Скачать или смотреть উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ শ্মশান দীপাবলি উৎসব

বরিশাল মহাশ্মশানে প্রায় ২০০ বছর ধরে এই দীপাবলি উৎসব উদযাপিত হয়ে আসছে । প্রতিবছর কালীপূজার আগের দিন ভূত চতুর্দশীর পুণ্য তিথিতে এই উৎসবটি অনুষ্ঠিত হয়। এই দিনে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা তাদের প্রয়াত স্বজনের সমাধিতে দ্বীপ জ্বেলে ও স্বজনের প্রিয় খাবার তার সমাধির সামনে দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
করোনার কারণে গত দুই বছর দীপাবলি উৎসবে মহাশ্মশানে আলোকসজ্জা, তোরণ নির্মাণ এবং মেলার আয়োজন ছিল না। এবারও তোরণ নির্মাণ ও মেলা হয়নি। তবে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় প্রায় ছয় একরের মহাশ্মশান এলাকা আলোকমালায় সজ্জিত করা হয়েছে। এই দিন সন্ধ্যায় আলোয় আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে উঠেছে এই মহাশ্মশান। দীপাবলি উৎসব উপলক্ষে প্রতিবছর এইদিনে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয় এই মহাশ্মশানে। এই মহাশ্মশানে আছে কবি জীবনানন্দ দাশের বাবা সত্যানন্দ দাশগুপ্ত, পিতামহ সর্বানন্দ দাশগুপ্ত, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের নেতা বিপ্লবী দেবেন ঘোষ, মনোরমা বসু মাসিমাসহ বহু খ্যাতিমান মানুষের সমাধি। কাঁচা-পাকা মিলিয়ে প্রায় ৬৫ হাজার সমাধি রয়েছে এখানে। এই মহাশ্মশানে এ বছরও দীপাবলি উৎসব পালিত হয়েছে সংক্ষিপ্ত পরিসরে। উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ দীপাবলি উৎসব শুধু এই বরিশাল মহাশ্মশানেই হয়ে থাকে। ভারত, নেপালসহ বিভিন্ন দেশ থেকে বিপুলসংখ্যক মানুষ এই দিনটিতে এখানে আসেন তাদের প্রয়াত স্বজনের স্মরণে।