ভুলে যায় যে তার উপরেও কেউ একজন আছেন— ঠিক তখনই মর্ত্যভূমি তার রক্ষককে, তার প্রভুকে আহ্বান করে।
তখনই আগমন ঘটে সেই দেবের, যাঁর চরণধ্বনিতে স্বয়ং সময়ও কেঁপে ওঠে। যুগ যুগ ধরে চলে আসা এক গভীর আশা— সেই অন্তিম যুগের, যখন ধর্ম এবং অধর্মের মধ্যে ঘটবে শেষ মহাযুদ্ধ। যেখানে কলিযুগের সংহার হবে এবং সৃষ্টির নবজীবনের শুভ সূচনা হবে।
পরিচ্ছেদ ২: কল্কির জন্ম ও গুরু শিক্ষা
সময়টা তখন কলিযুগের শেষ পর্যায়; যখন অধর্ম তার ভয়াল ও বিকরাল রূপ ধারণ করেছে। তখনই জন্ম নেবেন এক দিব্য বালক, এক সাধারণ গ্রামে। কিন্তু তাঁর উদ্দেশ্য হবে সম্পূর্ণ অসাধারণ। তিনি আসবেন কেবল জন্মগ্রহণ করতে নয়, বরং অধর্মের সম্পূর্ণ বিনাশ করতে।
যখন ভগবান কল্কি ষোলো বছর বয়সে উপনীত হবেন, তখন স্বয়ং পরশুরাম তাঁর সম্মুখে আসবেন। ভগবান বিষ্ণুর এই ষষ্ঠ অবতার, যিনি সপ্ত চিরঞ্জীবীর অন্যতম। যাঁর হাতে রয়েছে কাল-অস্ত্র, এবং যাঁর মুখ থেকে নির্গত হয় অমর জ্ঞানের বাণী।পরশুরাম তাঁকে প্রদান করবেন দিব্য জ্ঞান, ধনুর্বিদ্যার গভীরতা, তলোয়ারের তীক্ষ্ণতা এবং ব্রহ্মাস্ত্র ও পাশুপতাস্ত্রের মতো মহাদিব্য অস্ত্রের ব্যবহারের কৌশল। এই শিক্ষা কেবল অস্ত্রের ব্যবহার নয়, বরং শক্তিকে কীভাবে ন্যায়, নীতি এবং সততার পথে ব্যবহার করতে হয়— তারই মার্গদর্শন। এই পথ হবে সেই অধর্মের সংহারের, যা নারী-সম্মানকে প্রতিদিন লাঞ্ছিত করে এবং নিরীহ প্রাণীর উপর অত্যাচার করে। আর সেই অধর্মের মূর্ত প্রতীকই হলো 'কলি'।
পরিচ্ছেদ ৩: কল্কির সঙ্গী সপ্ত চিরঞ্জীবী
পুরাণ অনুসারে, অন্তিম মহাযুদ্ধে ভগবান কল্কির সঙ্গে এসে দাঁড়াবেন সেই সাতজন অমর মহাপুরুষ, যাঁরা যুগ যুগ ধরে জীবিত আছেন:
১ম চিরঞ্জীবী: অশ্বত্থামা — মহাভারতের সেই অভিশাপগ্রস্ত অমর যোদ্ধা।
২য় চিরঞ্জীবী: রাজা বলি— দৈত্যকুলে জন্ম নিয়েও যিনি দানের প্রতিমান।
৩য় চিরঞ্জীবী: বিভীষণ— লঙ্কার রাজা, যাঁর হৃদয়ে ছিল রামের ধর্ম।
৪র্থ চিরঞ্জীবী: শ্রী হনুমান— স্বয়ং শিবের অংশ, ভক্তি ও শক্তির মহান সংগম।
৫ম চিরঞ্জীবী: কৃপাচার্য — মহাভারতের সেই অমর গুরু।
৬ষ্ঠ চিরঞ্জীবী: ভগবান পরশুরাম — বিষ্ণুর ষষ্ঠ অবতার।
৭ম চিরঞ্জীবী: মহর্ষি বেদব্যাস— বেদের সংকলক, যিনি ধর্মের ব্যাখ্যা করতে পুনরায় আবির্ভূত হবেন।
এঁরাই হলেন সপ্ত চিরঞ্জীবী, যাঁরা কল্কির সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রচনা করবেন সেই ধর্মযুদ্ধ, যেখানে অধর্ম নিজেই পরাজিত হবে।
পরিচ্ছেদ ৪: শত্রুতা: কলি এবং তার অমর সেনাপতি
যেখানে আলো, সেখানেই অন্ধকারও তার স্থান করে নেয়। সেই অন্ধকারের নামই হলো 'কলি'। এই অসুর কোনো দেব বা ঋষি থেকে নয়, বরং মানুষের পাপ থেকে জন্ম নিয়েছে— লোভ, হিংসা, অহংকার, কামনা এবং ছলনা থেকে।
