Скачать или смотреть ভিকারুননিসার জনপ্রিয় শিক্ষক মুরাদ হোসেনকে যেভাবে ফাঁসিয়েছে তার সহকর্মী ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ

#ভিকারুননিসার সিনিয়র গণিত শিক্ষক মুরাদ হোসেন সরকার
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও প্রতিপক্ষ শিক্ষকদের ষড়যন্ত্রের স্বীকার।
• সত্যকে বিলম্বিত করা যায় কিন্তু হত্যা করা যায়না।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজের জনপ্রিয় সিনিয়র গণিত শিক্ষক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মুরাদ হোসেন সরকারের বিরুদ্ধে গত ০৭-০২-২০২৪ তারিখে একই ক্লাসের ঘনিষ্ঠ তিন বান্ধবীর অভিভাবককে স্কুলে ডেকে এনে দুই বছর পূর্বের (২০২২ ও ২০২৩ সাল) ঘটনা উল্লেখ করে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ করানো হয় এবং থানায় মামলা করে সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করা হয়।
জানা গেছে, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ তারিখে ভিকারুননিসায় চলছিল মিলাদ মাহফিলের অনুষ্ঠান। এই একই দিন হঠাৎ একটি চিঠি দিয়ে মিলাদের অনুষ্ঠান থেকে সরিয়ে দিয়ে শিক্ষক মুরাদ হোসেনকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবসের অনুষ্ঠানে। আবার, এই একই দিন একই ক্লাসের ঘনিষ্ঠ তিন ছাত্রীর অভিভাবকের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা দেওয়া হয় এবং এই একই দিন তদন্ত রিপোর্টও জমা দেয়া হয় ভারপ্রাপ্ত শাখা প্রধানের নিকট এবং ঐ একই দিন ভারপ্রাপ্ত শাখা প্রদানও উক্ত রিপোর্টটি প্রেরণ করেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের নিকট। যেখানে অভিযোগের বিষয়ে মুরাদ হোসেনকে কোনো প্রকার কারণ দর্শানোর নোটিশ করা হয়নি। একই দিনে এতোগুলো ঘটনা ছিল তার বিরুদ্ধে পূর্বপরিকল্পিত একটি ষড়যন্ত্র। আর্চাযের বিষয় হলো, অভিযোগকারীগণ আজ পর্যন্ত একটি প্রমাণও দিতে পারেনি। গত ২২-০২-২০২৪ তারিখে প্রকাশিত স্কুলের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনেও অভিযোগের কোন সত্যতা মিলেনি। তবে প্রাইভেট পড়ানো নিয়ে তিন শিক্ষকের মধ্যে অন্তক্রোন্দল ছিলো বিধায় তিনজনকেই বদলীর সুপারিশ করা হয়েছিল। তারা হলেন, আজিমপুর দিবা শাখার লাভলী ইয়াছমিন, কানিজ ফাতেমা ও মুরাদ হোসেন। কর্তৃপক্ষ শুধু মুরাদ হোসেনকে বদলী করলেও অপর দুইজন লাভলী ইয়ছিমিন ও কানিজ ফাতেমাকে বদলী না করায় ছাত্রী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
জানা যায় যে, আজিমপুর দিবা শাখার সিনিয়র গণিত শিক্ষক লাভলী ইয়াছমিন ও পিটি শিক্ষক কানিজ ফাতেমা ছাত্রীদের প্রচুর চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন মুরাদ হোসেনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার জন্যে। আজিমপুর শাখার সিনিয়র গণিত শিক্ষক লাভলী ইয়াছমিনের নিজের ছোট মেয়ে ফাহমিদা ইসলাম জ্বীম ও তার বান্ধবীদের নেতৃত্বে ছাত্রীদের জোড় করে নামিয়েছে এবং পিটি শিক্ষক কানিজ ফাতেমা ও আওয়ামী লীগের নেতাদের প্রত্যক্ষ মদদে মানব বন্ধন করান, যেখানে শিক্ষক মুরাদের কাছে কোচিং করে এমন ছাত্রীদের উপস্থিতি দেখা না গেলেও ষড়যন্ত্রকারী শিক্ষিকাদের মেয়ে ও তাদের বন্ধবী এবং উক্ত শিক্ষিাকাদের কাছে কোচিং করা ছাত্রীদের দেখা যায়। তার আগে উনারা শিক্ষক মুরাদের বিরুদ্ধে ফেইসবুক পেইজে মানহানীকর পোস্ট দেন। গত ৭ জানুয়ারি/২০২৪ খ্রি: প্রহসনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সহকারি প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন শিক্ষক মুরাদ। সাবেক ছাত্রদল নেতা ও সাবেক ভি.