Скачать или смотреть কোরবানি কি এবং কেন করে? কোরবানির ফজিলত।

কোরবানি কি এবং কেন করে? কোরবানির ফজিলত।
কোরবানি শব্দটির অর্থ হলো নৈকট্য লাভ করা, প্রিয় বস্তুকে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য উৎসর্গ করা। শরিয়ত মতে নির্দিষ্ট কোন জন্তুকে একমাত্র আল্লাহ পাকের নৈকট্য এবং সন্তুষ্টিলাভের জন্য নির্দিষ্ট সময়ে নির্ধারিত নিয়মে মহান আল্লাহর নামে জবেহো করাই হলো কোরবানি। কোরবানি ইসলামের অন্যতম এক নিদর্শন। কোরবানি কোনো কোনো মাজহাবের মতে সুন্নতে মুয়াক্কাদা এবং হানাবি মাজহাবের মতে ওয়াজিব। কোরবানি আসলে কারা করবেন? যারা জিলহজ্ব মাসের ১০, ১১ ও ১২ তারিখে নিজেদের নিত্যপ্রয়োজনীয় খরচ ছাড়া অতিরিক্ত সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপা বা সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ বা এর সমমূল্যের হন, তাদের ওপর কোরবানি করা আবশ্যক। কোরবানি অর্থ আত্মত্যাগ বা উৎসর্গ। শরিয়ত মতে আল্লাহর নৈকট্যলাভের উদ্দেশ্যে মহান আল্লাহর নামে কোনো কিছু উৎসর্গ করার নামই কোরবানি। সাধারণত কোরবানি হলো পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে জিলহজ্ব মাসের দশ তারিখ থেকে বারো তারিখের মধ্যে মহান রাব্বুল আলামিনের সন্তুষ্টিলাবেল জন্য নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট ব্যক্তির নির্দিষ্ট পশু জবেহ করা। সুরা হাজে মহান রাব্বুল আলামিন ঘোষণা করেন ‘আমি প্রত্যেক জাতির ওপর কোরবানির নিয়ম করেচি, যাতে তারা চতুষ্পদ জন্তু জবেহ করে এবং আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে।’ সেই সঙ্গে সুরা কাওসারে বলা হয়, তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে সালাত আদায় করো এবং কোরবানি করো। কোরবানি ঈদে কোরবানি করা মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে সবচেয়ে বেশি পছন্দের। কোরবানির পশুর রক্ত মাটিতে পড়ার আগেই আল্লাহ তাআলার দরবারে কবুল হয়ে যায়। হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা থেকে বর্ণিত এক হাদিসে জানা যায়, হজরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, কোরবানির দিন রক্ত প্রবাহিত করার চেয়ে প্রিয় কোনো আমল আল্লাহর কাছে নেই। কোরবানি যে দেন সে কিয়ামতের দিন জবেহকৃত পশুর লোম, শিং, ক্ষুর, পশম ইত্যাদি নিয়ে আল্লাহর কাচে উপস্থিত হবে। সেই সেঙ্গে কোরবানির গুরুত্ব সম্পর্কে হজরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণিত এক হাদিস থেকে জানা জায়, হজরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তির সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কোরবানি করলো না, সে যেন আমাদের ইদগাহের নিকটবর্তী না হয়। মানবজীবনে কোরবানির মূল শিক্ষা হলো সমাজের অভাবগ্রস্তদের সহমর্মিতার প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে পারস্পরিক সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠা করা। সেই সঙ্গে আল্লাহর রাস্তায় মানুষের আপন সম্পদ উৎসর্গ করা। যিনি যত পরিমাণ সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করবেন, তিনি আল্লাহর তত নৈকট্য লাভ করবেন।