Скачать или смотреть জমিদার মহারাজা সূর্যকান্ত আচার্য চৌধুরী, ময়মনসিংহ।

ময়মনসিংহ জেলার মুক্তা গাছার জমিদার মহারাজা সূর্যকান্ত আচার্য চৌধুরী।Maharaja Suryakanta Acharya Chowdhury.

আসসালামু আলাইকুম
শ্রদ্ধেয় পাঠক/দর্শক!
প্রিতি,শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন নিন। আজ আমরা ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছার জমিদার মহারাজা সূর্যকান্তের বসতবাড়ি শশীলজ নিয়ে কিছু তথ‍্য তুলে ধরার চেষ্টা করছি। আশাকরি আপনাদের ভাল লাগবে। RS TVর পক্ষে আপনাদের সাথে আছি মোঃ রেজাউল করিম। করোনাকালীন কঠর লক ডাউনের ভিতরে যে যেখানে থাকুন না কেন সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন।

সুপ্রিয় পাঠক /দর্শক!
ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছার জমিদার জমিদারির প্রতিষ্ঠাতা শ্রীকৃঞ্চ আচার্য চৌধুরী তৃতীয় পুরুষ রঘু নন্দন আচার্য চৌধুরী নিঃসন্তান ছিলেন। জমিদারি সংরক্ষণের জন‍্য একটি পুত্র সন্তান ভিষন ভাবে প্রয়োজন ছিল। তিনি দত্তক পুত্র গ্রহনের সিদ্ধান্ত নিলেন। রঘু নন্দন পুত্র হিসাবে গৌরীকান্ত আচার্যকে দত্ত নেন। রঘু নন্দন মৃত‍্যুর আগে দত্তক ছেলের হাতে জমিদারীর ভার অর্পন করেন।

জমিদার গৌরীকান্ত আচার্যের প্রতিও সৃষ্টিকর্তা সদয় ছিলেন না। তিনি নিঃসন্তান অবস্থায় মারা যান। বিধবা স্ত্রী বিমলা দেবী দত্তক নেন কাশিকান্তকে। কাশিকান্ত প্লেগ রোগে আক্রান্ত হয়ে নিঃসন্তান অবস্থায় মারা যান। কাশিকান্তের বিধবা স্ত্রী লক্ষীদেবী আচার্য চৌধুরানী উত্তর সূরীদের পথ অনুসরন করে দত্তক নিলেন চন্দ্রকান্তকে তিনিও মারাযান। হাল ছাড়লেন না চৌধুরানী লক্ষীদেবী। দ্বিতীয়বার দত্তক নিলেন পূর্বের নাম পূর্ন চন্দ্র মজুমদারকে। চৌধুরানী লক্ষীদেবী পুত্রের নতুন নাম রাখলেন সুর্যকান্ত আচার্য চৌধুরী। সুর্য কান্ত আচার্য চৌধুরীর শাসন আমলে ব্র্রহ্মপুত্র তিরবর্তী যুক্ত হলো সোনালী যাত্রা। উনবিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে ময়মনসিংহ শহরের মধ‍্যখানে নয় একর জমির উপর স্থাপন করেন এই জমিদার বাড়ি।

বাড়িটি ছিল দোতলা ভবন ১৮৯৭ -এর ভূমিকম্পে দোতলা ভবনটি ভেঙ্গে যাবার পর বর্তমান বাড়িটি পুননির্মাণ করা হয়। দোতলা ভবনের সিঁড়িতে বিশেষ বাদ্যের ব্যবস্থা ছিল। সিঁড়িতে মানুষ চলাচল করলেই সুমধুর বাজনা বাজতো। জানা যায়, প্যারিস থেকে মহারাজা এক লক্ষ বা তিন লক্ষ টাকা ব্যয়ে স্ফটিক সঙ্গিত বাক্সটি কিনে আনেন। দোতলা শশীলজ ধ্বসে যাবার পর মহারাজা তার এলাকায় দোতলা পাকা বাড়ি নির্মাণ নিষিদ্ধ করেন। বিশাল এ বাড়িটিতে আছে অসংখ্য দুর্লভ প্রাচীন গাছ। বাড়িটি বর্তমানে শিক্ষক প্রশিক্ষণ মহিলা মহাবিদ্যালয় হিসেবে এটি ব্যবহৃত হচ্ছে।

