মাসি-পিসি | HSC বাংলা ১ম পত্র Animated Lessons | Shikho

Описание к видео মাসি-পিসি | HSC বাংলা ১ম পত্র Animated Lessons | Shikho

আজকের পর্বে আমরা মাসি-পিসি গল্পটি নিয়ে আলোচনা করবো।

ভর্তি হতে, App টি Download করো 😄
App Link: http://shikho.io/ShikhboJitbo
অথবা ক্লিক করো:
✅HSC বাংলা ১ম পত্র Animated Lessons- http://shikho.io/Bangla1-Al

💥HSC এর জন্য অন্যান্য কোর্সসমূহ:
✅HSC Science Animated Lessons Bundle- http://shikho.io/HSC-Sci-AL
✅HSC Common Animated Lessons Bundle- http://shikho.io/HSC-Common-AL
✅HSC ইংরেজি Animated Lessons-http://shikho.io/HSC-Engllish-AL
✅HSC উচ্চতর গণিত ১ম পত্র Animated Lessons-http://shikho.io/HSC-HM-1st-AL
✅HSC উচ্চতর গণিত ২য় পত্র Animated Lessons-http://shikho.io/HSC-HM-2nd-AL
✅HSC জীববিজ্ঞান ১ম পত্র Animated Lessons-http://shikho.io/HSC-Bio-1st-AL
✅HSC জীববিজ্ঞান ২য় পত্র Animated Lessons-http://shikho.io/HSC-Bio-2nd-AL
✅HSC পদার্থবিজ্ঞান ১ম পত্র Animated Lessons-http://shikho.io/HSC-Phy-1st-AL
✅HSC পদার্থবিজ্ঞান ২য় পত্র Animated Lessons-http://shikho.io/HSC-Phy-2nd-AL
✅HSC রসায়ন ১ম পত্র Animated Lessons-http://shikho.io/HSC-Chem-1st-AL
✅HSC বাংলা ২য় পত্র Animated Lessons-http://shikho.io/HSC-B2-AL

