Скачать или смотреть Kingfisher

রঙিন "পাতি মাছরাঙা" #পাখি #বাংলাদেশের পাখি #মাছরাঙা #birdsofbangladesh #birds #birdslife #birdslovers #birdsshorts #naturelovers #commonkingfisher #kingfisher #beautifulbirds #colourfulbirds #birdsofbangladesh #birdsbeauty #shortsvideo #viralshorts #national #bangladesh #birdsofbangladesh #birdslife #naturesounds #জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান
#botanicalgarden #garden #national


রূপ যদি চাও যাও না কেন মাছরাঙ্গার কাছে,
অমন খাসা রঙের বাহার আর কি কারো আছে?
মাছরাঙ্গা! তারেও কি আর পাখির মধ্যে ধরি?
রকম-সকম সঙের মতন, দেমাক দেখে মরি!

সুকুমার রায়ের কবিতায় মাছরাঙার চিরায়ত রূপ ও রঙের অসাধারণ প্রতিচ্ছবি দেখা যায়। রঙের বৈচিত্র্যে বাংলাদেশের অন্যতম সুন্দর ও পরিচিত পাখি মাছরাঙা। আমাদের দেশে যে কয় প্রজাতির মাছরাঙা দেখা যায় ছোট মাছরাঙা তার মধ্যে অন্যতম। এটি
গ্রাম বাংলায় "পাতি মাছরাঙা" নামে পরিচিত। মাছরাঙা বিভিন্ন রঙের হয়। যেমন- নীল, সবুজ, লাল, হলুদ এবং কমলা কিংবা নানা রঙের মিশেল। বাংলাদেশে এখনও সচরাচর তিন প্রজাতির পাতি মাছরাঙ্গা দেখা যায়। অত্যন্ত শান্ত ও ধৈর্যশীল পাখি এই পাতি মাছরাঙ্গা। প্রায়ই শিকারের সন্ধানে জলাশয়ের কাছাকাছি নিচু গাছের ডালে তীক্ষ দৃষ্টিতে শান্ত হয়ে বসে থাকতে দেখা যায় পাখিটিকে। বিভিন্ন কৌশল‌ ব্যবহার করে শিকার করে মাছরাঙ্গা। শিকারের অবস্থান লক্ষ করে মাথা নিচু করে তীরের বেগে ছোঁ মারে। প্রয়োজনে পানির ভেতরেও প্রবেশ করে শিকার ধরে আবার ফিরে আসে। এদের প্রধান খাদ্য মাছ হলেও পোকামাকড়, ব্যাঙাচি ও ছোট জলজ প্রাণীও তাদের লম্বা এবং ধারালো ঠোঁট দিয়ে শিকার করে।

মাছরাঙা পাখিরা বিভিন্ন ধরণের আবাসস্থলে বাস করে, যেমন- জলাশয়, বনভূমি এবং কৃষি জমির কাছাকাছি গাছের গর্ত বা ঝোপঝাড়ে বাসা করে যাতে তারা সহজে শিকার করতে পারে। নিরাপত্তা নিশ্চিত হলে এক স্থানে বছরের পর বছর‌ও কাটিয়ে দেয়।

পাতি মাছরাঙা সাধারণত মার্চ থেকে জুনের মাঝামাঝি ২-৭টি ডিম পাড়ে। এসময় এরা জোড় বেঁধে থাকতে পছন্দ করে। মা ও বাবা পাখি দিনের বেলা ডিমে তা দেয়। রাতের বেলা শুধু মা পাখি তা দেয়। চকচকে সাদা ডিম ফুটে বাচ্চা বের হতে সময় লাগে প্রায় ১৯-২০ দিন। বাচ্চা মাছরাঙা উড়তে শেখে ২০-২৫ দিনে। প্রায় দুই মাস বয়স পর্যন্ত বাচ্চারা বাসা থেকে বের হয়না।

পাখি বিশেষজ্ঞদের মতে, পাতি মাছরাঙার গড় আয়ু সাত বছর হলেও এরা সর্বোচ্চ ১৫ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে এবং ঘণ্টায় ৩৫ মাইল বেগে উড়তে পারে। মাছরাঙার চোখ মানুষের চোখের চেয়ে ১০ গুণ বেশি তীক্ষ্ণ।

আবহমান বাংলার প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য আমাদের মুগ্ধ করলেও, এই সৌন্দর্যের বিশাল অংশ জুড়ে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। যার মধ্যে মাছরাঙা অন্যতম। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে দিন দিন জলাশয়ের পরিমাণ কমে যাওয়া, অবাধ শিকার আর মানুষের অসচেতনতার কারণে আজকাল আর আগের মতো দেখা যায় না নজরকাড়া বর্ণিল পাখি মাছরাঙ্গা।