Скачать или смотреть একই আঙিনায় লালমনিরহাটের কালীবাড়ি মসজিদ-মন্দির| Hindu_muslim

#hindu_muslim, #islam #mosque #temple #peace

সম্প্রীতির বিরল দৃষ্টান্ত লালমনিরহাটের কালীবাড়ি মসজিদ-মন্দির

লালমনিরহাট জেলা শহরের কালীবাড়ি এলাকায় গড়ে উঠেছে পুরান বাজার জামে মসজিদ ও কালীবাড়ি সার্বজনীন মন্দির। ঝগড়া, বাকবিতন্ডা, অভিযোগ বা অনুযোগ ছাড়াই যুগের পর যুগ একই আঙ্গিনায় মন্দির ও মসজিদে বিরাজ করছে ধর্মীয় সম্প্রীতি। এ যেন সম্প্রীতির মহামিলন। পৃথিবীজুড়ে চলমান সহিংসতা আর সাস্প্রদায়িক সংঘর্ষের সংবাদের মধ্যে এমন দৃশ্য নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। একই আঙ্গিনায় মন্দির ও মসজিদ স্থাপন করেছে ধর্মীয় সম্প্রীতির বিরল দৃষ্টান্ত। ​সম্প্রীতির চিত্র দেখার জন্য প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা আসেন।

ভক্সপপঃ দেখতে আসাদের বক্তব্য

স্থানীয়রা মনে করেন এখানে ধর্মীয় সম্প্রীতি অটুট ছিল, আছে আর থাকবে। কোনো দিনই এই সম্প্রীতিতে কোনো দাগ পড়েনি আর পড়বেও না। সারাবিশ্বেও যদি ধর্মীয় সহিংসতা বাধে তবুও এখানকার ধর্মীয় সম্প্রীতি থাকবে অটুট। এটা তাদের বিশ্বাস।

ভক্সপপঃ স্থানীয়রা

জামে মসজিদের ঈমাম বলেন, জেলার ঐতিহ্যবাহী মসজিদটিতে নামাজ আদায় করতে দূরদূরান্ত থেকেও মুসল্লিরা আসেন। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে এই মসজিদে সবসময় মুসল্লিদের ভিড় থাকে।

সটঃ মসজিদের ঈমামের বক্তব্য

প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যায় স্বাভাবিক নিয়মে চলছে পূজার্চনা। এখানে রয়েছে শ্রী শ্রী দুর্গা মন্দির। প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরেও জাঁকজমক পরিবেশে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানান মন্দিরের পুরোহিত।

সটঃ মন্দিরের পুরোহিতের বক্তব্য

এ বিষয়ে পৌরসভা মেয়র রেজাউল করিম স্বপ্ন বলেন, যুগের পর যুগ একই আঙ্গিনায় একই সঙ্গে মুসলিম ও হিন্দুরা নিজ নিজ ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করে আসছেন। একে অন্যের পরামর্শ ও সহযোগিতায় পাশাপাশি থেকে উভয় ধর্মের মানুষ ধর্ম পালন করছে।

সটঃ লালমনিরহাট পৌরসভা মেয়র রেজাউল করিম স্বপ্ন

এদিকে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে থাকা মসজিদ ও মন্দিরের প্রাঙ্গণটি দেখতে ইতোমধ্যে পরিদর্শন করেছেন ঢাকার নেপাল দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন মিঃ কুমার রাই ও রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য্য। এ সময় ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য্য বলেন-

সটঃ দেবদাস ভট্টাচার্য্য

কালীবাড়ি মন্দিরটি প্রায় ২০০ বছর পুরানো। তৎকালীন মাড়োয়ারি ব্যবসায়ীরা এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করে পূজার্চনা করতেন। তারা দেশ ছেড়ে চলে গেলেও মন্দিরটি থেকে যায়। পরে এখানে মুসলিমরা মসজিদ তৈরি করলেও অটুট সম্প্রীতির মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ৩৭ বছর ধরে হিন্দু-মুসলিমরা বাস করছেন।