Скачать или смотреть Serum creatinine test | সিরাম ক্রিয়েটিনিন টেস্ট | কিডনি পরীক্ষা কিভাবে করে

ক্রিয়েটিনিন টেস্ট দিয়ে চিকিৎসকরা বুঝতে চান রোগীর কিডনির অবস্থা কেমন। কিডনি ভালো থাকলে ক্রিয়েটিনিন লেভেল স্বাভাবিকের মধ্যে থাকে। আর ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রা অতিরিক্ত বেশি হয়ে গেলে কিডনি ফেইলুরের দিকে যেতে থাকে।

-----------------------------------------------------------------------------
আরও জানতে ফেসবুকে নক করতে পারেন
  / foysal.ahmmed.7  
------------------------------------------------------------------------------
ব্যাপাটি আরও ভালো বুঝতে পারবেন যদি ক্রিয়েটিনিন কি সেটা সম্পর্কে একটু ধারণা দেই।

শারীরিক প্রক্রিয়ায় শরীরের শক্তি জোগাতে গিয়ে আমাদের শরীরে বা রক্তে কিছু বর্জ্য তৈরি হয়। ক্রিয়েটিন থেকে তৈরি হওয়া এ বর্জ্যকে বলে ক্রিয়েটিনিন। শরীরে বা রক্তে এই বর্জ্য তৈরি হলে কিডনি সেগুলোকে প্রস্রাবের মধ্যে দিয়ে বের করে দেয়।বুজতেই পারছেন কিডনি হলো শরীরের ছাঁকনি।
এখন এই কিডনির #ফিল্টার যদি ঠিকমতো কাজ না করে তখন শরীরের উৎপাদিত বর্জ্য ক্রিয়েটিনিন শরীরে জমতে থাকে। তার মানে ক্রিয়েটিনিন এর পরিমান শরীরে বাড়তে থাকে।
আর রক্তে ক্রিয়েটিনিনের পরিমাণ বেশি বেড়ে গেলে বুঝতে হবে কিডনির ফিল্টার ঠিকমতো কাজ করছে না। আশা করি ব্যাপারটা এইবার সহজেই বুঝতে পেরেছেন।

সিরাম ক্রিয়েটিনিন টেস্ট এর আগে তেমন কোন প্রস্তুতি নেই। ল্যাব টেকনোলজিস্ট আপনার শরীর থেকে এই টেস্ট টি করার জন্য ৩ থেকে ৫ মি.লি. রক্ত নিতে পারেন। মোটামুটি ১ ঘন্টার মধ্যেই সিরাম ক্রিয়েটিনিন টেস্ট এর রিপোর্ট পাওয়া যায়।

পুরুষের শরীরে ক্রিয়েটিনিনের স্বাভাবিক রেঞ্জ ০.৭ থেকে ১.৪ মিলিগ্রাম পার ডেসি লিটার এবং একজন নারীর ০.৬ থেকে ১.২ mg/dL। যখন এ মাত্রাটি এর থেকে অনেক বেশি হয়ে যায় তখন বুঝতে হবে #কিডনির ক্ষমতা অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে।

তবে এখানে আরও কথা আছে, শুধু কিডনির স্বাস্থ্য কেমন, এটি দেখতে রক্তে ক্রিয়েটিনিন টেস্ট করা হয় না। চিকিৎসকরা কারও ওভারঅল স্বাস্থ্যের কন্ডিশন বুঝতে রুটিন পরীক্ষা হিসাবে রক্তের ক্রিয়েটিনিন টেস্ট করে থাকেন। কারণ দেখা গেছে শরীরে কিছু ক্রনিক স্বাস্থ্য প্রবলেম, যেমন ডায়াবেটিস, হার্ট ডিজিজ, হাই ব্লাড প্রেশার, ক্রনিক কিডনি ডিজিজ, এমনসব সমস্যা থাকলে রক্তে ক্রিয়েটিনিন লেভেল বেড়ে যায়। এ কারণে কিডনির সঙ্গে হার্ট, লিভার, ব্লাড ইত্যাদি এবং ওভারঅল স্বাস্থ্য কেমন, এটি বুঝতেও ডাক্তাররা এই টেস্টটি দিতে পারেন।

টেস্টে ক্রিয়েটিনিন লেভেল নরমাল চেয়ে সামান্য বেড়ে গেলে চিন্তার কারণ নেই। এমন বেড়ে যাওয়া মানে কিডনি খারাপ হয়ে গেছে, এমনটি ভাবার কারণ নেই। অনেকসময় বিভিন্ন কারণে রক্তে এমন ক্রিয়েটিনিনের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।

যেমন-টেস্টটার আগের কয়েকদিন আপনি নিয়মিত ব্যায়াম করতেন বা অনেক পরিশ্রমের কাজ করেছেন। এমন অবস্থায় ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যাওয়া স্বাভাবিক।আবার টেস্টের আগে নিয়মিত বেশি পরিমাণ সি-ফুড কিংবা রেড মিট অনেক খেলে রক্তে #ক্রিয়েটিনিন সাময়িক বেড়ে যেতে পারে। কিছু কিছু মেডিসিন রক্তে ক্রিয়েটিনিনের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। যেমন- এন্টিহিস্টামিন ট্যাবলেট, এন্টিবায়োটিকস।

সিরাম ক্রিয়েটিনিন টেস্ট ল্যাবের মান ভেদে ৪০০ টাকা থেকে শুরু হতে পারে। যেহেতু এটি একটি সেন্সিটিব টেস্ট, তাই চেস্টা করুন ভালো ল্যাবে করতে।

রক্তে ক্রিয়েটিনিন লেভেল বেড়ে যাওয়া মানেই কিডনি শেষ হয়ে গেছে, এমনটি ভাবার কারণ নেই। চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন, বেড়ে যাওয়ার সঠিক কারণটি খুঁজে বের করুন এবং সেটির ট্রিটমেন্ট করুন।

সিরাম ক্রিয়েটিনিন টেস্ট
কিডনি পরীক্ষা
কিডনি টেস্ট
কিডনি টেস্ট serum creatinine test
kidney test
blood test
ঘন ঘন প্রস্রাব পরীক্ষা kidney porikkha ki