ক্ষমার মাস রামাদান
• ক্ষমার মাস রামাদান - নোমান আলী খান - বাংলা...
• রমজান মাস কি ক্ষমার মাস । রমজান মাস কে ক্ষ...
• রমজান মাসকে কেন ক্ষমার মাস বলা হয়? ডা জাকি...
যে ব্যক্তি ইমানের সহিত সওয়াবের নিয়তে রমজান মাসে তারাবির নামাজ পড়বে, তার অতীতের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের নিয়তে শবেকদরে ইবাদত করবে, তার অতীতের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।’ (বুখারি ও মুসলিম)।
রমজান ক্ষমাপ্রাপ্তির সুবর্ণ সুযোগ
পবিত্র রমজান মাস আল্লাহর ক্ষমাপ্রাপ্তির মাস। বছরের অন্য ১১ মাসের চেয়ে বরকতময় ও মর্যাদাপূর্ণ এই মাস। কোরআনে আছে, ‘রমজান মাস, এতে মানুষের পথপ্রদর্শক ও সৎ পথের স্পষ্ট নিদর্শন এবং ন্যায় ও অন্যায়ের মীমাংসারূপে কোরআন অবতীর্ণ হয়েছিল। অতএব, তোমাদের মধ্যে যে এ মাস পাবে, সে যেন এ মাসে অবশ্যই রোজা রাখে। আর যে রোগী বা মুসাফির, তাকে অন্য দিনে এই সংখ্যা পূরণ করতে হবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান, তোমাদেরকে কষ্ট দিতে চান না, যাতে তোমরা নির্ধারিত দিন পূর্ণ করতে পারো ও তোমাদেরকে সৎ পথে পরিচালিত করার জন্য আল্লাহর মহিমা ঘোষণা করতে পারো, আর তোমরা কৃতজ্ঞ হলেও হতে পারো।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৮৫)
মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যখন রমজান আসে, তখন জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয় এবং জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর শয়তানদের শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয়।’ (বুখারি)
অন্য একটি হাদিসে আছে, আল্লাহ তাআলা প্রতি ইফতারের সময় অসংখ্য ব্যক্তিকে জাহান্নাম থেকে নিষ্কৃতি দিয়ে থাকেন।’
রমজান মাস গুনাহ থেকে ক্ষমাপ্রাপ্তির সুবর্ণ সময়। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রমজান পেল অথচ নিজের গুনাহ মাফ করাতে পারেনি, সে হতভাগা।’
রোজাদারের চোখ, মুখ, কানসহ প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সব ধরনের গুনাহ থেকে বেঁচে থাকতে হবে। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘কোনো কোনো রোজাদার এমনও আছে, রোজার মাধ্যমে যার শুধু ক্ষুধা-পিপাসাই অর্জিত হয়।’
হাদিসে আছে, ‘এ মাসে আল্লাহর পক্ষ থেকে এক ঘোষক ঘোষণা করতে থাকে, “হে কল্যাণ অন্বেষী, অগ্রসর হও; হে অকল্যাণের পথিক, থেমে যাও।’” (তিরমিজি)
ক্ষমা প্রার্থনার মাস রমজান
রমজান মাগফেরাতের মাস। এ মাসের রোজায় মানুষ ক্ষমা পায়। রমজানের রোজা পালনের মাধ্যমেই মানুষ আল্লাহর ভয় অর্জন করতে সক্ষম হয়। আর আল্লাহর ভয় মানুষকে নিষ্পাপ গুনাহমুক্ত জীবন লাভে সহায়তা করে। এ কারণেই আল্লাহ তাআলা রমজানের সিয়াম সাধনার নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন-
'হে মুমিনগণ! তোমাদের জন্য (রমজানের) রোজা ফরজ করা হয়েছে। অনুরূপ তোমাদের আগের লোকদের ওপরও ফরজ করা হয়েছিল। যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পার।' (সুরা বাকারা: আয়াত ১৮৩)
আল্লাহর ভয় অর্জন করার অর্থই হলো ইসলামের বিধি-বিধানগুলো যথাযথ আদায় করা। যখনই ইসলামের বিধানগুলো যথাযথ পালিত হবে তখনই মানুষ আল্লাহর কাছে ক্ষমা পাবে।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও রমজানের সিয়াম সাধনায় গুনাহ মাফের সুসংবাদ দিয়েছেন। পরিপূর্ণ বিশ্বাসের সঙ্গে সওয়াবের আশায় যদি রমজান মাসের ফরজ রোজা পালন করে তবে তার আগের সব গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়। হাদিসে এসেছে-