কলি একা নয়। তার সাথে থাকবে তার দুই সেনাপতি: কোক এবং বিকোক। এরা এমন অসুর, যারা ব্রহ্মার কাছ থেকে এক অদ্ভুত বর পেয়েছিল। বরদানটি হলো: এদের মধ্যে একজনকে হত্যা করা হলেও, অন্যজন কেবল দৃষ্টি দিয়েই তাকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারে। এই বরদানই তাদের প্রায় অমর করে দিয়েছে। কলির কাছে এই অমর রাক্ষস এবং এক বিশাল রাক্ষসী সেনা থাকবে, যা মানুষের ভেতরের অন্ধকার থেকে জন্ম নিয়েছে।
পরিচ্ছেদ ৫: অন্তিম মহাযুদ্ধ
যখন এই অন্ধকার চারিদিকে ছড়িয়ে পড়বে, যখন পাপ ও হিংসা ধর্মকে চাপা দেবে, তখনই তাঁরা আবির্ভূত হবেন। কোনো মন্ত্রে নয়, বরং স্বয়ং শ্রী হরি শ্বেত অশ্বে আরোহণ করে, তাঁর তলোয়ার হাতে, ভগবান কল্কির রূপে। এই মহাযুদ্ধ এক যুগের সমাপ্তি এবং এক নতুন যুগের প্রভাতের সূচনা করবে। কোক এবং বিকোকের বিনাশ সম্ভব না হওয়ায়,ভগবান কল্কিকে স্বয়ং সৃষ্টির রচয়িতা পরম ব্রহ্মা-র সাহায্য নিতে হবে। ব্রহ্মা স্বয়ং জানাবেন, কীভাবে এদের বিনাশ সম্ভব। কারণ যখন সত্যের তলোয়ার আঘাত হানে, তখন কেউই অমর থাকে না।অবশেষে কল্কির সম্মুখে আসবে স্বয়ং কলি। আকাশ স্তব্ধ হবে, পৃথিবী কেঁপে উঠবে। সত্য ও অধর্ম একই সময়ে, একই ভূমিতে মুখোমুখি দাঁড়াবে। কলি যখন আকাশ থেকে অন্ধকার বর্ষণ করবে, ভগবান কল্কি তাঁর তলোয়ার দিয়ে তাকে ছিন্ন করবেন।ভগবান কল্কি সেই দিব্য তলোয়ার উত্তোলন করবেন, যার নাম যুগান্ত।
একটি মাত্র আঘাত হবে,...................
আর এরপরই শুরু হবে এক নতুন যুগ— যেখানে কোনো ছলনা নেই, কোনো পাপ নেই, কেবল প্রেম, ধর্ম এবং আলোর ধ্বনি। এটাই হবে সত্যযুগের পুনর্জন্ম।
শেষ বার্তা:
মনে রাখবেন, কল্কি অবশ্যই আসবেন। যখনই মানবসমাজ অধর্মের সামনে নীরব থাকবে, মানুষের প্রতিটি পাপ এবং প্রতিটি নীরবতাই তাঁর তলোয়ার প্রকাশের কারণ হবে।
আপনার দর্শকদের প্রতি আহ্বান
বন্ধুরা, এই পৌরাণিক কাহিনি সম্পর্কে আপনার কী ধারণা? আপনি কি বিশ্বাস করেন যে যখন অধর্ম তার সীমা লঙ্ঘন করে, তখন স্বয়ং ঈশ্বরকে অবতার নিতে হয়? যদি এই দিব্য কাহিনিটি আপনার হৃদয়কে স্পর্শ করে থাকে,তবে অনুগ্রহ করে এই ভিডিওটি লাইক করুন এবং আমাদের চ্যানেলকে সাবস্ক্রাইব করে পাশে থাকুন। জয় শ্রী হরিকল্কি!
#kalkiavter #krishna
Video credits:
I frankly admit that in this video some photos and clips & story are used, which are not mine.These are all taken from Google and other website, for educational purpose only, under YouTube fair use policy. So thanks to all respected owners.🙏🙏🙏🙏🙏
Youtube channel Link :- / @techwithraj138
Facebook Link:- https://www.facebook.com/profile.php?...
Instagram Link :- https://www.instagram.com/ranajit1864...
Telegram :- @tech with Raj138
NOTE:-information in this video is subject to some change. Before taking further action make sure you verify the details from official source
Thank you so much for visit our channel please subscribe our channel and visit again with Love ❤️ 🙏
Информация по комментариям в разработке