Скачать или смотреть থানচি যাওয়ার শেষ ২০ কিলোমিটার রাইডটা এক কথায় অবিশ্বাস্য! ভয়ংকর সুন্দর দৃশ্যগুলো না দেখলে মিস করবেন!

থানচি বাংলাদেশের বান্দরবান জেলার একটি প্রত্যন্ত ও মনোরম উপজেলা, যা তার পাহাড়ি ভূখণ্ড, সবুজ বন এবং অসংখ্য জলপ্রপাতের জন্য পরিচিত। এটি অ্যাডভেঞ্চার পর্যটনের জন্য একটি জনপ্রিয় গন্তব্য, বিশেষ করে ট্রেকিং এবং নদী ভ্রমণের জন্য।
ভৌগোলিক অবস্থান ও মানুষ
থানচির পূর্বে মিয়ানমারের চিন রাজ্য এবং দক্ষিণে রাখাইন রাজ্য অবস্থিত।
এই অঞ্চলে মারমা, খুমি এবং ত্রিপুরা সহ বিভিন্ন আদিবাসী সম্প্রদায়ের বসবাস, যাদের অনন্য সংস্কৃতি এবং জীবনধারা পর্যটকদের আকর্ষণ করে।
শঙ্খ নদী থানচির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে, যা পাহাড়ি দৃশ্যের মধ্য দিয়ে পথ তৈরি করে এবং মনোরম নৌকা ভ্রমণের সুযোগ দেয়।
প্রধান আকর্ষণ এবং কার্যক্রম
নাফাখুম জলপ্রপাত: বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ ও রাজকীয় জলপ্রপাত নাফাখুম শঙ্খ নদীতে অবস্থিত। এখানে পৌঁছাতে থানচি বাজার থেকে নৌকা ভ্রমণ এবং এরপর বন্য অঞ্চলের মধ্য দিয়ে ট্রেকিং করতে হয়।
আমিয়াখুম জলপ্রপাত: প্রায়শই "বাংলাদেশের স্বর্গ" নামে পরিচিত আমিয়াখুম আরেকটি শক্তিশালী এবং দর্শনীয় জলপ্রপাত, যেখানে ট্রেকিং করে পৌঁছানো যায়।
রেমাক্রি: থানচি থেকে শঙ্খ নদী দিয়ে নৌকা করে যাওয়া যায় এমন একটি গ্রাম। এটি নাফাখুমের মতো কাছাকাছি জলপ্রপাতগুলোতে ভ্রমণের জন্য একটি ঘাঁটি হিসেবে কাজ করে এবং এটি তার নাটকীয় দৃশ্যের জন্য পরিচিত।
শঙ্খ নদীতে নৌকা ভ্রমণ: থানচি বাজার থেকে শঙ্খ নদী ধরে নৌকা ভ্রমণ একটি স্মরণীয় অভিজ্ঞতা, যা পাহাড় এবং সবুজ প্রকৃতির মনোরম দৃশ্য দেখায়।
থানচি বাজার: একটি ব্যস্ত বাজার যেখানে পর্যটকরা স্থানীয় এবং আদিবাসী মানুষের দৈনন্দিন জীবন দেখতে পারেন। কিছু ঐতিহাসিকের মতে, "থানচি" নামটি মারমা শব্দ "থান চাই" থেকে এসেছে, যার অর্থ "বিশ্রামের জায়গা"।
থানচি ভ্রমণ
কীভাবে যাবেন: থানচি যাওয়ার যাত্রা সাধারণত বান্দরবান শহর থেকে শুরু হয়, যেখানে আপনি বাস বা একটি শেয়ার করা জিপ (স্থানীয়ভাবে "চান্দের গাড়ি" নামে পরিচিত) নিতে পারেন।
ভ্রমণের প্রস্তুতি: থানচি একটি প্রত্যন্ত এলাকা হওয়ায় ভ্রমণ কষ্টসাধ্য এবং সাবধানে পরিকল্পনা করা প্রয়োজন। বান্দরবান পার্বত্য জেলার নিরাপত্তা নিয়মের কারণে আপনাকে সেনা চেকপোস্টে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে নিবন্ধন করতে হবে এবং ট্রেকিংয়ের জন্য একজন স্থানীয় গাইড নিয়োগ করতে হবে।
ভ্রমণের সেরা সময়: ভ্রমণের সেরা সময় হলো শুষ্ক শীতকাল (নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি), যখন বৃষ্টিপাত কম হয়। বর্ষাকালে ভারী বৃষ্টিপাত এবং ভূমিধসের ঝুঁকির কারণে ভ্রমণের ব্যাঘাত ঘটতে পারে।