পি মুরাদ হোসেন জাল ভোট দিতে বাঁধা দেওয়ায় পতীত আওয়ামী যুবলীগ ঢাকা দক্ষিণের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাফর আহমেদ রানা ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২৬ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুজা উদ্দিন আহমেদ হারুন এবং তাদের সহযোগি ইফতেখার মমিন মিঠুর যোগসাজসে শিক্ষক মুরাদকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন ও বহিষ্কারের গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। এ দিকে মুরাদ হোসেন জানান যে, জমি ক্রয় সংক্রান্ত অর্থ লেনদেন নিয়ে পিটি শিক্ষক কানিজের সাথে মুরাদের দীর্ঘ দিনের বিরোধ ছিলো। গত ২২-০২-২০২৪ তারিখে প্রকাশিত স্কুলের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনেও অভিযোগের কোন সত্যতা না পেলেও রহস্যজনকভাবে গত ২৬-০২-২০২৪ তারিখে স্কুল কর্তৃপক্ষ অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায় বলে উল্লেখ করে কোনো প্রকার কারণ দর্শানোর নোটিশ না করে মুরাদ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। অপরদিকে পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা জনাব ফায়েজ বলেন, অভিযোগকারীরা আজ পর্যন্ত একটি প্রমাণও দাখিল করতে পারেনি। উচ্চতর তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে শিক্ষক মুরাদ হোসেনের বিরুদ্ধে সাময়য়িক বরখাস্ত বহাল রাখার জন্য সুপারিশ করলেও তা স্কুল কর্তৃপক্ষ আমলে না নিয়ে আওয়ামী পন্থী গর্ভনিং বডির মেয়াদের শেষ সময়ে তারহুরা করে ঢাকা কোতায়ালী থানার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন মোহাম্মদ আকবর বাবলার স্ত্রী ভিকারুননিসার বর্তমান অধ্যক্ষ মাজেদা বেগমের এক স্বাক্ষরে মুরাদ হোসেনকে স্থায়ী বরখাস্ত করেন। সাবেক ভিপি ও ছাত্রদলে এই নেতা শিক্ষক মুরাদ ক্ষুব্ধ হয়ে মহামান্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন (নং: ১১৮১৬/২০২৪) দায়ের করলে মহামান্য বিচারক গত ০৫-১১-২০২৪ তারিখে ষড়যন্ত্রের বিষয়টি আমলে নিয়ে বরখাস্ত স্থগিত করেন। অপরদিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে এবং জেলা শিক্ষা অফিসার এবং শিক্ষা বোর্ড থেকে শিক্ষক মুরাদকে বেতন ভাতাদি দেওয়ার জন্য পত্র জারি করলেও ভিকারুননিসার কর্তৃপক্ষ তাহা কোন আমলে নিচ্ছেন না। ফলে শিক্ষক মুরাদ হোসেন ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়ে নিজেই নিপীড়িত, নির্যাতিত ও জুলুমের স্বীকার এবং তাঁর পরিবার নিয়ে তিনি মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
#viqarunnisa #মুরাদ স্যার#মুরাদ সরকার#highlights #viralvideo #everyone #vnsc #আওয়ামী #ফ্যাসিস্ট #murad sir#murad Sarker#viqarunnisa Noon School & College#viqarunnisa School#vns#ভিকারুননিসা #ভিকারুননিসা নূন স্বুল এন্ড করেজ#ভিকারুন্নেসা#ভিকি#vns Murad sir#Face the People#