Скачать или смотреть ভারতের বিখ্যাত "দারুল উলুম" দেওবন্দ মাদ্রাসার ইতিহাস সম্পুর্ন ।। Bazlur Rahaman waz। Islamer Alo Ki

বিষয়ঃ- "দারুল উলুম" দেওবন্দ মাদ্রাসার ইতিহাস
বয়ানেঃ- আলহাজ্ব মাওঃ মহঃ বজলুর রহমান সাহেবে যুক্তিবাদী
স্থানঃ কোলকাতা
মোবাইল- ৯৮৩৬৬৫৯৩৯৯
Whatsapp- https://chat.whatsapp.com/JEKQ94K2x7S...
Telegrame- https://t.me/islameraloki
facebook-   / islameralo64  
Dailymotion- https://www.dailymotion.com/partner/x...



কাহিনি-
দেওবন্দ ছিল মুহাম্মদ কাসেম নানুতুবির শ্বশুরালয়। সেখানে গেলে তিনি সাত্তা মসজিদে নামাজ আদায় করতেন। হাজী আবেদ হোসেন ছিলেন সাত্তা মসজিদের ইমাম। মাওলানা জুলফিকার আলী ও মাওলানা ফজলুর রহমান অত্র এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। এসব ব্যক্তিবর্গ নামাযান্তে হাজী আবেদ হোসেনের হুজরায় প্রায় সমবেত হতেন। দেশের এহেন পরিস্থিতি তাদেরকেও ভাবিয়ে তুলেছিল ভীষণভাবে। তারা সবচেয়ে বেশি ভাবতেন ইসলামী শিক্ষার ভবিষ্যৎ নিয়ে! কিন্তু বিকল্প কোন পথ কেউ খুঁজে পাচ্ছিলেন না। দীর্ঘ ৬/৭ বছর এভাবে কেটে গেল। ১৮৬৬ সালে মাওলানা কাসেম নানুতুবী দেওবন্দের দেওয়ান মহল্লায় স্বীয় শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে আসেন। বাড়ি সংলগ্ন সাত্তা মসজিদের ইমাম হাজী আবিদ হোসানের সাথে মাদরাসা শিক্ষা নিয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হওয়ার পর সেখানেই একটি মাদরাসা প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে অভিমত ব্যক্ত করেন।[১]

একদিন সাত্তা মসজিদের ইমাম হাজী আবেদ হোসেন ফজরের নামাজান্তে ইশরাকের নামাজের অপেক্ষায় মসজিদে মোরাকাবারত ছিলেন। হঠাৎ তিনি ধ্যানমগ্নতা ছেড়ে দিয়ে নিজের কাঁধে রুমালের চার কোণ একত্রিত করে একটি থলি বানালেন এবং তাতে নিজের পক্ষ থেকে তিন টাকা রাখলেন। অতঃপর তা নিয়ে তিনি রওয়ানা হয়ে গেলেন মাওলানা মাহতাব আলীর কাছে। তিনি সোৎসাহে ৬ টাকা দিলেন এবং দোয়া করলেন। মাওলানা ফজলুর রহমান দিলেন ১২ টাকা, হাজী ফজলুল হক দিলেন ৬ টাকা। সেখান থেকে উঠে তিনি গেলেন মাওলানা জুলফিকার আলীর নিকট। জ্ঞানানুরাগী এই ব্যক্তিটি দিলেন ১২ টাকা। সেখান থেকে উঠে এই দরবেশ সম্রাট “আবুল বারাকাত” মহল্লার দিকে রওয়ানা হলেন। এভাবে ২০০ টাকা জমা হয়ে গেল এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত জমা হল ৩০০ টাকা। এভাবে বিষয়টি লোকমুখে চর্চা হতে বেশ টাকা জমে যায়। জনগণের উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখে তিনি মিরাটে কর্মরত মাওলানা কাসেম নানুতুবির নিকট এই মর্মে পত্র লিখেন যে, আমরা মাদ্রাসার কাজ শুরু করে দিয়েছি আপনি অনতিবিলম্বে চলে আসুন। চিঠি পেয়ে নানুতুবী মোল্লা মাহমুদকে শিক্ষক নিযুক্ত করে পাঠিয়ে দিলেন এবং তার মাধ্যমে মাদ্রাসার কাজ চালিয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে চিঠি লিখে দিলেন। এভাবেই গণচাঁদার উপর ভিত্তি করে ছোট্ট একটি ডালিম গাছের নিচে দেওবন্দ মাদ্রাসার গোড়াপত্তন হয়। মোল্লা মাহমুদ সর্বপ্রথম শিক্ষাদান করেন সর্বপ্রথম ছাত্র মাহমুদকে। যিনি পরবর্তীতে শায়খুল হিন্দ মাহমুদুল হাসান দেওবন্দী নামে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন।...


