Скачать или смотреть আর কতদিনে সেতুর কাজ শেষ হবে কেউ জানে না ফি বছরের ভোগান্তি এবছরেও

মহুয়া ঘোষাল দুর্গাপুর
মুচিপাড়া শিবপুর রোড ধরে সোজা অজয় পার হয়ে বীরভুম যাওয়া যায় । আবার পানাগড়- দুবরাজপুর রোড ধরেও বীরভুম যাওয়া যায় । তবে পানাগড় দুবরাজপুর রোড দিয়ে যাতায়াত করতে হলে ২৬ কিলোমিটার বেশি পথ অতিক্রম করতে হয় । পশ্চিম বর্ধমান থেকে বীরভুম শুধু নয় রাঢ়বঙ্গের জেলাগুলিও যাতায়াত করা যায় অজয় পার হয়ে মুচিপাড়া শিবপুর রোড ধরে । বাম জমানার ৩৪ বছরে পাকা সেতু হয় নি । তৃণমুল সরকার আসার পরে বছর চার আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিবপুর – জয়দেবের উপরে পাকা সেতুর জন্য অর্থ বরাদ্দ করেন এবং কাজও শুরু হয় । কিন্তু পাকা সেতুর কাজ কবে হবে শেষ কেউ জানে না । দুই জেলার বাসিন্দাদের অভিযোগ সেতুর কাজ ঢিমেতালে চলার জন্য প্রতি বর্ষায় একই সমস্যায় ভুগতে হয় দুই জেলার বাসিন্দাদের । এলাকার বাসিন্দাদের হতাশ অপেক্ষা “ কে জানে আর কতদিন এভাবে চলবে আর পাকা সেতু কবে হবে আর আদৌ কি শেষ হবে তাও জানা নেই”।
চাষি অজয় মজুমদার বলেন “ সবজি বিক্রি করতে যাই দুর্গাপুরে কিন্তু এ অস্থায়ী সেতু প্রতি বছরের মতো এবারেও জলের তোড়ে ভেসে যাওয়ায় এখন রুটিরুজী বন্ধ । পানাগড় হয়ে ঘুরে যেতে হয় হবে”।
শিবপুর থেকে জয়দেব কেন্দুলি যাওয়ার জন্য গ্রীষ্মকালে অস্থায়ি সেতু বানানো হয় । প্রতি বর্ষায় জলের তোড়ে ভেসে যায় সেই সেতু । তখন চলে খেয়া পারাপার ।
এবছর বর্ষা সেভাবে না হওয়ায় বর্ষায় সেতু ভেসে যায় নি । কিন্তু গত কয়েকদিন ঝাড়খন্ডে প্রবল বৃষ্টিপাত হওয়ার জন্য শিকাটিয়া ব্যারাজ থেকে জল ছাড়া হয়েছে । এর ফলে শিবপুর – জয়দেব কেন্দুলির অজয়ের উপরে অস্থায়ী সেতু শুক্রবার রাতে জলের তোড়ে ভেসে যায় । সকাল থেকেই অজয়ের দুই পাড়ে দাঁড়িয়ে দুই জেলার বাসিন্দারা । কিন্তু যাওয়ার উপায় নেই । পারাপারের অপেক্ষায় থাকা বাসিন্দাদের কথায় জলের স্রত তেমন নেই ফলে খেয়া নৌকা চলবে না । তাই এখন সেই পানাগড় হয়ে ঘুরে ঘুরে যাতায়াত করতে হবে দুই জেলার বাসিন্দাদের ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভ প্রশাসন নজরদারি না করায় সেতুর কাজ অতি ঢিলেভাবে চলছে । সেতুর কাজ শেষ করে সেতু সাধারন মানুষের জন্য খুলে না দিলে ফি বছর একই সমস্যায় পড়তে । স্থানীয় এলাকার বাসিন্দারা ক্ষোভের সাথে বলছেন বিধায়ক মন্ত্রীদের নজর দেওয়া উচিৎ কিন্তু তা না দেওয়ায় সেতুর কাজ শেষ কেন হচ্ছে না কেউ জানে না ।
বিদবিহার পঞ্চায়েতের সদস্য স্বপন সুত্রধর বলেন “ কম্পক্ষে এক বছর লাগবে সেতুর কাজ শেষ হতে । করোনা কালে কাজ বন্ধ থাকায় সেতুর কাজ এখনো শেষ হয় নি , সেতুর কাজ দ্রুত গতিতেই চলছে”।
স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভ এলাকার বিধায়ক গলসি নিয়েই ব্যস্ত এই এলাকায় আসেন না ।
বিধায়ক নেপাল ঘরুইকে পাওয়া যায় নি তাই তার মতামত পাওয়া যায় নি ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায় পাকা সেতু কবে শেষ হবে কেউ জানে না আর ততদিন ফি বছর একই ভোগান্তি থাকবে দুই জেলার বাসিন্দাদের ।