Скачать или смотреть গীতার আলোকে সুখী জীবন: জানুন সহজ কিছু উপায় ।। চিন্ময়ানন্দ পুরী মহারাজ

এই চ্যানেলটি সবাইকে SUBSCRIBE সাবস্ক্রাইব করার জন্য বিনীত ভাবে অনুরোধ করছি। গীতা প্রচারের স্বার্থে লাইক ও শেয়ার করুন ।
Sri Sri Lokenath Brahamachari Ashram & Mandir, 84/1Swamibag Road Dhaka-1100

Gita TV
Gita
TV


গীতা পাঠক- শ্রীমৎ ধ্রুব চৈতন্য- সভাপতি, বাংলাদেশ লোকনাথ গীতা প্রচার সংঘ- শ্রীশ্রী লোকনাথ মন্দির ও আশ্রম-01739539860.

Bank Account Name- Sri Sri Gita Lokenath Mondir & Ashram.
A/C No- 1231101157830. Pubali Bank Limited, Manikganj Branch. Manikganj.

“শ্রীমদ্ভগবদগীতা” এর রচয়িতা কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন বেদব্যাস। এটি ‘মহাভারত’ মহাকাব্যের একটি অংশ। মহাকাব্যের আঠারোটি অধ্যায়ে মোট ১ লক্ষ ১০ হাজার টি শ্লোক রয়েছে। যা সংস্কৃত ভাষায় লেখা। আঠারোটি অধ্যায় এর মধ্যে “ভীষ্ম পর্ব” হতে গীতা গ্রন্থটি গৃহীত। যেহেতু সম্পূর্ণ মহাভারতটি কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন বেদব্যাস দ্বারা রচিত তাই শ্রীমদ্ভগবদগীতা রচয়িতা হিসেবে বেদব্যাসের নাম বলা হয়। এটি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের অমৃত বাণী। সংস্কৃত ভাষায় গীতার অর্থ গান। গীতার জ্ঞান দ্বারা ব্যক্তির সকল প্রশ্নের উত্তর পাওয়া সম্ভব। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বাণী এই গীতায় রয়েছে, যা আমাদেরকে সঠিক মার্গ দর্শন করতে সহায়তা করে। নিত্য গীতা পাঠ ও শ্রবণে জীবনের সকল সমস্যার সমাধান হয়ে থাকে। গীতার জ্ঞান প্রথমে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ সূর্য দেব বিবস্বানকে দিয়েছিলেন। গীতাকে সপ্তশতী বলা হয় কারণ গীতায় ৭০০টি শ্লোক ও ১৮ টি অধ্যায় এছাড়াও গীতার ১৮টি নাম রয়েছে । গীতা অনুষ্টুপ ছন্দে রচিত, তবে কিছু শ্লোক ত্রিষ্টুপ ছন্দে রচিত। অনুষ্টু শ্লোক সংখ্যা ৬৪৫টি, ত্রিষ্টুপশ্লোক সংখ্যা ৫৫টি। অনুষ্টুপ ছন্দের প্রতিটি শ্লোক ৩২ অক্ষর বিশিষ্ট, ত্রিষ্টুপ ছন্দে প্রতিটি শ্লোক ৪৪ অক্ষর বিশিষ্ট। গীতায় অর্জুনের ২০টি নাম ও শ্রীকৃষ্ণের ৩৩টি নাম উল্লেখ রয়েছে। গীতার ১-৬ অধ্যায়কে বলে কর্ম ষটক, ৭-১২ অধ্যায়কে বলে ভক্তি ষটক ও ১৩-১৮ অধ্যায়কে বলে জ্ঞান ষটক। শ্রীকৃষ্ণ এই গীতার জ্ঞান কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের সময় ১৮ দিনে মাত্র ৪০ মিনিট সময়ে প্রদান করেন । এখানে শ্লোক সংখ্যা ধৃতরাষ্ট্র ১টি, সঞ্জয় ৪০টি, অর্জুন ৮৫টি, শ্রীকৃষ্ণ ৫৭৪ টি। শ্রীমদ্ভগবদ গীতা গ্রন্থকে পঞ্চম বেদও বলা হয়। গীতার ২য় অধ্যায় (সাংখ্য যোগ) কে গীতার সারাংশ বলা হয়ে থাকে। এছাড়াও সকল ধর্মীয় গ্রন্থের সার সংক্ষেপ ও সবচেয়ে গোপনীয় তত্ত্ব গীতার মধ্যে রয়েছে। বাস্তবিক জীবনে গীতার জ্ঞান কাজে লাগালে মানুষের সকল সমস্যার সমাধান পাওয়া সম্ভব। জীবনের সকল বাধা-বিপত্তি দুর করার জন্য এবং সকল পাপ বিনষ্ট করার জন্য নিত্য গীতা পাঠ ও অধ্যায়ণ করা প্রয়োজন। আমাদের সন্তানের হাতে গীতা তুলে দিতে হবে গীতা মুর্খী করতে হবে ও পাঠে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। পরমেশ্বর ভগবান বলেন যিনি এই পরম গুহ্যশাস্ত্র আমার ভক্তগণের নিকট ব্যাখ্যা করিবেন, তিনি ভগবানেরই উপাসনা করিতেছি এবং ভগবানকে আমাকেই প্রাপ্ত হইবেন, ইহাতে কোন সন্দেহ নাই। মানুষের মধ্যে ভগবানের প্রিয়কারী হল গীতা ব্যাখ্যাকারী এবং এর চাইতে প্রিয় ভক্ত আর হবে না। আর যিনি এই ধর্ম সংবাদ (গীতা শাস্ত্র) অধ্যয়ন করেন, তিনি জ্ঞান যজ্ঞ দ্বারা ভগবানের অর্চনা করিলেন। যে ভক্ত নিত্য গীতা পাঠ বা শ্রবণ করেন স্বয়ং ভগবান তার সকল ভার বহন করেন।