তিন শীর্ষ নেতাকে হ*ত্যা করেছে আ. লীগ সরকার: মামুনুল হক রংপুর বিভাগীয় গণসমাবেশ।

Описание к видео তিন শীর্ষ নেতাকে হ*ত্যা করেছে আ. লীগ সরকার: মামুনুল হক রংপুর বিভাগীয় গণসমাবেশ।

হেফাজতে ইসলামের সাবেক আমির শাহ আহমদ শফী, জুনায়েদ বাবুনগরী ও মহাসচিব নূর হোসাইন কাসেমীকে আওয়ামী লীগ সরকার হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ও খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক। আজ শনিবার রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে হেফাজতে ইসলামের বিভাগীয় সমাবেশে তিনি এ অভিযোগ তোলেন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের আমিরকে বিগত সরকার ও তার প্রশ্রয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা আমার ধারনা মতে হত্যা করেছে। এবং হত্যা করার পর তার দায় মরহুম আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর ওপর চাপানোর অপচেষ্টা চালিয়েছে। এরপর আমাদের মরহুম মহাসচিব নূর হোসাইন কাসেমীকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তারা হত্যা করেছে। এরপরে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীকেও তারা হত্যা করেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলব এই তিন হত্যাকাণ্ডে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে বিচার করতে হবে। আমরা একটা যৌক্তিক সময় দেব এই সময়ের মধ্যে যদি বিচার করতে ব্যর্থ হয় তাহলে কত ধানে কত চাল হেফাজতে ইসলাম তা বুঝিয়ে দেবে।’

মামুনুল হক বলেন, ‘হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ দেশের সবচেয়ে মজলুম সংগঠন। বিরোধী দল হিসেবে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী নির্যাতনের শিকার হয়েছে। হেফাজতে ইসলাম গণহত্যার শিকার হয়েছে। ২০১৩ ও ২১ সালে সংগঠিত হত্যাকাণ্ডের জন্য শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রীসভার সদস্যদের বিচার করতে হবে।’

হেফাজতের সাবেক এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশে যে পাঠ্যসূচি দেওয়া হয়েছে তা নাস্তিক্যবাদে ভরা। দেশের পাঠ্যসূচি থেকে সকল নাস্তিক্যবাদ বাদ দিতে হবে। আগামী বছরের জানুয়ারি মাস থেকে এ পাঠ্যসূচি বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না।’

২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে গণহত্যা, ২০২১ সালেহেফাজতের নেতাকর্মীদের নির্বিচারে হত্যা-নির্যাতন ও গণগ্ৰেফতার, ২০০৯ সালে পিলখানা হত্যাকাণ্ড, ২০২৪ এ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা সম্প্রীতি রক্ষার দাবিতে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের রংপুর বিভাগীয় গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমীর মাওলানা মুহাম্মদ ইউনুস। গণসমাবেশে বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব,যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী,অর্থ সম্পাদক মাওলানা মুনীর হোসাইন কাসেমী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মুফতি বশির উল্লাহসহ হেফাজত নেতারা।

এর আগে পীরগঞ্জের বাবনপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত ও তার পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করেন হেফাজত নেতারা। এ সময় তার কবরের পাশে 'জামিয়া শহীদ আবু সাঈদ' মাদরাসা প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেওয়া হয়।

Комментарии

Информация по комментариям в разработке