Скачать или смотреть আটকেপড়া বাংলাদেশি প্রবাসীরা সৌদি আরবের কর্মস্থলে ফিরার আকুতি | BD expatriates trying to return KSA

করোনায় আটকেপড়া বাংলাদেশি প্রবাসীরা সৌদি আরবের কর্মস্থলে ফিরার আকুতি | Bangladeshi expatriates stranded in Corona urge to return to work in Saudi Arabia

#quazishahin
#bangladeshi_expatriates
#saudi_arabia
#bangladesh_embassy_riyadh
#cheapairlinestickets
#bimanbangladeshairliness
#saudiarabialatestnews
#coronavirus

Civil Aviation Authority of Bangladesh (CAAB) has given permission to Saudi Arabian Airlines to operate two more weekly flights from Dhaka to the Gulf country from October 1. Saudi Airlines is selling tickets for the fourth consecutive day to help expatriate Bangladeshis return to their workplaces in the kingdom. People who have already gotten their tokens are collecting tickets.

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন করোনা মহামারির কারণে আটকেপড়া সৌদি প্রবাসী বাংলাদেশিদের সেদেশে ফেরত যাওয়ার সুবিধার্থে প্রয়োজনীয় ফ্লাইট সংখ্যা বাড়ানোর জন্য সৌদি আরবকে অনুরোধ করেন। তিনি ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদের সাথে ফোনে আলাপকালে এ অনুরোধ করেন। একই সাথে দাম্মাম রুটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট চলাচলের অনুমতি প্রদানের জন্য সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বর্তমানে রিয়াদ, মদিনা ও জেদ্দায় বাংলাদেশ বিমান চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

ছুটিতে দেশে এসে করোনায় আটকেপড়া বাংলাদেশি প্রবাসীরা আবার সৌদি আরবে তাদের কর্মস্থলে ফিরে যাচ্ছেন। কয়েকদিন ধরে ইকামা-ভিসা ও টিকিট জটিলতা থাকলেও এখন তা সমাধান হচ্ছে। ইতোমধ্যেই সৌদি এয়ারলাইন্স টিকিট বিক্রি শুরু করেছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সও আটকেপড়া প্রবাসীদের সৌদি পাঠাতে চারটি বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করেছে।

এ অবস্থায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সৌদি এয়ারলাইন্সের কাউন্টারে টোকেন অনুযায়ী টিকিট দেয়া হচ্ছে । কিন্তু কাউন্টারের সামনে অপেক্ষমান অনেক প্রবাসীরা টোকেন না পেয়ে সকাল ১১টার দিকে বিক্ষোভ করতে শুরু করেন। পরে সৌদি এয়ারলাইন্স কাউন্টার কর্তৃপক্ষ থেকে যারা টোকেন পাননি, তাদের ২৯ সেপ্টেম্বরের পরিবর্তে আগামী ৪ অক্টোবর এসে টোকেন নিতে বলা হয়েছে। এই সময় পর্যন্ত সৌদিতে যাওয়ার কোনো টিকিট বিক্রি করা হবে না বলেও জানিয়ে দেয়া হয়।

সৌদি এয়ারলাইন্স ছাড়াও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মতিঝিল কার্যালয় থেকে সৌদির টিকিট ইস্যু করা হয়। যেসব প্রবাসীরা দেশে আসার সময় ১৮ ও ২০ মার্চ জেদ্দা এবং ১৮ ও ১৯ মার্চ রিয়াদের রিটার্ন টিকিট কেটে এসেছিলেন, কেবল তাদের টিকিট ইস্যু করা হয়েছে। আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর জেদ্দা ও ৩০ সেপ্টেম্বর রিয়াদে বিশেষ ফ্লাইটের জন্য এসব টিকিট ইস্যু করেছে বিমান।

এখন পর্যন্ত করোনা পজিটিভ কোনো যাত্রী শনাক্ত হয়নি জানিয়ে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দায়িত্বরত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহারিয়ার সাজ্জাদ বলেন, ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সৌদি এয়ারলাইন্সের ৪টি ফ্লাইট ঢাকা ছেড়েছে। সর্বশেষ গেল শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টায় ২৯৭ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকা ছাড়ে একটি ফ্লাইট।

দৈনিক কালের কন্ঠের সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে গতকাল ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত আব্দুস সালাম, আলামিন, নান্নু মিয়ার মতো দুই শতাধিক প্রবাসীকে মহাখালীর ডিএনসিসি মার্কেটে ছুটতে হয়েছে করোনা পরীক্ষার স্যাম্পল দেওয়ার জন্য। প্রায় এক সপ্তাহ অপেক্ষার পর গতকাল টিকিট পেলেও করোনা পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সময় পাননি এঁরা কেউ। গতকাল দুপুর দেড়টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত সৌদি এয়ারলাইনসের পক্ষ থেকে এই প্রবাসীদের টিকিট হস্তান্তর করে আজ সকাল ৭টায় এয়ারপোর্টে থাকতে বলা হয়েছে। টিকিট দেওয়ার পর করোনা পরীক্ষার জন্য সময় দেওয়া হয়েছে মাত্র ১৫ থেকে ১৮ ঘণ্টা। এই স্বল্প সময়ে করোনা টেস্টের ফলাফল পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেওয়ায় শেষ পর্যন্ত সৌদি আরব যেতে পারবেন কি না তা নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন দুই শতাধিক প্রবাসী শ্রমিক। এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সৌদি এয়ারলাইনসকে যাত্রীদের করোনা পরীক্ষার জন্য অন্তত ৪৮ ঘণ্টা সময় দেওয়ার কথা বলা হলেও ২৪ ঘণ্টা সময়ও না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন দায়িত্বরত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কয়েকজন কর্মকর্তা।

ডিএনসিসি মার্কেটে দায়িত্বরত ঢাকা জেলার সিভিল সার্জন ডা. মঈনুল আহসান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমাদের একটি (করোনার) রিপোর্ট তৈরি করতে সময় লাগে অন্তত ২৪ ঘণ্টা। সৌদি এয়ারলাইনস আমাদের ৪৮ ঘণ্টা সময় দেবে বলেছে। কিন্তু তারা যাত্রার মাত্র সাত থেকে আট ঘণ্টা আগে টিকিট দিচ্ছে। তারা তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করছে না।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আমরা সবার স্যাম্পল নিচ্ছি, কাউকে ফেরত পাঠাচ্ছি না।’

টিকিট পেয়েও সৌদি আরবে যেতে পারেননি ৩২ জন প্রবাসী কর্মী। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের করোনা পরীক্ষার সনদ জমা দেওয়ায় তাঁদের বোর্ডিং কার্ড ইস্যু করা হয়নি। সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইনসের এসভি ৩৮০৭ ফ্লাইটে এই ঘটনা ঘটেছে। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তাঁদের রেখেই ছেড়ে যায় ফ্লাইটটি। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।সৌদি আরব যেতে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক। নমুনা সংগ্রহের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সৌদি আরব পৌঁছাতে হবে। এ জন্য সব যাত্রীকে ঢাকায় সরকার নির্ধারিত সেন্টার থেকে কভিড পরীক্ষা করাতে হবে।