বিষয়ঃ স্রষ্টার অস্তিত্বের প্রমান কি নাই?
লিখেছেনঃ এম ডি আলী
যখন নাস্তিক ধর্মের অনুসারী আমাদের কাছে বলে স্রস্টার অস্তিত্বের প্রমান কি ? তখন আমরা তদের বলি আপনি আসলে কেমন প্রমান চাচ্ছেন,কারন আপনি যদি বলেন স্রষ্টাকে সরাসরি চাক্ষুষ দেখতে চাই তবে এটা সম্ভব না কারন আমাদের চোখ তাঁকে দেখার ক্ষমতা রাখে না যেখানে আমরা সরাসরি হাজার জিনিস আছে যা আমরা দেখি না তারপরেও মেনে নেই।যেমনঃ
মানুষের মাথায় যে বুদ্ধি,জ্ঞান আছে তার আকৃতি কেমন এটি চাক্ষুষ না দেখেও আমরা মেনে নাই।
আমাদের যে শীত,গরম, ব্যাথা ,ক্ষুধা লাগে,আমাদের যে শক্তি আছে,আমরা খাবারের স্বাদ পাই,ঘ্রাণ পাই,আমরা যে আনন্দ-দুঃখ অনুভব,আমাদের ইচ্চা,ভয়,এগুলোর আকৃতি কেমন তা কিন্ত আমরা না দেখেই মেনে নেই, চাক্ষুষ দেখে না
যদি এগুলা না দেখা যায় তাহলে কি এগুলো অস্তিত্বহীন? আরও গুরুত্বপূর্ণ এমন বস্তুর নাম যা হল(হৃদয়/মন)।অথচ মনের ব্যাপারটি সার্বজনীন স্বীকৃত এটিও আমরা না দেখেও মেনে নেই,চাক্ষুষ দেখে না।
আমরা প্রাই বলি যে মন খারাপ বা এখন মন ভাল । কেন এই "মন" আমরা দেখাতে পারে না ? তাইলে কি আপনারা মন এর অস্তিত্ব অস্বীকার করবেন ?
চোখে দেখার ক্ষমতা,কথা বলার ক্ষমতা,চিন্তা করার ক্ষমতা,নিজ শক্তি,মানুষ কিভাবে কার কাছ থেকে নিল?চিন্তা করার ক্ষমতা একমাত্র মানুষেই কেন পেল অন্য প্রানি কেন পেলনা? এসব শক্তি আমরা না দেখেই। চাক্ষুষ প্রমান ছাড়াই মেনে নাই ।
বিজ্ঞানী নিউটন এর মাথায় আপেল পরেছিল , এরপরে গবেষণা করে মধ্যকর্ষণ শক্তির আবিষ্কার করেন । কিন্তু বর্তমানের প্রজন্মের কোন নাস্তিক কি ঐ ঘটনা বাস্তবে দেখেছে ? না দেখেনি আর মদ্ধকর্ষণ বল কেমন তাও দেখি নি । না দেখে,চাক্ষুষ প্রমান ছাড়াই মেনে নেই আমরা।
নিউটনের যে পিকচার পাওয়া যায় সেটা যে তার নিজেরি ছবি এর প্রমান কি ? নাস্তিকরা এর প্রমান দিতে পারবে না । এরপরেও বিশ্বাস করে অথবা মেনে নেয় । একই ভাবে যত বিজ্ঞানী গত হয়েছে তাদের লিখিত বই, গবেষণা , তাদের পরিক্ষা নিরিক্ষা, ইত্যাদির প্রমান আমরা সবাই বাস্তবে দেখি না কিন্তু চাক্ষুষ প্রমান ছাড়াই মেনে নেই ।
হিরোশিমা নাগাসাকিতে যে ক্ষতি হয়েছিল , পরমাণুর দ্বারা আমরা দেখি নাই ও এটম বোমার যে শক্তি তাও আমরা না দেখে বিশ্বাস করি ।
নিজের বাবাকে বিনা প্রমানে বাবা ডাকেন । প্রশ্ন হল DNA মিলালেই তো প্রমান হয় ? কিন্তু কয়জন নাস্তিক বলে বা প্রমান করেছে যে এটাই আমার বাবা । কত ভাগ নাস্তিক এই প্রমান সহ বাবা কে বাবা ডাকেন ? । হাস্যকর হলেও সত্য যে , নাস্তিকদের প্রমান চাওয়ার ধরন হল, এরা ভিডিও না দেখা পর্যন্ত বিশ্বাস করবে না ওদের বাবা কে !!! সভ্যতার একটা লিমিট আছে তো নাকি !
প্রাচীন কালের যত ইতিহাস আছে তাও কিন্তু আমরা চাক্ষুষ না দেখেই মেনে নেই ।
ফলাফলঃ আমরা যেখানে হাজার বিষয় না দেখেই মেনে নেই বিশ্বাস করি এমন কি সেগুলা বাস্তবেও প্রমান করা সম্ভব না শুদু মাত্র "সাক্ষ্যর" উপর ভিত্তি করেই মেনে নেই। আর নাস্তিক ধর্মের অনুসারীরাও বিজ্ঞানিদের কথায় বিশ্বাস করে, নিজেরা সেটা চাক্ষুষ না দেখে যেমনঃ বিগবাং,কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন,ডার্ক ম্যাটার,মধ্যকর্ষণ শক্তি,এককোষী প্রাণী থেকে সব প্রাণী এসেছে! ইত্যাদি বিজ্ঞানীদের কথা আমরা না দেখেই, নিজেরা না যাচাই করেই কিন্তু বিজ্ঞানীদের কথা আমরা মেনে নেই তাইলে যেই স্রস্টা এত অদৃশ্য বস্তু সৃষ্টি করেছেন তাঁকে কেন আমরা না দেখেই মানতে পারি না ? স্রষ্টাকেই আগে মানা উচিৎ ।
= মহাবিশ্বের উৎপত্তির কারন স্বরূপ ৪ টি পয়েন্ট বিশ্লেষণ
১/ মহাবিশ্ব শুন্য থেকে নিজে নিজেই সৃষ্টি হয়েছে
২/ মহাবিশ্ব নিজে নিজেই সৃষ্টি করেছে
৩/ মহাবিশ্ব এমন কেউ সৃষ্টি করেছে যে নিজে সৃষ্ট
৪/ মহাবিশ্ব এমন কেউ সৃষ্টি করেছেন যে নিজে সৃষ্ট নয়,অসৃষ্ট ।
অপশন ১ = মহাবিশ্ব শুন্য থেকে নিজে নিজেই সৃষ্টি হয়েছে
আমরা সবাই জানি "সুত্র" স্বতন্ত্র-স্বয়ংসম্পূর্ণ কোন সত্তা নয়, এগুলো হল কিছু প্যাটার্ন, কমন সেন্স বলে এইগুলো কোন বুদ্ধিমত্তার দিকে ইঙ্গিত দিচ্ছে । সুত্র আছে তাই হাওয়া থেকে হয়ে গেছে এমন গাঁজাখুরি ব্যাখ্যা সুস্থ মানুষ মানবে না । "The Divine Lawmaker:Lectures On Induction,Law Of Nature and The Existence of God" গ্রন্তে অক্সফোর্ডের দার্শনিক জন ফসটার যুক্তি দেখিয়েছেন প্রকৃতির এই নানাবিধ সুত্রগুলোর সর্বউত্তম best ব্যাখ্যা হল ঐশ্বরিক বুদ্ধিমত্তা ।
Информация по комментариям в разработке