১৯৬৫ সালের পাকিস্তান ভারত যুদ্ধ ||Indo-Pakistani War of 1965

Описание к видео ১৯৬৫ সালের পাকিস্তান ভারত যুদ্ধ ||Indo-Pakistani War of 1965

১৯৬৫ এর পাক ভারত যুদ্ধ
কাশ্মীর এর বেশির ভাগ অংশ ভারতের দখলে থাকার কারণে ১৯৪৭ সালেই ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ লাগে। কিন্তু জাতিসংঘ যুদ্ধ বাধা প্রদান করে ।

কিন্তু ১৯৬২ সালে চীন এর কাছে ভারত যুদ্ধে হেরে গেলে ১৯৬৫ সালে কাশ্মীর নিয়ে ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ হয়।

ভারত পাকিস্তান যুদ্ধের কারণ, যুদ্ধকে উদ্দীপ্ত করার উৎসগুলো, যুদ্ধের ফলাফল এবং এই যুদ্ধের প্রতিক্রিয়া কতটা বাংলাদেশ এর উপর ছিল সেই সম্পর্ককে জানবো।

এই যুদ্ধের মূল কারণ ই ছিল পাকিস্তান এর কাশ্মীর এর ভারত শাসিত অঞ্চল গুলো নিজেদের আয়ত্বে করার প্রচেষ্টা।

ভারত দাবি করে তারা মহারাজা হরি সিং এর সাথে চুক্তি করে আইনগত ভাবে কাশ্মীর এর দুই তৃতয়াংশ এর মালিক। কিন্তু যুদ্ধ বাঁধায় সামরিক শাসক আইয়ুব খান।

কাশ্মির যুদ্ধের কারণ

১.আইয়ুব খানের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করা :
১৯৬২ সালে পূর্ব পাকিস্তানে ব্যাপক ছাত্র আন্দোলন এর কারণে তাকে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয় এবং ছাত্রদের কাছে নতি স্বীকার করে সামরিক আইন প্রত্যাহার, আটককৃত রাজনৈতিক নেতা দের মুক্তি এবং তার করা শিক্ষা নীতি ও বাতিল করতে বাধ্য হন।
এর পরই আইয়ুব বিরোধী 9 দলীয় ফ্রন্ট ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট গঠন হয় এবং তাদের করা গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আইয়ুব এর ভাবমূর্তি আরোও খারাপ হয়।
1965 সালের নির্বাচন, যেখানে আইয়ুব খান ভোট কারচুপি করে জয়লাভ করেন কিন্তু বিরোধী দলীয় কপ পার্থী ফাতেমা জিন্নাহ এর কাছে পূর্ব পাকিস্তানে দ্বিগুণ ভোটে হেরে যায়। নিজের সুনাম আবার অর্জন করার জন্য কাশ্মীর জয় করে পাকিস্থান এর জন্য বিশাল অর্জন এনে দিতে চাইছিলেন।

2. নাম্বার যে কারণটা আইয়ুব খান কে উৎসাহিত করছে সেটা হলো * চীন ভারত যুদ্ধ
1962 সালে এই যুদ্ধে চীন জিতে যায় এবং ভারত শাসিত কাশ্মীর এর ' আকসাই ' অঞ্চল টি দখল করে নেয়।

১৯৬৪ সালে জওহারলাল নেহেরু মৃত্যুর পর লালবাহাদুর শস্রি প্রধানমন্ত্রী হলে তিনি সংবিধানে সম্পূর্ণ কাশ্মীর কে নিজেদের অঙ্গীভূত করেন। ফলে যুদ্ধের দিকে আরো দাবিত হয় পাকিস্থান

কচ্ছের যুদ্ধে পাকিস্থান এর বিজয় আরো একটি বড় কারণ

৬ নাম্বার অনেক গুরুত্বপূর্ন একটা কারণ হচ্ছে পূর্ব পাকিস্থান এর সংখ্যা আধিক্য কমানো।


৭ শেষ যে কারণ টি ছিল তা হচ্ছে তখনকার পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং সচিবের প্রভাব
তখনকার পররাষ্ট্র মন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টো এবং পররাষ্ট্র সচিব আজিজ আহমদ দুই জন ই পাকিস্তান কে নিয়ে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী ছিলেন