আজকে আমরা গল্পের প্রথম পর্ব নিয়ে আলোচনা করব৷ এ পর্বে থাকবে লেখক পরিচিতি, গল্প ও গল্পের চরিত্র পরিচিতি ও আহ্লাদির করুন জীবন সম্পর্কে আলোচনা৷ শুরুতেই আমরা মাসি-পিসি গল্পের লেখক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো৷
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১৯০৮ সালের ১৯ই মে জন্মগ্রহণ করেন৷ আচ্ছা মে মাসে আরেকজন বিখ্যাত সাহিত্যিক জন্মগ্রহণ করেছেন৷ তোমার মনে আছে তো? তিনি হলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর৷ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯৫৬ সালের তেসরা ডিসেম্বর কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন৷
এবার জেনে নেই তিনি কোথায় জন্মগ্রহণ করেছেন৷ তিনি বিহারের সাঁওতাল পরগনার দুমকা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন৷ তার পিতার বাড়ি ঢাকার বিক্রমপুরে।
উপন্যাস ও ছোটগল্প লেখক হিসেবে মানিক বন্দোপাধ্যায় বাংলা সাহিত্যে বেশি খ্যাতি অর্জন করেছেন৷ অল্প সময়েই প্রচুর গল্প-উপন্যাস সৃষ্টি করেন। সেই সঙ্গে লিখেছেন কিছু কবিতা, নাটক, প্রবন্ধ ও ডায়েরি।
মাসি-পিসি গল্পটি প্রথম প্রকাশিত হয় কলকাতার 'পূর্বাশা' পত্রিকায় উনিশশো ছেচল্লিশ সালের মার্চ-এপ্রিল সংখ্যায় ৷ বাংলা সন অনুযায়ী তেরশো বায়ান্নো বঙ্গাব্দের চৈত্র সংখ্যায়। উনিশশো ছেচল্লিশ সালেরই অক্টোবরে 'পরিস্থিতি' নামক গল্পগ্রন্থে এটি সংকলিত হয়৷
এবারে চলো গল্পের আলোচনায় প্রবেশ করি।
গল্পের শুরুতে তুমি দেখবে খাল-পাড়ের চিত্র এবং সালতি থেকে খড় তোলার কর্মব্যাস্ততার মধ্য দিয়ে লেখক গল্প শুরু করেছেন।
যেখানে খালের বর্ণনা দেয়া আছে।
সালতি শব্দ তোমার কাছে অপরিচিত লাগতে পারে। শব্দের অর্থ হচ্ছে ছোট নৌকা। তুমি গল্পে দেখবে বলা আছে, এই খাল পাড়ে সালতি থেকে তিনজন শ্রমিক মাথায় করে খড় উপরে বড় গাদায় নিয়ে রাখেন। আর ওদের মাথায় খড় তুলে দিচ্ছেন দুই জন। গল্পে এই দুই জনের পরিচয় তুমি পাবে। একজন হলো আব্দুর রহমান। যার শরীরের গঠনের বর্ণনায় বলা আছে বয়সে বড়ো, আধা পাকা চুল, গোরা শরীর। অন্য জন কৈলাশ। গল্পের প্রথমে তার শরীরে বর্ণনায় আমরা দেখতে পাই। বয়সে মাঝ বয়সী, উচ্চতায় বেটে, দেখতে জোয়ান এবং মাথায় ঠাসা কদমছাঁটা রুক্ষ চুল।
কৈলাস এবং বুড়ো আব্দুর রহমান শ্রমিকদের মাথায় খড় তুলে দেয়ার সময় ভাটার টান ঠেলে কংক্রিটের পুলের নিচ দিয়ে দু-হাত চওড়া একটি সালতিতে করে মাসি ও পিসি বাজার থেকে আসেন। এখানে সালতির সামনে মাসি এবং পেছনে পিসি বসেছেন। গল্পে বলা আছে, “দু-মাথায় দাঁড়িয়ে দুজন পৌঢ় বিধবা লগি ঠেলছে। শরীরে ময়লা মোটা থানের আচঁল দুজনেরই কোমরে বাঁধা। ” এখানে মাসি পিসিকে লেখক পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন পাঠকের কাছে। এই বর্ননা থেকে বোঝা যায় মাসি পিসি দুই জন পরিশ্রমী নারী। এবং তাদের পোশাকের বর্ননায় তাদের আর্থিক অস্বচ্ছলতা ফুটে উঠেছে।
বাজার থেকে ফেরার সময় মাসি ও পিসিকে কৈলাশ ডাক দেয়।
যেহেতু কৈলাশের গোপন কথা ছিল তাই মাসি খড় ঠেকানো বাঁশটা ধরে দাঁড়ায় এবং পিসি পেছন থেকে এগিয়ে আসে। কিন্তু কৈলাশ কথাটা এমন ভাবে বলে যাতে কথাগুলো আহ্লাদিও শুনতে পায়।
কৈলাস মাসি-পিসির কাছে বলে তার সাথে জগুর দেখা হয়েছে আগের দিন। জগু হলো আহ্লাদির স্বামী এবং কৈলাশের বন্ধু। কৈলাশ মাসিপিসি কে বলে সে চা খেতে গিয়ে কৈলাসের সাথে দেখা হয়। তখন কৈলাস বলেছে জগু এখন আহ্লাদি কে বাড়ীতে ফিরিয়ে নিতে চায় । কিন্তু মাসি-পিসি এবারে প্রতিজ্ঞা করেছে তারা আর মেয়ে দিবে না তাই কৈলাশ নিতে আসতে পারছে না। কারন এর আগেও সে অনেক বার এসেছে আহ্লাদি কে নেয়ার জন্য কিন্তু মাসি পিসি আহ্লাদি কে দেয়নি । কৈলাস জগুর সুনাম করে মাসিপিসির কাছে সে জগু এখন আগের মত নেই। সে এখন আর ওসব খায় না । অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে।
গল্পের এই পর্যায়ে বুঝা যায় কৈলাশ আহ্লাদির স্বামী জগুর কথা বলছে। তবে কেনোই বা জগুর সুনাম করছে তা ঠিক বুঝা যায় না। জগু এখন আগের মত নেই। সে এখন আর ওসব খায় না এই লাইনের মাধ্যমে বুঝা যায় জগু এক সময়ে নেশাগ্রস্ত ছিলো। কৈলাসের ভাষ্যমতে জগু এখন ভালো হয়ে গেছে আর নেশা করে না। আহ্লাদিকে সে আবার তার সংসারে ফিরিয়ে নিতে চাইছে।
কৈলাসে একথা শুনে মাসি বলেন “ পেটে শুকিয়ে লাথি ঝাঁটা খেতে? ছ্যাকা খেতে? খুঁটির সাথে দড়িবাঁধা হয়ে থাকতে দিনভর রাতভর মেয়ে পাঠাবো। মাসির এ কথার মাধ্যমে এবারে তোমার কাছে হয়তো পরিষ্কার হয়ে গেছে যে আহ্লাদির স্বামী শুধু নেশাগ্রস্ত ছিলো না সে আহ্লাদিকে শারীরিকভাবে নির্জাতন করতো। আর এ কারনেই সে স্বামীর সংসার থেকে মাসি- পিসির কাছে চলে এসেছে।
পিসি বলে মেয়ে না পাঠাই, জামাই এলে রাখিনি জামাই- আদরে তাকে? ছাগলটা বেচে দিয়ে খাওয়াইনি ভালোমন্দ দশটা জিনিস?”
মাসি বলে, ‘ ফের আসুক, আদরে রাখব যতদিন থাকে। বজ্জাত হোক, খুনে হোক, জামাই তো। ঘরে এলে খাতির না করবো কেন? তবে মেয়া মোরা পাঠাব না। ’ পিসি বলেও কৈলাশ কে নিষেধ করে দেয় জগুর কাছে মারা যেতে তারা মেয়েকে পাঠাবে না।

Комментарии

Информация по комментариям в разработке