আলেকজান্ডার ক্যাসেল:- ময়মনসিংহ শহরের এক উল্লেখযোগ্য স্থাপনা আলেকজান্দ্রা ক্যাসেল। জমিদার মহারাজা সূর্যকান্ত আচার্য চৌধুরী ময়মনসিংহ শহরের জুবলী উৎসব পালনের জন্য তৎকালীন ভারত সম্রাট সপ্তম এডওয়ার্ড-পত্নী সম্রাজ্ঞী আলেকজান্দ্রার নামে এই দোতলা ভবনটি নির্মাণ করেন। অন্য মতে, ময়মনসিংহের তৎকালীন ইংরেজ কালেক্টর আলেকজান্ডার আইসিএস, এর নামে ১৮৭৯ খ্রিস্টাব্দে ভবনটি নির্মাণ করা হয়। এটি মহারাজা সূর্যকান্ত আচার্য চৌধুরীর বাগানবাড়ি হিসেবে খ্যাত। বর্তমানে এটি শিক্ষক প্রশিক্ষণ মহাবিদ্যালয় (পুরুষ)-এর লাইব্রেরী হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

কিভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ গামী এশিয়া,আলম,সৌখিন,এনা অথবা নিরাপদ পরিবহনে উঠে ময়মনসিংহের মাসাকান্দা বাস ষ্টান্ডে নামতে হবে। অথবা আপনি ট্রেনে ভ্রমন করতে চাইলে ঢাকা থেকে হাওর এক্সপ্রেস, যমুনা এক্সপ্রেস, ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস, যমুনা এক্সপ্রেস, তিস্তা বা মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস এ উঠে ময়মনসিংহ রেলষ্টেশন নেমে বা মাসাকান্দা থেকে সিএনজি, অটো রিক্সায় শশী লজ জমিদার বাড়িতে ঘুরে আসতে পারবেন। যাতায়াত সময় লাগে প্রায় ৪ ঘন্টা।

শ্রদ্ধেয় পাঠক/দর্শক!
আমার জ্ঞান সীমিত ও নগন্য। ক্ষুদ্র জ্ঞানে একটি ঐতিহাসিক স্থানের বিষয়বস্তু বর্ণনা করা খুবই কষ্টকর বটে। আমি দার্শনিক বা ইতিহাস বীদ নই তবুও আমার এই লেখাতে যদি আমি তথ্যগত কোন ভুল করে থাকি বা লিখনীর মাধ্যমে সঠিক তথ‍্যউপাত্ত উপস্থান না করে থাকি তবে নবীন হিসাবে ক্ষমা করে দিবেন। আমার ভূলগুলি শুধরে নিবার চেষ্টা করব ইনশাল্লা । আমি সবার কাছে দোঁয়া ও ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

অনুষ্ঠানটি অন্যদের দেখার সুযোগ করে দিতে অবশ্যই লাইক,শেয়ার ও আপনার মতামত দিন। সবার আগে নতুন অনুষ্ঠান দেখতে আপনার পাশে থাকা বেল আইকনটি বাঁজাতে ভুলবেন না আশাকরি।

সরকারী নির্দেশনা মেনে চলুন। মাস্ক ব্যবহার করুন। সবাই সুস্থ ও ভাল থাকুন। আবার কথা হবে নতুন কোন অনুষ্ঠান নিয়ে এই প্রত্যাশায় এখানেই বিদায় নিচ্ছি। ধন্যবাদ সবাইকে। আল্লাহ হাফেজ।
RS TV র পক্ষে
( মোঃ রেজাউল করিম )।