চলেন আমরা যুদ্ধের ঘটনা সম্পর্কে জেনে নেই
এই যুদ্ধ টি অল্প সময়ে হলেও এর ফলাফল ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
যুদ্ধের কারণ যাই হোক নাহ কেন পাকিস্তান এর মূল উদ্দেশ্য ছিল ভারত থেকে কাশ্মীর পুরোপুরি নিয়ে নেয়া।
এই লক্ষ্য সামনে নিয়ে পাকিস্তান পরিকল্পনা শুরু করে,
কাশ্মীর এর তৎকালীন নেতা শেখ আবদুল্লাহ গ্রেপ্তার হলে ভারত শাসিত কাশ্মীর এর অঞ্চল গুলো তে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে, এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে পাকিস্তান ঢুকে পড়ে ওই অঞ্চল গুলোতে। আইয়ুব খান কাশ্মীর এ প্রথম সশস্ত্র গেরিলা অনুপ্রবেশ করান ১৯৬৫ সালের জুলাই মাসের শেষ দিকে।
৯ আগস্ট তৈরি করে 'জম্মু ও কাশ্মির বিপ্লবী পরিষদ' যাদের মাধ্যমে এলকা গুলো তে বিদ্রোহের নামে তাণ্ডব শুরু করে।
৬ সেপ্টেমবর যখন প্রকাশ্যে ভারতে আক্রমন করে তখন যুদ্ধ শুরু হয়ে যায় পুরো দমে।
প্রথম থেকেই যুদ্ধে শক্ত অবস্থান থাকে ভারত এর। উল্টা ভারত পাকিস্তান এর লাহোর আক্রমন করতে দেশটিতে ঢুকে পড়ে।
পাকিস্তান এর একমাত্র সাফল্য ছিল চামর সেক্টর নামক স্থানে
পাকিস্থান এর এই বিপদের দিনে পাশে দাড়ায় পূর্ব পাকিস্তান, প্রাণপণ যুদ্ধ করে ভারত থেকে লাহোর কে রক্ষা করে । জাতি সংঘের কঠোর হুঁশিয়ারি জন্য ১৭ দিনের মাথায় ২৩ তারিখ বন্ধ হয় যুদ্ধ।
এর কয়েকমাস পড়ে ১৯৬৬ সালের ১০ জানুয়ারি তৎকালীন সোভিয়েত প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস কোসিগিনের মাধ্যমে "তাসখন্দ চুক্তির" মাধ্যমে যুদ্ধের অবসান ঘটে

যুদ্ধ সম্পর্কে জানলাম কিন্তু জানার বাকি কেন পাকিস্তান এত শোচনীয় ভাবে হেরে গেল!
প্রথম কারণ বাঙ্গালীর অনীহা

দ্বিতীয় কারণ ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনীহা


তৃতীয় এবং শেষ কারণ জাতিসংঘের বিরোধিতা
এই যুদ্ধের জন্য পাকিস্তানকে কঠোর সমালোচনা করা হয় আন্তর্জাতিক ভাবে কারণ কাশ্মীর সমস্যা সমাধান এর দায়িত্ব তখন জাতিসংঘ এর নিরাপত্তা পরিষদ এর। ১৯৪৭ এ করা চুক্তি দেখার তখনও জাতিসংঘের

আজকের শেষ টপিক অর্থাৎ এই যুদ্ধ এর বাংলাদেশ অর্থাৎ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান এর প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানবো
১। বাঙালির যুদ্ধ বিরতিতে সমর্থন

এছাড়াও ধর্মের নামে এই সময় চলে সাম্প্রদায়িকতা,
রবীন্দ্রনাথ হিন্দু বলে তার গান বেতারে প্রচার বন্ধ করে দেয়া হয়
সাথে কবি নজরুল এর ইসলামী গান থেকে হিন্দুইয়ানি শব্ধ বাদ দিয়ে পরিবেশন করা হয়
যেগুলো আইয়ুব খান এর পূর্ব বাংলার প্রতি ক্ষোভ এর প্রকাশ পায় এবং সেটা প্রমাণ হয় এই যুদ্ধে হারার পর বাংলা জয় করার অপচেষ্টার মাধ্যমে

২. ছয় দফার পিছনে পাক ভারত যুদ্ধের প্রভাব
এই যুদ্ধের পরই ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু লাহোরে ৬ দফা পেশ করেন যা সরাসরি এই যুদ্ধের সাথে যুক্ত।
৬ দফা মূলত ছিল অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সামরিক বৈষ্যমের বিরূদ্ধে অন্দোলন ।
আর এই বৈষম্য গুলো পরিলক্ষিত হয়েছিল এই যুদ্ধে,
পুরো পৃথিবীকে সাথে পূর্ব পাকিস্থান কে বিচ্ছিন্ন করার মাধ্যমে অর্থনৈিকভাবে দূর্বল, রাজনৈতিক ভাবে কোনো মতামত পেশ নাহ করার সুযোগ, এবং নিরপত্তা হিনিতা এই যুদ্ধ হাইলাইট করে দিয়েছিল।
এবং যার ফলাফল গণআন্দোলন, যার জন্য ১৯৬৯ সালের ফেব্রয়ারিতে পতন হয় আইয়ুব খানের।

আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী | International affairs:    • আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী | International...  

Комментарии

Информация по комментариям в разработке