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-
যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রমজানের সিয়াম পালন করে, তার আগের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।' (বুখারি ও মুসলিম)
অনেকেই গুনাহ মাফ বলতে ছোট ছোট গুনাহগুলো ক্ষমা করে দেওয়ার বিষয়টি বুঝিয়েছেন। কিন্তু এ সম্পর্কে ইবনু হাজার আল-আসকালানি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন- 'হাদিসের বাহ্যিক অর্থ সগিরা-কবিরা তথা ছোট-বড় সব গুনাহকেই অন্তর্ভূক্ত করে। তাঁর এ মতকে অনেকেই সমর্থন করেন।'
কারো আমলনামায় সগিরা গুনাহ না থাকে আর যদি কবিরা গুনাহ থাকে তবে আল্লাহ ওই ব্যক্তির বড় গুনাহগুলো হালকা করে দেন।' (ফতহুল বারি)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত একান্ত আন্তরিকতার সঙ্গে সওয়াবের আশায় রমজানের সিয়াম পালন করা। গুনাহ থেকে ক্ষমা চাওয়া। তবেই আল্লাহ বান্দার সব গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন।
রমজানের সিয়াম পালনের সঙ্গে সঙ্গে গুনাহ মাফের জন্য আল্লাহর কাছে ছোট ছোট আবেদনগুলো বেশি বেশি করা। যা নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে উল্লেখ করেছেন- উচ্চারণ: ‘রাব্বিগফিরলি, ওয়া তুব আলাইয়্যা, ইন্নাকা আংতাত তাওয়াবুল গাফুর।’
অর্থ: পরওয়াদেগার! তুমি আমাকে মাফ কর এবং আমার তাওবা কবুল কর। কেননা তুমি হলে তাওবা কবুলকারী এবং ক্ষমাকারী। (মুসনাদে আহমদ, তিরমিজি, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ ও মিশকাত)
অতপর আদম ও হাওয়া আলাইহিস সালাম-এর ঐতিহাসিক ক্ষমা লাভের দোয়াটি বেশি বেশি পড়া-
'হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা নিজেদের প্রতি জুলম করেছি। যদি আপনি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন এবং আমাদের প্রতি অনুগ্রহ না করেন, তবে আমরা অবশ্যই অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভূক্ত হয়ে যাব।' (সুরা আরাফ : আয়াত ২৩)
‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুওউন তুহিব্বুল আফওয়া ফা’ফু আন্নি।’
অর্থ: হে আল্লাহ! নিশ্চয় আপনি ক্ষমাশীল। ক্ষমা করাকে ভালোবাসেন। সুতরাং আমাকে ক্ষমা করে দিন।'
‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল হুদা ওয়াত্তুক্বা ওয়াল আফাফা ওয়াল গিনা।’
অর্থ: 'হে আল্লাহ! আপনার কাছে হেদায়েত চাই, আপনার ভয় চাই, রোগ-ব্যাধি থেকে মুক্তি চাই, সচ্ছলতা কামনা করি।'
পবিত্র রমজান মাসে মুমিন বান্দা তাদের গুনাহ থেকে ক্ষমা লাভ করতে পারলেই বছরের বাকি এগারোটি মাস এ সিয়াম সাধনার ফল ভোগ করবে। সে জন্য বেশি বেশি তাওবাহ করা জরুরি।
হে আল্লাহ! আপনি মুমিন মুসলমান রোজাদারের গুনাহগুলো ক্ষমা করে দিন।
• ক্ষমার মাস রামাদান || নোমান আলী খান - RAMA...
• যে ব্যক্তি রমজান মাস পেয়ে নিজের পাপ ক্ষমা...
• রমাদান মাস! ক্ষমার মাস!💙#ramadan #ramadhan...
• রমজান মাস কি ক্ষমার মাস । রমজান মাস কে ক্ষ...
• ক্ষমার মাস রামাদান : পর্ব - ০২ Nouman Ali ...
• ক্ষমার মাস রামাদান। নোমান আলী খান।
• রমজান মাসকে তওবা কবুল বা ক্ষমার মাস বলা হয...
#ক্ষমা প্রার্থনার মাস রমজান
#গুনাহ মাফের মাস রমজান
#Ramadan is The Month of Forgiveness.
#Ramadan #RamadanMonth #Forgiveness.
#ক্ষমাপ্রার্থনা #গুনাহমাফ #রমজানমাস
Информация по комментариям в разработке