দারুল উলুম দেওবন্দের প্রতিষ্ঠাতা ৬ জন................
মুহাম্মদ কাসেম নানুতুবি
মুহাম্মদ ইয়াকুব নানুতুবি
রফি উদ্দিন উসমানী
যুলফিকার আলী দেওবন্দি
ফজলুর রহমান উসমানি
হাজী আবেদ হোসেন
..............................................
নং নাম কার্যকাল
১ হাজী আবেদ হোসেন ১৮৬৬ ১৮৬৭
২ রফি উদ্দিন উসমানী ১৮৬৭ ১৮৬৮
(১) হাজী আবেদ হোসেন ১৮৬৯ ১৮৭১
(২) রফি উদ্দিন উসমানী ১৮৭২ ১৮৮৮
(১) হাজী আবেদ হোসেন ১৮৮৮ ১৮৯৩
৩ হাজী ফজল হক ১৮৯৩ ১৮৯৪
৪ মুহাম্মদ মুনির নানুতুবি ১৮৯৪ ১৮৯৫
৫ হাফেজ মুহাম্মদ আহমদ ১৮৯৫ ১৯৩০
৬ হাবিবুর রহমান উসমানি ১৯২৮ ১৯২৯
৭ কারী মুহাম্মদ তৈয়ব কারী মুহাম্মদ তৈয়ব ১৯২৮ ১৯৮০
৮ মারগুবুর রহমান. মারগুবুর রহমান বিজনুরী ১৯৮২ ২০১০
৯ গোলাম মুহাম্মদ বাস্তনবী ১০ জানুয়ারি ২০১১ ২৪ জুলাই ২০১১
১০ আবুল কাসেম নোমানী ২০১১ বর্তমান


দেওবন্দ মাদ্রাসা পরিচালনার ক্ষেত্রে ৮ টি মূলনীতি অনুসরণ করা হয়। এগুলোকে একসাথে ‘উসূলে হাশতেগানা’ বলা হয়। দেওবন্দের আদলে পরিচালিত সকল মাদ্রাসায় এই নীতিগুলো কঠোরভাবে পালন করা হয়। পরাধীন ভারতে ধ্বসে পড়া ইসলামি শিক্ষাকে পুনরুজ্জীবিত ও সুপ্রতিষ্ঠিত করার মহান লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে তৎকালীন দেওবন্দ মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠিতা প্রধান মাওলানা কাসেম নানুতুবি রাষ্ট্রীয় অনুদানের প্রাচীন ধারার পরিবর্তে গণচাঁদার বিষয়টির প্রতি অধিক গুরুত্বারোপ করে এই ৮টি মূলনীতি প্রণয়ন করেন।

🎤 السلام عليكم ورحمة الله وبركاته- আসসালামু আলাইকুম ওরহমাতুল্লাহে ওবারাকাতুহু।
🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹....... Islamic Alo Ki চ্যানেলে আপনাদের স্বাগতম। নুতন নুতন ইসলামিক ভিডিও পেতে আমাদের চ্যানেলকে Subscribe করে রাখুন।
🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%...


#"দারুল_উলুম_দেওবন্দ_মাদ্রাসার_ইতিহাস_সম্পুর্ন